সরকারি বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের ভর্তির ক্ষেত্রে ডোপ টেস্টের নিয়ম করা হচ্ছে। একই সঙ্গে সরকারি চাকরির মতো বেসরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে চাকরির ক্ষেত্রেও ডোপ টেস্টের বিধান বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে। রোববার (১ নভেম্বর) বেলা ১১টায় জাতীয় সংসদের মিডিয়া সেন্টারে এক অনুষ্ঠানে এসব কথা জানান স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি শামসুল হক টুকু।
শিশু অধিকারবিষয়ক সংসদীয় ককাস এবং সমাজকল্যাণ ও উন্নয়ন সংস্থার যৌথ আয়োজনে ‘মাদক নিয়ন্ত্রণে ডোপ টেস্ট-এই মুহূর্তে করণীয়’ শীর্ষক মিট দ্য প্রেস অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি জানান, মাদক নির্মূলে রাজনীতিতে সম্পৃক্ত হতে এবং যে কোনো পর্যায়ের নির্বাচনে অংশগ্রহনের ক্ষেত্রেও ডোপ টেস্টের বাধ্যবাধকতা থাকছে। তবে ডোপ টেস্টের এমন বিধান বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে কোনো অপব্যবহার যাতে না হয় সে ব্যাপারে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে স্বাধীন প্রতিষ্ঠান করার বিষয়টিও সরকারের বিবেচনায় রয়েছে বলেও জানান তিনি।
শামসুল হক টুকু বলেন,বাংলাদেশ মাদক উৎপাদনকারী দেশ না হওয়া সত্ত্বেও সীমান্তের ৪ হাজার কিলোমিটার দিয়ে দেশে মাদক ঢুকছে। তরুণ সমাজ মাদকের ছোবলে ভয়াবহ হুমকিতে রয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর মাদক বিরোধী উদ্যোগকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে সরকার। দেশে মাদক প্রবেশে সীমান্তে আইনশৃঙখলা বাহিনীর নজরদারি আরও বাড়ানোর ওপরও জোর দেন সাবেক এই স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী।
অনুষ্ঠানে এক লিখিত প্রবন্ধে জানানো হয়, দেশে প্রায় ৭০ থেকে ৭৫ লাখ মাদকাসক্ত রয়েছে। প্রতি বছর মাদকের পেছনে প্রায় ৬০ হাজার কোটি টাকা নষ্ট হচ্ছে। গত ১০ বছরে মাদকাসক্তির কারণে সন্তানের হাতে খুন হয়েছে ২০০ মা-বাবা।
অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে শামসুল হক টুকু লালমনিরহাটে মানুষ পুড়িয়ে মারার ঘটনাকে দুর্ভাগ্য জনক বলে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, অসাম্প্রদায়িকতা বাংলাদেশের ভিত্তি হলেও উগ্র মৌলবাদীদের অস্তিত্ব এখনো বিলীন হয়নি। সরকার দায়িত্বে অবহেলা করছে না। লালমনিরহাটের ঘটনা স্থানীয় প্রশাসন সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে দেখছে।
সমাজ কল্যাণ ও উন্নয়ন সংস্থার (স্কাস) চেয়ারম্যান জেসমিন প্রেমা সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের মহাপরিচালক আহসানুল জব্বার।
বাংলা৭১নিউজ/এএম