ফেসবুকে ধর্ম নিয়ে কটূক্তি করার অভিযোগে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয় এক ছাত্রীকে। একই অভিযোগ তাকে বাংলাদেশ সাধারণ শিক্ষার্থী অধিকার পরিষদ থেকেও সাময়িক বহিষ্কার করা হয়। এর পর থেকে সেই ছাত্রী নিখোঁজ রয়েছেন। এবার তাকে খুঁজে পেতে আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি।
শুক্রবার (৩০ অক্টোবর) বিকেলে বাংলাদেশ সাধারণ শিক্ষার্থী অধিকার পরিষদ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি রাইসুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক আবু বকর স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘সংগঠনের শৃঙ্খলাবিরোধী কাজে জড়িত থাকার বিষয়ে সাত দিনের মধ্যে কারণ দর্শানোর জন্য বলা হলেও পাঁচ দিন ধরে সে নিখোঁজ রয়েছে। এমতাবস্থায় তার কাছ থেকে কোনো জবাব পাওয়া যায়নি। তার সন্ধান ও অভিযোগ বিষয়ে তার বক্তব্য না পাওয়া পর্যন্ত তার ওপর সাময়িক বহিষ্কারাদেশ বহাল থাকবে।
অবিলম্বে তাকে খুঁজে আইনের আওতায় আনার দাবি জানানো হয় বিজ্ঞপ্তিতে। সেখানে বলা হয়, একটি স্বাধীন দেশের নাগরিক থানায় যাওয়ার পথে নিখোঁজ হওয়ার দায়ভার প্রশাসন এড়াতে পারে না।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে অভিযুক্ত ছাত্রী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ইসলাম ধর্ম নিয়ে বিভিন্ন বিদ্বেষমূলক মন্তব্য করে আসছেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে গত ২৪ অক্টোবর তাকে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে স্থায়ী বহিষ্কারের দাবিতে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকটি ছাত্রসংগঠন বিক্ষোভ মিছিল করে। ২৬ অক্টোবর বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী মো. ওহিদুজ্জামান স্বাক্ষরিত এক আদেশে তাকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়।
এ বিষয়ে তখন বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক আবু বকর খান বলেন, ‘আমরা কিছুদিন ধরেই বিষয়গুলো লক্ষ্য করেছি, পরবর্তীতে আমরা তাকে কয়েকবার বোঝানোর চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে তাকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
এর আগে ছাত্র অধিকার পরিষদ থেকেও তাকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়। পাশাপাশি তাকে কেন স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হবে না, তা জানতে চেয়ে সাতদিনের মধ্যে কারণ দর্শানোর (শোকজ) নোটিশ দেয়া হয়।
বাংলা৭১নিউজ/এএম