খুলনার বটিয়াঘাটায় খাসজমি ও খাল ব্যক্তি সম্পত্তি হিসেবে রেকর্ড করে দখলের অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার বেশ কয়েকটি মৌজায় এ ঘটনা ঘটেছে। সরকারি জমির উপর গড়ে উঠেছে আবাসন প্রকল্প। এর সাথে সংশ্লিষ্ট ভূমি অফিসের নায়েব, কানুনগো ও জরিপকারীর নাম উঠে এসেছে।
খুলনার বটিয়াঘাটার আমিরপুরের করেরঢোন মৌজায় খাস খতিয়ানভূক্ত খাল ও জমি ব্যক্তির নামে রেকর্ড করে দখল করে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে। এসব এলাকা ঘুরে দেখা যায় আরএস জরিপে জরিপকারীদের দিয়ে ওই এলাকার সাবেক ইউপি সদস্য জবিউল্লাহ শেখ প্রভাব খাটিয়ে নিজের ও আত্মীয় স্বজনদের নামে ৭ দশমিক ৬১ একর খাস খতিয়ানভূক্ত খাল ও জমি রেকর্ড করে নিয়েছেন।
এলাকাবাসীর অভিযোগের পর জেলা প্রশাসনের নির্দেশে ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তার তদন্ত প্রতিবেদনেও এর সত্যতা পাওয়া যায়। এছাড়া পার্শ্ববর্তী অন্যান্য জায়গায়ও আবাসন প্রকল্প তৈরি করে সরকারি জমি প্লট আকারে বিক্রি করছে ভূমিদস্যুরা। একই রকম ঘটনা ঘটেছে উপজেলার রাজবাঁধ ও সুরখালি মৌজাতেও।
এলাকাবাসীর অভিযোগ খুলনার রূপসা নদীর সাথে সংযুক্ত প্রবাহমান এসব খাল বন্ধ করে বসতবাড়ী নির্মাণ ও মাছ চাষ করায় এলাকায় বর্ষা মৌসুমে দেখা দিচ্ছে জলাবদ্ধতা।
এ বিষয়ে বলিয়াডাঙ্গা ভূমি সহকারী কর্মকর্তা জগন্নাথ ঘোষের সাথে কথা বলতে গেলে দ্রুত অফিস ত্যাগ করেন তিনি। অন্যদিকে খুলনা জেলা প্রশাসক জানান, দখল হয়ে যাওয়া সরকারি সম্পত্তি উদ্ধারে কাজ চলমান রয়েছে।
জেলা প্রশাসক মো. হেলাল হোসেন বলেন, আদালতের রায়ের মাধ্যমে এনে সেগুলো সরকারের সম্পদগুলোকে আবার নিতে পারব। যারা এসব কাজ করেছে তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়া হবে।
জেলার বটিয়াঘাটা উপজেলায় ৩টি ভূমি অফিসের আওতায় ১৩২টি মৌজা রয়েছে। যার অধিকাংশ আস্তে আস্তে ভূমিদস্যুদের দখলে চলে যাচ্ছে বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর।
বাংলা৭১নিউজ/এএম