আইনের কঠিন পরীক্ষা। সেই পরীক্ষা চলাকালীনই সন্তান প্রসব করলেন শিকাগোর এক মহিলা। সন্তানের জন্ম দেওয়ার পর শেষ করলেন পরীক্ষার বাকি অংশ।
২৮ বছরের ব্রিয়ানা হিল। শিকাগোর লয়োলা ইউনিভার্সিটি স্কুল অব ল থেকে সম্প্রতি স্নাতক হওয়ার পরীক্ষা দিয়েছেন তিনি। সেই পরীক্ষা হওয়ার কথা ছিল জুলাইয়ে। কিন্তু করোনাভাইরাস অতিমারির কারণে পিছিয়ে যায় তা। অক্টোবরে সেই পরীক্ষার দিন ধার্য হয়। এ ব্যাপারে সিএনএন-কে হিল বলেছেন, ‘‘এই পরীক্ষা যখন হওয়ার কথা ছিল তখন আমি ২৮ সপ্তাহের গর্ভবতী। কিন্তু করোনা অতিমারির জন্য পরীক্ষা পিছিয়ে গেল। তখন আমার গর্ভাবস্থার ৩৮ সপ্তাহ পেরিয়ে গিয়েছে।’’
সেই অবস্থাতেই আইন পাশের পরীক্ষা দিতে বসেছিলেন হিল। সেই পরীক্ষা হয় দু’দিন ধরে। ৯০ মিনিট করে চার ভাগে নেওয়া হয় পরীক্ষা। প্রথম দিনের প্রথম ভাগের পরীক্ষা দেওয়ার সময়ই প্রসবযন্ত্রণা অনুভব করেন তিনি। কিন্তু পরীক্ষা ছেড়ে ওঠার সুযোগ ছিল না। কারণ, একটি ভাগের পরীক্ষা চলার সময় পরীক্ষার্থীকে সব সময় ক্যামেরার সামনে নিজের উপস্থিতির প্রমাণ দিতে হয়। তিনি যে নকল করছেন না, তা নিশ্চিত করতেই এই নিয়ম।
প্রথম পরীক্ষা শেষ করেই তিনি নিজের মা ও স্বামীকে ফোন করেন। সে সময় তিনি কিছুটা আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিলেন বলেও ওই সংবাদ সংস্থাকে জানিয়েছেন হিল। কিন্তু তাঁর মা আশ্বস্ত করে বলেন, ‘‘এখনও সময় আছে।’’ এর পর কিছুটা শারীরিক অস্বস্তি নিয়েই দ্বিতীয় ভাগের পরীক্ষা দেন হিল। তা শেষ করে বিকাল সাড়ে ৫টা নাগাদ তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। রাত ১০টা নাগাদ তিনি পুত্রসন্তানের জন্ম দেন। বাচ্চাটির নাম রাখা হয়েছে ক্যাসিয়াস ফিলিপ অ্যান্ড্রু।
পরের দিন হিলের অনুরোধে হাসপাতাল কর্মীরা একটি ঘরে পরীক্ষা দেওয়ার ব্যবস্থা করে দিয়েছিলেন। সন্তানের জন্ম দেওয়ার পর হাসপাতাল থেকেই তিনি বাকি পরীক্ষা দেন। এই ঘটনার কথা সামনে আসতেই হিলের প্রশংসায় মেতেছেন নেটাগরিকরা।
বাংলা৭১নিউজ/এএম