ফের রক্তাক্ত হল আফগানিস্তান। রাস্তার ধারে পড়ে থাকা বোমা ফেটে মারা গেলেন ১০ জন আফগান ন্যাশনাল আর্মির জওয়ান। মারা গিয়েছেন ৩জন সাধারণ মানুষও। স্থানীয় টোলো নিউজ জানাচ্ছে, বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন এই বিস্ফোরণে।
শের ই পাল প্রদেশে সেনা কনভয়কে নিশানা করা হয়েছিল বলে খবর। তালিবান বা অন্য কোনও গোষ্ঠী এই বিস্ফোরণের দায় স্বীকার করেনি। প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রে খবর বাঘলানে আরও একটি মাইন উদ্ধার করা হয়েছে। সেটি নিষ্ক্রিয় করা হয়েছে।
এদিকে, দিন কয়েক আগেই লাঘমানে ভয়াবহ বিস্ফোরণে মৃত্যু হয় ৮ জনের। লাঘমানের প্রাদেশিক গভর্নর রহমাতুল্লা ইয়ারমলের কনভয় লক্ষ্য করে এদিন বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। এই বিস্ফোরণের ঘটনায় মৃত্যু হয় ৮জনের। তবে অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচেছেন প্রাদেশিক গভর্নর।
৮ জনের মৃত্যুর পাশাপাশি, জখম হয়েছেন ৩০ জনেরও বেশি মানুষ। স্থানীয় হাসপাতালে তাঁদের চিকিৎসা চলছে। প্রাদেশিক গভর্নর রহমাতুল্লা ইয়ারমলের সামান্য আঘাত লাগলেও, তা গুরুতর নয়। প্রাথমিক চিকিৎসার পর তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। প্রাদেশিক গভর্নরের মুখপাত্র আসাদুল্লাহ দৌলতজাই জানান গভর্ণর এখন সুস্থ রয়েছেন।
সংবাদসংস্থা স্পুটনিক জানিয়েছে এখনও কোনও জঙ্গি গোষ্ঠী এই ঘটনার দায় স্বীকার করেনি। গত বছরই কাবুলে রাজনৈতিক স্মরণসভা চলাকালীন জোরালো বিস্ফোরণ হয়৷ কমপক্ষে ১৪ জন আহত হযন৷ আহতের মধ্যে ছিলেন আবদুল লতিফ পেডরাম৷ যিনি আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী৷ তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে৷
টোলো নিউজ জানায়, হেজব-ই-ওয়াদাত দলের নেতা আবদুল আলি মাজারির ২৪ তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে দলের নেতারা জড়ো হন৷ উপস্থিত ছিলেন দলের শীর্ষ নেতারা যথা আবদুল্লা আবদুল্লা, প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাই, প্রাক্তন এনএসএ হানিফ আতমার, ভাইস-প্রেসিডেন্ট ইয়নুস কানুনি, ভারপ্রাপ্ত বিদেশমন্ত্রী শালহদুদ্দিন রব্বানি প্রমুখ৷ এদের মধ্যে কেউ আহত হন কিনা তা জানা যায়নি৷ ১৯৯৫ সালে তালিবানের হাতে মৃত্যু হয় মাজারির৷ প্রতিবছর এই দিনটিতে স্মরণসভার আয়োজন করা হয়৷
এদিকে অগাষ্ট মাসেই একের পর এক রকেট হামলায় কেঁপে ওঠে কাবুল। আফগানিস্তানের ১০১ তম স্বাধীনতা দিবসের আগেই এই হামলার ঘটনা ঘটে। কাবুলের কূটনৈতিক দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ এলাকাতেই হামলা করা হয়। হামলার জেরে বন্ধ করে দেওয়া হয় বিদেশি দূতাবাসগুলি। ডিপ্লোম্যাটিক এনক্লেভের কাছেই একটি মসজিদের কাছে গিয়ে পড়ে একটি রকেট।
বাংলা৭১নিউজ/এবি