বাংলা৭১নিউজ,ঢাকা: দুর্নীতির দায়ে সরকার দলীয় সংসদ সদস্য আবদুর রহমান বদিকে তিন বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এছাড়া ১০ লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও দুই বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দেয়া হয়েছে।
আজ দুপুরে ঢাকার ৩ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক আবু আহমেদ জমাদার এ রায় ঘোষণা করেন।
অবৈধ সম্পদ অর্জনের দায়ে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) এমপি বদির বিরুদ্ধে এই মামলাটি দায়ের করে।
রায় ঘোষণার সময় সরকার দলীয় এই সংসদ সদস্য আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এক প্রতিক্রিয়ায় দুদক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ বলেন, দুর্নীতি করলে কোনো প্রভাবশালীও ছাড় পাবে না।
আসামিপক্ষের আইনজীবী নাসরীন সিদ্দিকা লীনা বলেন, তারা রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করবেন।
গত ১৯ অক্টোবর মামলায় আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে রায়ের জন্য এ দিন ধার্য করেন আদালত। এর আগে গত ১০ আগস্ট দুদকের পক্ষে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করা হয়।
মামলাটিতে চার্জশিটভুক্ত ১৫ সাক্ষীর মধ্যে ১৩ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেছেন আদালত।
এর আগে ২০১৫ সালের ৯ সেপ্টেম্বর আবদুর রহমান বদির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত।
মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, নির্বাচন কমিশনে জমা দেয়া হলফনামার বাইরে ১০ কোটি ৮৬ লাখ ৮১ হাজার ৬৬৯ টাকার অবৈধ সম্পদ গোপন করে মিথ্যা তথ্য দেয়ার অভিযোগ পাওয়া যায়। এ ছাড়া অবৈধভাবে অর্জিত সম্পদের বৈধতা দেখানোর জন্য কম মূল্যে সম্পদ ক্রয় দেখিয়ে ১ কোটি ৯৮ লাখ ৩ হাজার ৩৭৫ টাকা বেশি মূল্যে বিক্রি দেখানোর অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) উপ-পরিচালক মো. আবদুস সোবহান রমনা থানায় ২০১৪ সালের ২১ আগস্ট সরকারী দলের সংসদ সদস্য আবদুর রহমান বদির বিরুদ্ধে মামলাটি করেন।
গত বছরের ৭ মে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপ-পরিচালক মঞ্জিল মোর্শেদ আদালতে বদির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। এতে তার বিরুদ্ধে ৬ কোটি ৩৩ লাখ ৯৪২ টাকার অবৈধ সম্পদের তথ্য তুলে ধরা হয়। এর মধ্যে বলা হয়েছে, তিনি দুদকের কাছে ৩ কোটি ৯৯ লাখ ৫৩ হাজার ২৭ টাকার সম্পদের তথ্য গোপন করেছেন।
বাংলা৭১নিউজ/এন