শনিবার, ১৯ জুলাই ২০২৫, ০৯:৩০ অপরাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ
মঞ্চে অসুস্থ হয়ে পড়ে গেলেন জামায়াত আমির পার্বত্য চুক্তি বাস্তবায়নের সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করা হবে : পররাষ্ট্র উপদেষ্টা ৭২-এর মুজিববাদী সংবিধান রেখে সংস্কার সম্ভব নয়: সারজিস জুলাই পদযাত্রা কক্সবাজারে পৌঁছেছেন এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতারা নির্বাচন নিয়ে কোনো অনিশ্চয়তা নেই : প্রেস সচিব জামায়াতের জাতীয় সমাবেশে যাচ্ছেনা বিএনপি গোপালগঞ্জের মরদেহগুলো প্রয়োজনে কবর থেকে তুলে ময়নাতদন্ত : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা মানবাধিকার সহায়তাই ওএইচসিএইচআর মিশন কার্যালয়ের মূল লক্ষ্য ‘পরিবেশ রক্ষায় বর্তমান প্রজন্মের মধ্যে মূল্যবোধ গড়ে তোলার এখনই উপযুক্ত সময়’ চাঁদাবাজির অভিযোগে চাপের মুখে বিএনপি, দলীয় নিয়ন্ত্রণ কতটা?

ইরান কেন ইসরাইলের তেল শোধনাগারগুলোতে হামলা চালায়?

বাংলা৭১নিউজ,ডেস্ক:
  • আপডেট সময় বৃহস্পতিবার, ১৭ জুলাই, ২০২৫
  • ২৬ বার পড়া হয়েছে

ইসরাইলের আশদোদ তেল শোধনাগারটিতে এখনও কারিগরি ত্রুটি বিরাজ করছে এবং ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় বয়লারের ক্ষতির কারণে হাইফা শোধনাগারটিও নিষ্ক্রিয় রয়েছে।

এত করে ইসরায়েলের দ্বিতীয় বৃহত্তম আশদোদ তেল শোধনাগারটি এখনও প্রযুক্তিগত সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে এবং কমপক্ষে আরও এক সপ্তাহের জন্য এটি বন্ধ থাকবে। শোধনাগারটির রক্ষণাবেক্ষণ কর্মসূচি ১৫ জুন শুরু হয়েছিল এবং ৪ জুলাইয়ের মধ্যে এটি সম্পন্ন হওয়ার কথা ছিল, কিন্তু এটি এক সপ্তাহ ধরে বন্ধ রয়েছে। ইরানের দৈনিক কেইহানের বরাত দিয়ে পার্সটুডে জানিয়েছে, শোধনাগার অচল হয়ে পড়ায় ১ কোটি ৩০ লাখ থেকে ১ কোটি ৮০ লাখ ডলারের ক্ষতি হয়েছে এবং কোম্পানি ঘোষণা করেছে যে তারা এখন জ্বালানি আমদানির দিকে ঝুঁকছে।

হাইফা শোধনাগার যা ইসরায়েলের দুই-তৃতীয়াংশ জ্বালানি সরবরাহ করে, ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় বয়লারের ক্ষতির কারণেও নিষ্ক্রিয় রয়েছে।

এদিকে, ইসরায়েলি জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক বলেছেন: “ইরান হাইফা শোধনাগারে হামলার পর ইসরায়েলে পেট্রোল উৎপাদন শূন্যে পৌঁছেছে।”

প্যালেস্টাইন স্টাডিজ চ্যানেলটিও জিজ্ঞাসা করেছিল যে কেন ইরানের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রগুলি ইসরায়েলের বৃহত্তম শোধনাগারকে লক্ষ্য করেহ হামলা চালিলেয়েছে। এতে লেখা হয়েছে: বাজান গ্রুপ শোধনাগার, যা হাইফা শোধনাগার নামেও পরিচিত, ইহুদিবাদী ইসরাইলের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ তেল ও অবকাঠামোগত সুবিধা, যা উত্তর ইসরায়েলের উপকূলীয় শহর হাইফায় অবস্থিত। ইসরায়েলের জ্বালানি সরবরাহ, অর্থনীতি এবং সামরিক নিরাপত্তায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার কারণে, শোধনাগারটি কৌশলগত দিক থেকে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ছিল যা ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র হামলার সম্মুখীন হয়।

শোধনাগারটি বাজান গ্রুপের, যা ইসরায়েল কর্পোরেশনের একটি সহায়ক সংস্থা এবং ওফার ব্রাদার্স গ্রুপ দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। এই কোম্পানিটি ইসরায়েলের বৃহত্তম শিল্প হোল্ডিংগুলির মধ্যে একটি। উল্লেখ্য যে গত দুই বছরে, ওফার ব্রাদার্সের বেশ কয়েকটি বাণিজ্যিক জাহাজ এই অঞ্চলে প্রতিরোধ বাহিনীর হামলার মুখে পড়ে।

বাজান শোধনাগারে রয়েছে পরিশোধন ইউনিট, জ্বালানি সংরক্ষণ ট্যাঙ্ক এবং উন্নত পেট্রোকেমিক্যাল সুবিধা। এটি পাইপলাইন এবং জ্বালানি স্থানান্তর ব্যবস্থার সাথেও সংযুক্ত।

কৌশলগত এবং অর্থনৈতিক গুরুত্বের কারণে বাজান শোধনাগার ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার (বিশেষ করে সাম্প্রতিক জুন ২০২৫ সালের সংঘাতের সময়) একটি গুরুত্বপূর্ণ লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়েছে।

শোধনাগারটিকে লক্ষ্যবস্তু করার প্রধান কারণগুলো হল:

ইসরায়েলি অর্থনীতিকে পঙ্গু করে দেওয়া: জ্বালানির জন্য বাজান শোধনাগারের উপর ইসরায়েলের নির্ভরতার কারণে, এর উপর আক্রমণ ইসরায়েলি অর্থনীতিকে মারাত্মকভাবে ব্যাহত করতে পারে, এই ক্ষতির মধ্যে রয়েছে জ্বালানির দাম বৃদ্ধি, জ্বালানি ঘাটতি এবং পরিবহন ও শিল্পের সমস্যা।

সামরিক সক্ষমতা হ্রাস: যেহেতু বাজান শোধনাগার ইসরায়েলি বিমান বাহিনীকে জেট জ্বালানি সরবরাহ করে, তাই এটিকে লক্ষ্যবস্তু করা স্বল্পমেয়াদে ইসরায়েলের সামরিক সক্ষমতা হ্রাস করতে পারে।

বাংলা৭১নিউজ/সূত্র: পার্সটুডে

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved © 2018-2025
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com