বাংলা৭১নিউজ,ডেস্ক:ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষার্থী ধর্ষণ মামলায় আসামি মজনুর বিরুদ্ধে অভিযোগ (চার্জশিট) গঠন করেছেন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল। প্রায় ৭ মাস পর অভিযোগ গঠনের মধ্যে দিয়ে এ ঘটনার বিচার কাজ আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হলো।
এর আগে বুধবার (২৬ আগস্ট) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭ এর বিচারক বেগম মোসাম্মৎ কামরুন্নাহারের আদালতে মামলার অভিযোগ গঠনের ভার্চুয়াল শুনানি শুরু হয়। গত ১৬ আগস্ট মামলার অভিযোগপত্র গ্রহণ করে এ দিন ধার্য করেন আদালত।
অভিযোগ গঠন করে আগামী ৯ সেপ্টেম্বর সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য করা হয়েছে। মজনুর পক্ষে কোনো আইনজীবী না থাকায় আদালতের নির্দেশে লিগ্যাল এইড থেকে তার পক্ষে আইনজীবী নিয়োগ করা হবে।মজনুকে একমাত্র আসামি করে গত ১৬ মার্চ ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক আবু সিদ্দিক। ওই দিনই আদালত মামলাটি পরবর্তী বিচারের জন্য নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তরের আদেশ দেন।
গত ৫ জানুয়ারি সন্ধ্যার পর সাড়ে ৫টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসে রওনা দেন ওই ছাত্রী। সন্ধ্যা ৭টার দিকে তিনি রাজধানীর কুর্মিটোলা বাসস্ট্যান্ডে বাস থেকে নামেন। এরপর একজন অজ্ঞাত ব্যক্তি তার মুখ চেপে ধরে সড়কের পেছনে নির্জন স্থানে নিয়ে যায়। সেখানে ধর্ষণের পাশাপাশি তাকে নির্যাতনও করা হয়। তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে ক্ষতচিহ্ন রয়েছে। ধর্ষণের একপর্যায়ে তিনি অজ্ঞান হয়ে পড়েন।
রাত ১০টার দিকে নিজেকে একটি নির্জন জায়গায় নিজেকে আবিষ্কার করেন ওই ছাত্রী। পরে সিএনজি নিয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে আসেন। রাত ১২টার দিকে ওই ছাত্রীকে ঢামেক হাসপাতালের ওয়ানস্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) ভর্তি করান তার সহপাঠীরা।
৬ জানুয়ারি রাতে ধর্ষণের শিকার ওই ছাত্রীর বাবা ক্যান্টনমেন্ট থানায় মামলা দায়ের করেন। প্রাথমিক তদন্ত ও অভিযোগ যাচাই-বাছাই শেষে রাতেই নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৯ (১) ধারায় মামলাটি তালিকাভুক্ত করে থানা কর্তৃপক্ষ।
পরে ৮ জানুয়ারি অভিযুক্ত ধর্ষক মজনুকে গ্রেফতার করে র্যাব। মজনুকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার পর সে ধর্ষণের কথা স্বীকার করে। এরপর ১৬ জানুয়ারি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়ে ধর্ষণের দায় স্বীকার করেন মজনু।
বাংলা৭১নিউজ/কেএম