বাংলা৭১নিউজ,ডেস্ক: কলকাতায় ১৩০ কিমি বেগে কলকাতার উপর দিয়ে বয়ে গিয়েছে ভয়ঙ্কর আমফান। এমন ঝড় বিগত কয়েকদিনে দেখা গিয়েছে কিনা অনেকেই তা মনে করতে পারছেন না। এমনও যে পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে তা ভেবেই অনেকেই শিউরে উঠছেন। পাকা বাড়িতে থেকেই প্রতি মুহূর্তে বুকে যেন পাথর চেপে রেখেছেন অনেকেই। কখন সরবে এই ঝড়, একটাই প্রার্থনা করে গিয়েছে অনেকেই।

প্রায় দু থেকে তিন ঘণ্টা ধ্বংসলীলা চালানোর পর পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত। আর তা শান্ত হতেই প্রকাশ্যে চলে শহরের বাস্তব ছবিটা। চারিদিকে তাকালে শুধুই ধ্বংসস্তুপের ছবি। কলকাতা কোথায় ভেঙে পড়েছে বড় বড় গাছ কোথাও আবার উপড়ে পড়েছে ল্যাম্পপোস্ট, ট্র্যাফিক সিগন্যাল। বন্ধ হয়ে গিয়েছে একের পর এক শহরের গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা। চারিদিকে তাকালে শুধুও ধ্বংসলীলা।

যদিও ইতিমধ্যে কলকাতা পুলিশের তরফে শুরু হয়েছে উদ্ধার কাজ। নামানো হয়েছে পুলিশের বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীকে। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় শুরু হয়েছে কাজ। চলছে গাছ কাটা। অন্যদিকে, পুরসভার তরফেও চলছে তৎপরতা। কীভাবে দ্রুত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা যায় তা দেখছেন খোদ মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম।

শুধু কলকাতা নয়, দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জায়গায় একই চেহারা। কোথাও বিদ্যুতের খুঁটি উপড়ে পড়েছে তো আবার কোথাও একেবারে মাটির ভিতর থেকে বেরিয়ে এসেছে গাছ। অনেক জায়গায় নারকেল গাছে ভেঙে পড়েছে। সাগর, কাকদ্বীপে ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা।

অন্যদিকে প্রবল সুপার সাইক্লোনের কারণে পুরো লণ্ডভণ্ড অবস্থা দিঘার সমুদ্র সৈকত। ভেঙেছে একাধিক গাড়ি। টিনের দোকান ভেঙে গিয়েছে। উপড়ে পড়েছে গাছ, বিদ্যুতের খুঁটিও।