বাংলা৭১নিউজ,(হিলি)প্রতিনিধিঃ করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে দীর্ঘদিন বন্ধ থাকলেও সরকারি নির্দেশে শহরের মার্কেটগুলো খোলায় সীমান্তবর্তী হিলির মার্কেটগুলোতে মানুষের ঢল নেমেছে। দোকানগুলোতে ভিড় করে পোশাকসহ নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কিনছেন।
সরেজমিনে দেখা যায়, কাপড়ের মার্কেটগুলোতে সামাজিক দূরত্ব না মেনেই সাধারণ মানুষ কেনা কাটা করছেন।এ ছাড়াও রাস্তায় শত শত অটোরিকশা নামায় বিভিন্ন রাস্তার মোড় এলাকায় যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। ভিড়ের কারনে অনেক সময় সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা সম্ভব হচ্ছে না। এ অবস্থায় করোনার চরম ঝুঁকিতে রয়েছে হিলিবাসী।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সচেতন করতে মাঠে থাকলেও কেউ নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা করছেনা।
ক্রেতারা বলছেন, ঝুঁকি জেনেও ঈদের কেনাকাটা করার জন্য বের হয়েছে। আর ব্যবসায়ীরা বলছেন, স্বাস্থ্যবিধি মেনেই কেনাবেচা করার চেষ্টা করা হচ্ছে। কিন্তু ক্রেতারা তা মানতে চাইছে না।
জয়পুরহাট খেকে আসা কোরবার মন্ডল নামক এক ক্রেতা জানান, জয়পুরহাটের দোকানগুলোতে চলছে লকডাউন তাই মেয়ে জামাইকে ঈদের জামা উপহার দিব তাই হিলি বাজারে এসেছি। কিন্তু দোকানগুলোতে স্বাস্থ্যবিধি মানা হচ্ছেনা ফলে করোনা সংক্রামনের ঝুঁকি বেশী হচ্ছে।
আব্দুর রহমান নামের এক ব্যাক্তি বলেন, হিলিকে সুরক্ষিত রাখতে হিলি বাজারের কাপড় ও বিপনী বিতান দোকানগুলো আবারও বন্ধ করে দেওয়া না হলে দ্রুত সংক্রামন ছড়াবে যা পরবর্তীতে ভয়ংকর হিলিবাসীর জন্য মারাত্বক ক্ষতির কারন হয়ে দাড়াবে।
কামাল হোসেন নামের আবও এক স্থানীয় ক্রেতা জানান, হিলি বাজারে আসা বেশি ভাগ ক্রেতাই রংপুর, রগুড়া, জয়পুরহাট, গাইবান্ধার বিভিন্ন স্থান থেকে আসা তারা কোন রকম স্বাস্থ্যবিধি মানছেননা।
হাকিমপুর পৌর মেয়র জামিল হোসেন চলন্ত বলেন, আমরা স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলাচল ও ঈদ উপহার কেনা কাটা করার জন্য জনগনকে পরামশ ও উপদেশ প্রদান করছি।
বাংলা৭১নিউজ/এবি