শনিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৬:৪৩ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
মাও সেতুংয়ের জন্মদিনে চীনের আকাশে ‘গোপন বৈশিষ্ট্যের’ যুদ্ধবিমান ক্রসফায়ারে নিহত বিএনপি নেতার পরিবারকে বাড়ি দিচ্ছেন তারেক রহমান নাশকতাকারীরা কোনোভাবেই দেশপ্রেমিক হতে পারে না : ধর্ম উপদেষ্টা গুম অবস্থায় ভারতের কারাগারে যাওয়ার লোমহর্ষক বর্ণনা দিলেন সুখরঞ্জন ঢাকা মেইলের সাংবাদিক কাজী রফিক আর নেই পাকিস্তানে পৃথক সংঘর্ষে এক মেজর ও ১৩ সন্ত্রাসী নিহত ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের মৃত্যুতে ড. ইউনূসের শোক বারবার জাতীয় পতাকাকে খামচে ধরছে পুরোনো শকুন: উপদেষ্টা আদিলুর রহমান আরাকান থেকে পালিয়ে দেশে ঢুকেছে আরও ৩৪ রোহিঙ্গা তেল আবিব বিমানবন্দরে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার দাবি হুথিদের আবাসন মেলায় ৪০৩ কোটি টাকার ফ্ল্যাট-প্লট বুকিং নির্বাচনেও যেতে হবে কিন্তু তার আগে মানুষকে স্বস্তি দিতে হবে: দেবপ্রিয় ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আজমীর বরখাস্তের আদেশ বাতিল: আইএসপিআর গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় যাওয়ার প্রধান ফটক হলো নির্বাচন: ফখরুল সচিবালয়ে অগ্নিকাণ্ড: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ গঠিত তদন্ত কমিটির কাজ শুরু সংস্কারের বিষয়ে ঐকমত্য হতে হবে, কাউকে প্রতিপক্ষ ভাবা ঠিক নয় জাতীয় নাগরিক কমিটি কোনো রাজনৈতিক দল হবে না: সারজিস আলম খালেদা জিয়া-তারেক রহমানের নির্বাচনে অংশ নিতে আইনি বাধা নেই ঢাকামাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে প্রাইভেটকারে বাসের ধাক্কা, নিহত ৫ নাশকতা নাকি দুর্ঘটনা তদন্ত চলছে: ফায়ারের ডিজি

আজ ওস্তাদ ফুলঝুরি খানের মৃত্যুবার্ষিকী, তুমি আছো অন্তরে মম

বাংলা ৭১ নিউজ
  • আপলোড সময় মঙ্গলবার, ৫ মে, ২০২০
  • ৩০৭ বার পড়া হয়েছে

♦সাখাওয়াত হোসেন বাদশা ♦

 আজ ৫ই মে। ওস্তাদ ফুলঝুরি খানের মৃত্যুবার্ষিকী। বাংলাদেশের সঙ্গীতাঙ্গনে এই  মহিয়ান ব্যক্তিটিকে স্মরণ করা হয় শ্র্রদ্ধার সাথে। ১৯৮২ সালের এই দিনে পূর্ব রামপুরা নিজ বাসভবণে তিনি ইন্তেকাল করেন। ১৯২০ সালে ব্রাহ্মণবাড়ীয়া জেলার নবীনগর উপজেলার বিটঘর গ্রামে তার জন্ম।

ফুলঝুরি খান ছিলেন একজন বাঙালি যন্ত্রসঙ্গীত ও উচ্চাঙ্গ সঙ্গীত শিল্পী। তিনি একজন দক্ষ তবলা ও এসরাজ বাদক। যন্ত্রসঙ্গীত ও উচ্চাঙ্গ সঙ্গীতে অবদানের জন্য তিনি ১৯৭৯ সালে বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক প্রদত্ত সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মান স্বাধীনতা পুরস্কার লাভ করেন।এছাড়াও তিনি সঙ্গীতে অবদানের জন্য ১৯৭৭ সালে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি পুরস্কার পেয়েছেন।

তার প্রকৃত নাম ছিল ইয়ার রসুল খান। পিতা লতিফ রসুল খান এবং মাতা কমলা-উন-নেসা ছিলেন ফকির আফতাবউদ্দিন খানের কন্যা। তার মাতামহ আফতাবউদ্দিনের ছোট দুই ভাই প্রখ্যাত সঙ্গীতজ্ঞ ওস্তাদ আলাউদ্দিন খান ও আয়েত আলী খান

ফুলঝুরি খানের তবলায় হাতেখড়ি হয় তার মাতামহ আফতাবউদ্দিন খানের নিকট। পরে আয়েত আলী খানের নিকট কিছুদিন তালিম গ্রহণ করার পর মাইহার রাজ্যে চলে যান এবং সেখানে মাতামহের ছোট ভাই ও সেখানকার রাজসভার সঙ্গীতজ্ঞ আলাউদ্দিন খাঁর নিকট তবলার তালিম নেন। মাইহার রাজসভায় গুরু আলাউদ্দিন খাঁর সরোদ বাজানোর সাথে তার তবলা বাদন শুনে মুগ্ধ হয়ে মাইহারের রাজা তাকে ‘ফুলঝুরি’ উপাধি দেন। সেই থেকে তার নাম হয়ে যায় ফুলঝুরি খান।

ফুলঝুরি খান এসরাজ বাদনেও দক্ষতা অর্জন করেন। পাশাপাশি তারসানাই, সেতার ও পাখোয়াজ বাজানোতেও পারদর্শী ছিলেন। তিনি আলাউদ্দিন খাঁ ও খ্যাতনামা নৃত্যশিল্পী উদয় শঙ্করের সাথে বিভিন্ন দেশ ভ্রমণ করেন। কিছুদিন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শান্তিনিকেতনে যন্ত্রসঙ্গীতেরও শিক্ষক ছিলেন। চিত্রাঙ্গদা নৃত্যনাট্যে তার এসরাজ বাজানো শুনে রবীন্দ্রনাথ মুগ্ধ হন। বিদ্রোহী কবি নজরুল ইসলামের সাথেও তার ছিল অনেক সখ্যতা।

ফুলঝুরি খান পরে শিলং চলে যান এবং সেখানে একটি সঙ্গীত বিদ্যালয় স্থাপন করে শিষ্যদের সঙ্গীত শিক্ষা দেন। ১৯৫১ সালে ঢাকায় চলে আসেন এবং ঢাকা বেতারকেন্দ্রে নিজস্ব শিল্পী হিসেবে যোগ দেন। তিনি ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত বেতারে তারসানাই বাজাতেন।

ফুলঝুরি খান কয়েকটি চলচ্চিত্রের সঙ্গীতের জন্য এসরাজ বাজান। তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্রসমূহ হল মুখ ও মুখোশ (১৯৫৬), আকাশ আর মাটি (১৯৫৯), রাজধানীর বুকে (১৯৬০), নতুন সুর (১৯৬২), সূর্য স্নান (১৯৬২), ও সূর্যগ্রহণ (১৯৭৬)।

উল্লেখ্য, ফুলঝুরি খানের পাঁচ ছেলে ও পাঁচ মেয়ে রেখে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। তার পাঁচ ছেলের মধ্যে মোঃ ইউনুস খান সরোদ বাদক, মোঃ জাফর খান সেতার বাদক, মোঃ ইউসুফ খান সরোদ বাদক, মোঃ ইলিয়াস খান তবলা বাদক, এবং মোঃ খায়রুল ইসলাম খান তবলা বাদক। তবে তার সন্তানদের মধ্যে ইউনুস খান, শামসুন্নাহার হাসিনা ও খায়রুল ইসলাম খান চিরদিনের জন্য এই দুনিয়ার মায়া ত্যাগ করে চলে গেছেন।

বাংলা৭১নিউজ/এসএইচবি

 

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৪ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com