রবিবার, ০৬ অক্টোবর ২০২৪, ১০:৩৫ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
শুরুতেই দুই উইকেট হারিয়ে চাপে বাংলাদেশ সাবেক মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী গ্রেফতার টস জিতে বাংলাদেশকে ব্যাটিংয়ে পাঠিয়েছে ভারত সরকারের প্রতি জি এম কাদেরের ত্রাণ সহায়তার আহ্বান ডেঙ্গুতে আরো ৪ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ১২২৫ বাজার মনিটরিংয়ে টাস্কফোর্স গঠন হচ্ছে : আসিফ ভারত থেকে এলো ২ লাখ ৩১ হাজার ডিম, পিস ৭.৫ টাকা কোনো নিরাপত্তাঝুঁকি নেই, নির্বিঘ্নে পূজা হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা সুদ মওকুফ করে ঋণ রিশিডিউল করার দাবি চামড়া ব্যবসায়ীদের ১০০০ আইটি ইঞ্জিনিয়ারকে প্রশিক্ষণ দিতে চায় জাইকা বাংলাদেশের খাদ্য নিরাপত্তায় সহায়তা দেবে যুক্তরাষ্ট্রের ইউএসটিডি দুই জাহাজে অগ্নিকাণ্ড: নৌ-মন্ত্রণালয়ের তদন্ত কমিটি গঠন অভ্যুত্থানে ১০৫ শিশু নিহত, প্রত্যেক পরিবার পাচ্ছে ৫০ হাজার টাকা ক্রিকেটার ছদ্মবেশে শ্রমিক নেওয়ার অভিযোগে ২১ বাংলাদেশি আটক ইসরায়েলি হামলা হলে জবাব দিতে পরিকল্পনা প্রস্তুত ইরানের সাবেক স্বরাষ্ট্র সচিব আমিনুল গ্রেপ্তার অনুমাননির্ভর কোনো কথা বলতে চাই না: সাখাওয়াত হোসেন সমাজকল্যাণ উপদেষ্টার প্রশ্ন সংস্কার ছাড়া নির্বাচন নিতে পারবেন শেখ হাসিনার সাবেক মুখ্য সচিবের ৭ দিনের রিমান্ড হেলেনা জাহাঙ্গীর-রাসেল মিয়ার বিরুদ্ধে মামলা

আজ ওস্তাদ ফুলঝুরি খানের মৃত্যুবার্ষিকী, তুমি আছো অন্তরে মম

বাংলা ৭১ নিউজ
  • আপলোড সময় মঙ্গলবার, ৫ মে, ২০২০
  • ২৭৮ বার পড়া হয়েছে

♦সাখাওয়াত হোসেন বাদশা ♦

 আজ ৫ই মে। ওস্তাদ ফুলঝুরি খানের মৃত্যুবার্ষিকী। বাংলাদেশের সঙ্গীতাঙ্গনে এই  মহিয়ান ব্যক্তিটিকে স্মরণ করা হয় শ্র্রদ্ধার সাথে। ১৯৮২ সালের এই দিনে পূর্ব রামপুরা নিজ বাসভবণে তিনি ইন্তেকাল করেন। ১৯২০ সালে ব্রাহ্মণবাড়ীয়া জেলার নবীনগর উপজেলার বিটঘর গ্রামে তার জন্ম।

ফুলঝুরি খান ছিলেন একজন বাঙালি যন্ত্রসঙ্গীত ও উচ্চাঙ্গ সঙ্গীত শিল্পী। তিনি একজন দক্ষ তবলা ও এসরাজ বাদক। যন্ত্রসঙ্গীত ও উচ্চাঙ্গ সঙ্গীতে অবদানের জন্য তিনি ১৯৭৯ সালে বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক প্রদত্ত সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মান স্বাধীনতা পুরস্কার লাভ করেন।এছাড়াও তিনি সঙ্গীতে অবদানের জন্য ১৯৭৭ সালে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি পুরস্কার পেয়েছেন।

তার প্রকৃত নাম ছিল ইয়ার রসুল খান। পিতা লতিফ রসুল খান এবং মাতা কমলা-উন-নেসা ছিলেন ফকির আফতাবউদ্দিন খানের কন্যা। তার মাতামহ আফতাবউদ্দিনের ছোট দুই ভাই প্রখ্যাত সঙ্গীতজ্ঞ ওস্তাদ আলাউদ্দিন খান ও আয়েত আলী খান

ফুলঝুরি খানের তবলায় হাতেখড়ি হয় তার মাতামহ আফতাবউদ্দিন খানের নিকট। পরে আয়েত আলী খানের নিকট কিছুদিন তালিম গ্রহণ করার পর মাইহার রাজ্যে চলে যান এবং সেখানে মাতামহের ছোট ভাই ও সেখানকার রাজসভার সঙ্গীতজ্ঞ আলাউদ্দিন খাঁর নিকট তবলার তালিম নেন। মাইহার রাজসভায় গুরু আলাউদ্দিন খাঁর সরোদ বাজানোর সাথে তার তবলা বাদন শুনে মুগ্ধ হয়ে মাইহারের রাজা তাকে ‘ফুলঝুরি’ উপাধি দেন। সেই থেকে তার নাম হয়ে যায় ফুলঝুরি খান।

ফুলঝুরি খান এসরাজ বাদনেও দক্ষতা অর্জন করেন। পাশাপাশি তারসানাই, সেতার ও পাখোয়াজ বাজানোতেও পারদর্শী ছিলেন। তিনি আলাউদ্দিন খাঁ ও খ্যাতনামা নৃত্যশিল্পী উদয় শঙ্করের সাথে বিভিন্ন দেশ ভ্রমণ করেন। কিছুদিন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শান্তিনিকেতনে যন্ত্রসঙ্গীতেরও শিক্ষক ছিলেন। চিত্রাঙ্গদা নৃত্যনাট্যে তার এসরাজ বাজানো শুনে রবীন্দ্রনাথ মুগ্ধ হন। বিদ্রোহী কবি নজরুল ইসলামের সাথেও তার ছিল অনেক সখ্যতা।

ফুলঝুরি খান পরে শিলং চলে যান এবং সেখানে একটি সঙ্গীত বিদ্যালয় স্থাপন করে শিষ্যদের সঙ্গীত শিক্ষা দেন। ১৯৫১ সালে ঢাকায় চলে আসেন এবং ঢাকা বেতারকেন্দ্রে নিজস্ব শিল্পী হিসেবে যোগ দেন। তিনি ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত বেতারে তারসানাই বাজাতেন।

ফুলঝুরি খান কয়েকটি চলচ্চিত্রের সঙ্গীতের জন্য এসরাজ বাজান। তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্রসমূহ হল মুখ ও মুখোশ (১৯৫৬), আকাশ আর মাটি (১৯৫৯), রাজধানীর বুকে (১৯৬০), নতুন সুর (১৯৬২), সূর্য স্নান (১৯৬২), ও সূর্যগ্রহণ (১৯৭৬)।

উল্লেখ্য, ফুলঝুরি খানের পাঁচ ছেলে ও পাঁচ মেয়ে রেখে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। তার পাঁচ ছেলের মধ্যে মোঃ ইউনুস খান সরোদ বাদক, মোঃ জাফর খান সেতার বাদক, মোঃ ইউসুফ খান সরোদ বাদক, মোঃ ইলিয়াস খান তবলা বাদক, এবং মোঃ খায়রুল ইসলাম খান তবলা বাদক। তবে তার সন্তানদের মধ্যে ইউনুস খান, শামসুন্নাহার হাসিনা ও খায়রুল ইসলাম খান চিরদিনের জন্য এই দুনিয়ার মায়া ত্যাগ করে চলে গেছেন।

বাংলা৭১নিউজ/এসএইচবি

 

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৩ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com