বাংলা৭১নিউজ,ডেস্ক: এমনিতে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে দক্ষিণ এশিয়া। এরই মধ্যে নতুন আপদ হিসেবে বঙ্গোপসাগরে হাজির হচ্ছে ঘূর্ণিঝড়।
আবহাওয়া অফিসের বরাত দিয়ে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এই সময় জানায়, পূর্বাভাস মিলে গেলে এপ্রিলের শেষ বা মে মাসের একেবারে শুরুতেই বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হবে ঘূর্ণিঝড়ের।
এই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে ঝড়-বৃষ্টির আশঙ্কা আন্দামান-নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে। ঘূর্ণিঝড় কতটা শক্তিশালী হবে, শেষমেশ কোথায় আছড়ে পড়বে, তা বলার সময় এখনো আসেনি।
বঙ্গোপসাগর বা আরব সাগরে ঘূর্ণিঝড়ের সম্ভাবনা আছে কিনা, দুই সপ্তাহ আগেই তার ইঙ্গিত আগাম জানায় ভারতের আবহাওয়া অফিস।
বৃহস্পতিবারের বুলেটিনে আবহাওয়াবিদরা জানান, মে মাসের প্রথমেই আন্দামান সাগর লাগোয়া দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে একটি ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টি হতে পারে।
আবহাওয়া দপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) মৃত্যুঞ্জয় মহাপাত্র বলেন, ‘বর্ষার আগে এবং বর্ষার পরে দুই দফায় ঘূর্ণিঝড়ের মৌসুম। এই সময় ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টির সহায়ক পরিবেশ থাকে। আস্তে আস্তে অনুকূল পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে। তারই হাত ধরে দিন সাতেক পর দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে একটি ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টি হবে।’
তিনি বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে প্রভাব পড়বে আন্দামান-নিকোবরের দ্বীপগুলোতে। এর পর ঘূর্ণিঝড়ের অভিমুখ কী হবে, তা আরও একটু সময় না-গেলে স্পষ্ট হবে না।’
ভারতের আবহাওয়া অফিসের পূর্বাঞ্চলীয় প্রধান, উপ-মহানির্দেশক সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘২৭ এপ্রিলের পর আন্দামান সাগরে একটি ঘূর্ণাবর্ত উদয় হবে। সেটি শক্তি বাড়াতে পারে।’
এদিকে মিয়ানমারের আবহাওয়া দপ্তরও এপ্রিলের শেষে নিম্নচাপ সৃষ্টির আভাস দিয়ে রেখেছে।
এই সময় জানায়, এপ্রিলে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড়ের ভারতের মূল ভূখণ্ডের দিকে এগিয়ে আসার প্রবণতা কম। ১৮৯১ সাল থেকে এ পর্যন্ত এপ্রিলে সৃষ্ট কোনো ঘূর্ণিঝড়ই পশ্চিমবঙ্গে আঘাত হানেনি। আর ভারতের পূর্ব উপকূলে হাজির হয়েছে মাত্র চারটি ঘূর্ণিঝড়। বাকি ২৪টির গন্তব্য হয়েছে বাংলাদেশ বা মিয়ানমার।
মে মাসে পশ্চিমবঙ্গে আছড়ে পড়া ঘূর্ণিঝড়ের সংখ্যা সাত। এর মধ্যে একটি ২০০৯ সালের ‘আইলা’। ওডিশা-অন্ধ্রের পথে গেছে ১৩টি ঘূর্ণিঝড়। বাংলাদেশ ও মিয়ানমার মিলিয়ে সংখ্যাটা অনেক বেশি, ৪০টি।
সবটাই সম্ভাবনার পর্যায়ে থাকলেও একটি বিষয় ইতোমধ্যেই নির্ধারিত। তা হল ঘূর্ণিঝড়ের নাম। নিম্নচাপ ঘূর্ণিঝড়ের চেহারা নিলেই নাম দেওয়া হবে ‘উম্পুন’। নামটি দিয়েছে থাইল্যান্ড। ঘূর্ণিঝড়ের বর্তমান তালিকার এটিই শেষ নাম। প্রকাশের অপেক্ষায় ঘূর্ণিঝড়ের নামের নতুন তালিকা।
বাংলা৭১নিউজ/এসআর