বাংলা৭১নিউজ, ডেস্ক: চীনের কোয়ান্টাম রাডার প্রযুক্তিবিপক্ষের চোখ ফাঁকি দিতে সক্ষম স্টেলথ বিমান শনাক্ত করতে কোয়ান্টাম রাডার প্রযুক্তি উদ্ভাবনের দাবি করেছে চীন।
চীনের বিশেষজ্ঞদের দাবি, যুক্তরাষ্ট্রের স্টেলথ জেট বিমানও তাদের চোখ ফাঁকি দিতে পারবে না।
চীনের প্রতিরক্ষা দপ্তর বিশ্বের প্রথম এই কোয়ান্টাম রাডার প্রযুক্তি উদ্ভাবনের কথা জানিয়েছে বলে চীনের গণমাধ্যমগুলোতে উঠে এসেছে। এই রাডার প্রযুক্তি ৬২ মাইলের বেশি দূরের বস্তুও শনাক্ত করতে পারে। চীনের এই দাবি সঠিক হলে বি-২, এফ-২২ র্যাপ্টর ফাইটারের মতো স্টেলথ বিমানগুলোও চীনের নজর এড়াতে পারবে না।
কোয়ান্টাম রাডার প্রযুক্তি ‘কোয়ান্টাম এনট্যানগেলডমেনট’ তত্ত্বের ওপর ভিত্তি করে প্রতিষ্ঠিত। এ তত্ত্ব অনুযায়ী, দুটি ভিন্ন ধরনের কণা পরস্পরের মধ্যে একধরনের সম্পর্ক বজায় রাখে। একটি কণা বিশ্লেষণ করে বহুদূর থেকে অন্য কণা সম্পর্কে তথ্য জানা যায়। এই দুটি কণাকে বলা হয় ‘এনট্যানগেলড’।
কোয়ান্টাম রাডারে একটি ফোটনকে দুটি এনট্যানগেলড ফোটনে বিভক্ত করা হয়। প্রক্রিয়াটিকে বলে প্যারামেট্রিক ডাউন-কনভারসন। রাডারে একাধিক ফোটনকে এনট্যানগেলড জোড়ায় বিভক্ত করা হয়।
এর অর্ধেক মাইক্রোওয়েভ বিমের মাধ্যমে বাতাসে নিক্ষেপ করা হয়। অন্য সেট রাডারের বেসে অবস্থান করে। বেসে অবস্থান করা ফোটন বিশ্লেষণ করে রাডার অপারেটর বাইরে পাঠানো ফোটনের তথ্য জানতে পারে। কোনো বস্তুর আকার, গতি, দিক প্রভৃতি বোঝা যায়।
কোয়ান্টাম রাডারে রেডিও ওয়েভের পরিবর্তে সাবঅ্যাটমিক বা অতিপারমাণবিক কণার ব্যবহার করা হয় বলে প্রচলিত রাডারকে ফাঁকি দেওয়ার প্রযুক্তি কাজে লাগে না।
গ্লোবাল টাইমসের তথ্য অনুযায়ী, গত মাসে চায়না ইলেকট্রনিকস টেকনোলজি করপোরেশন (সিইটিসি) এই রাডার তৈরি করেছে।
অবশ্য এ প্রযুক্তি নিয়ে চীন ছাড়াও মার্কিন প্রতিষ্ঠান লকহিড মার্টিনও কাজ করছে। ২০০৮ সালে এর পেটেন্ট নেয় প্রতিষ্ঠানটি। এরপর থেকে প্রতিষ্ঠানটি চুপচাপ রয়েছে। তবে বিষয়টি অতিগোপনীয় বলেই এত দিন সামনে আসেনি।
বাংলা৭১নিউজ/তথ্যসূত্র: ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস