বাংলা৭১নিউজ,(কক্সবাজার)প্রতিনিধি: চলমান লকডাউনে প্রশাসনের চোখকে ফাঁকি দিতে অ্যাম্বুলেন্সযোগে গোপনে কক্সবাজারে প্রবেশ করায় ছয়জনকে ১১ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। পাশাপাশি অ্যাম্বুলেন্সে ঢাকা থেকে আসা এ ছয়জনকে রাখা হয়েছে ১৪ দিনের হোম কোয়ারেন্টাইনে।
রোববার থেকে আগামী ১৪ দিন তারা কঠোর নজরদারিতে থাকবেন বলে জানিয়েছেন চকরিয়া ইউএনও এবং নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নুরুদ্দীন মো. শিবলী নোমান।
সূত্র জানায়, বুধবার বিকেল (৮ এপ্রিল) থেকে কক্সবাজার জেলাকে লকডাউন ঘোষণা করেছেন জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও জেলা প্রশাসক মো. কামাল হোসেন। সেই মতে, পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত বিনা জরুরি কারণে কক্সবাজার থেকে কেউ বের হবেন না আর বাইরের কোনো জেলা থেকেও পর্যটন নগরীতে ঢুকবেন না।
৯ এপ্রিল থেকে সেভাবেই চলছে। কিন্তু প্রশাসনকে বোকা বানাতে অ্যাম্বুলেন্সকে হাতিয়ার বানিয়ে ঢাকা থেকে ছয় ব্যক্তি গোপনে কক্সবাজারে প্রবেশ করেছেন শনিবার (১১ এপ্রিল)। তারা কক্সবাজারের চকরিয়া পৌরসভার কাহারিয়াঘোনা ও করাইয়াঘোনা গ্রামে এসে নিজেদের লুকিয়ে রাখেন।
তাদের খুঁজে বের করে ১১ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানার পাশাপাশি ছয়জনকে রাখা হয়েছে ১৪ দিনের হোম কোয়ারেন্টাইনে। রোববার থেকে আগামী ১৪ দিন তারা কঠোর নজরদারিতে থাকবেন বলে জানিয়েছেন চকরিয়া ইউএনও এবং নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নুরুদ্দীন মো. শিবলী নোমান।
জেলা প্রশাসক মো. কামাল হোসেন বলেন, কক্সবাজার একটি পর্যটন নগরী। তার ওপর এখানে অবস্থান করছে মানবিক আশ্রয়ে থাকা প্রায় সাড়ে ১১ লাখ রোহিঙ্গা। দেশের স্বার্থে, কক্সবাজারের পর্যটনের স্বার্থে করোনা সংক্রমণ রোধে লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। নিজেরা সচেতন না হলে শাস্তি দিয়ে, জরিমানা করে দুর্যোগ রোধ করা কষ্টসাধ্য বিষয়। পরিবার, দেশ ও দশের স্বার্থে নিজে সচেতন থাকার পাশাপাশি পাশের জনকেও সচেতন হওয়ার তাগাদা দিতে তিনি পাড়া-মহল্লা এবং সমাজের লোকজনকে আহ্বান জানান। এরপরও কোনো কাজ না হলে, আইন অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে আরও কঠোর হতে হবে প্রশাসনকে।
বাংলা৭১নিউজ/এফএস