বাংলা৭১নিউজ, মাগুরা: জেলায় চলতি মৌসুমে কাঁচা মরিচের ভাল দাম পেয়ে খুশি কৃষকরা। এ মৌসুমে পাইকারি বাজারে মরিচ গড়ে মণ প্রতি ২ হাজার ৮০০ থেকে ৩ হাজার ২০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, এ মৌসুমে জেলায় লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় বেশি জমিতে মরিচ চাষ হয়েছে। জেলার চার উপজেলায় ৮৯৩ হেক্টর জমিতে মরিচ চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছিল কৃষি বিভাগ। চাষ হয়েছে ১ হাজার ১৮ হেক্টর জমিতে।
যা লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় ১২৫ হেক্টর বেশি। এর মধ্যে মাগুরা সদর উপজেলায় ৫০০ হেক্টর, শ্রীপুরে ৩০০ হেক্টর, শালিখায় ২৮ হেক্টর ও মহম্মদপুর উপজেলায় ১১০ হেক্টর জমিতে মরিচ চাষ হয়েছে। যা থেকে ১ হাজার ৬৪৩ মেট্রিক টন মরিচ উৎপাদিত হবে।
কৃষি বিভাগের দেয়া তথ্য মতে, বর্তমান খরিপ মরিচ-১ ও খরিপ মরিচ-২ মৌসুমের মরিচ বাজারে বিক্রি হচ্ছে। মৌসুম শুরু হয়েছে মার্চ মাস থেকে যা চলবে চলতি বছরের রবি মৌসুম শুরুর আগ পর্যন্ত । তবে বর্তমান সময়ে বৃষ্টি পাতের কারনে ক্ষেতের মরিচ গাছ কিছুটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
এ ক্ষতির কথা মাথায় রেখে কৃষি বিভাগ থেকে প্রয়োজনীয় পরমর্শ দেয়ায় মরিচ ক্ষেতের বিশেষ পরিচর্যা করছে কৃষকরা। এর ফলে কৃষকরা মরিচ ক্ষেত থেকে তুলে বাজারে ভাল দামে বিক্রি করতে পারছেন।
কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, কৃষি বিভাগের পরামর্শে তারা মরিচ ক্ষেতের পরিচর্যা করে মরিচ উৎপাদন অব্যাহত রাখায় ভালো ফলন পাওয়ার পাশাপাশি ভাল দামে বিক্রি করতে পারছেন। তবে প্রতি কেজি কাঁচা মরিচের গড় দাম ৭০ থেকে ৮০ টাকা হলেও বিভিন্ন সময় দাম ওঠা নামা করছে। বিশেষ করে ঈদকে সামনে রেখে শহরের খুচরা বাজার গুলোতে ১’শ থেকে দেড়শ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ঈদের পরে গড় দাম অব্যাহত থাকবে বলে আশা করছে কৃষকরা।
সদর উজেলার বালিয়াডাঙ্গা গ্রামের কৃষক আইয়ুব হোসেন জানান, তিনি ২২ শতক জমিতে মরিচ চাষ করেছে। মরিচের ফলন ভাল হয়েছে। এ মৌসুমে প্রতি কেজি মরিচ গড়ে ৭০ থেকে ৮০ টাকা দামে বিক্রি করছেন। এ হিসেবে গড়ে প্রতিমণ বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৮০০ থেকে ৩ হাজার ২০০ দরে। ভাল দামে মরিচ বিক্রি করে লাভবান হচ্ছেন তিনি।
সদর উপজেলার গোয়লাবাড়ি এলাকার তুজাম হোসেন জানান, তিনি ১৬ শতক জমিতে মরিচ চাষ করে ভালো ফলন পেয়েছেন। ভাল দামে মরিচ বিক্রি করতে পেরে তিনি খুশি।
বাংলা৭১নিউজ/এমআর