বাংলা৭১নিউজ, বোদা (পঞ্চগড়) প্রতিনিধি: পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলা এবং ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার শেষ সীমা রেখায় পাথরাজ নদী। এই পাথরাজ নদী বিভাজন করে রেখেছে বোদা ও ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার কয়েকটি গ্রামের মানুষদের।
বোদা উপজেলার চন্দনবাড়ী ইউনিয়নের শমসের নগর, প্রামাণিকপাড়া, বলরামহাট, কুমারপাড়া বালাডাঙ্গা ও ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার ১৫নং দেবীপুর ইউনিয়নের মুজাবর্ণী, খলিশাকুড়ি সাঁওতাল পল্লী ঘেঁষে এক বেঁকে চলে গেছে পাথরাজ নদী। নদীর এপার ও ওপারের মানুষের মধ্যে রয়ে গেছে দীর্ঘ দিনের আত্বীয়তার সর্ম্পক।
তাছাড়া ঠাকুরগাঁও অঞ্চলের বেশি ভাগ মানুষের পদচারণ বোদা সদরের নগরকুমারী হাটকে ঘিরে। দীর্ঘ পথ ঘুরে ওপারের মানুষদের কৃষি পণ্য নিয়ে আসতে হয় বোদা উপজেলার সদরের হাটে। শমসেরনগর ও মুজাবর্ণীর সীমানায় পাথরাজ নদীর উপর সেতু নির্মিত হলে দু’অঞ্চলের যোগাযোগ ব্যবস্থার যেমন উন্নতি হবে তেমনি কৃষি বাণিজ্যে লাভবান হবে দুই এলাকার জনসাধারণ।
জানা গেছে, ইতিপুর্বে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার দেবীপুর ইউনিয়নবাসী ও বোদা চন্দনবাড়ী ইউনিয়নবাসী পাথরাজ নদীর উপর সেতু নিমার্ণের জন্য সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে ধরনা দিয়েছেন। দেবীপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান নুর ইসলাম জানান, সেতুটি নিমার্ণে সরকারের বিভিন্ন মহলে আবেদন ও নিবেদন করেছিলেন। সেই সময় তত্বাবধায় সরকারের আমলে ২০০৮ সালে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর ঠাকুরগাঁও ৯১ লাখ ৮৯ হাজার ৯৮২ টাকার প্রকল্প তৈরী করে অনুমোদনের জন প্রেরণ করেছিলেন। ৪২.০৫ মিটারের দীর্ঘ সেতুটি কি কারণে আজও নির্মিত হলো না এই প্রশ্নটা এখন দেবীপুর ও চন্দনবাড়ী ইউনিয়নবাসীর।
বর্তমানে পাথরাজ নদী পুনঃ খনন কাজ চলছে। নদী পুনঃ খনন করায় এখন পাথরাজ নদীতে অনেক পানি জমে গেছে। স্থানীয় মানুষজন নদী পারাপারের জন্য বাঁশ দিয়ে বাঁধ তৈরী করে জীবনের ঝুকি নিয়ে চলাচল করছেন। এ ব্যাপারে স্থানীয় সমাজসেবী আশরাফুল আলম, চন্দনবাড়ী ইউ’পি চেয়ারম্যান ও দেবীপুর ইউ’পি চেয়ারম্যান সহ স্থানীয় জনসাধারণের দাবী দ্রুত সময়ে এই সেতুটি নিমাণের্র।
বাংলা৭১নিউজ/এবি