বাংলা৭১নিউজ, মানিকগঞ্জ: মানিকগঞ্জে বন্যার পানি কমছে, তবে সেই সঙ্গে নতুন করে শুরু হয়েছে নদী ভাঙন। অপর দিকে পানিবাহিত রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে এসব এলাকায়।
এ ব্যাপারে বন্যাকবলিত মানুষদের বিভিন্ন রোগের বিষয়ে সচেতন করতে প্রতিটি উপজেলা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ের স্বাস্থ্যকর্মীদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। শুধু তাই নয়, বন্যায় যেসব অবকাঠামো নষ্ট হয়েছে, সেসব অবকাঠামো মেরামতের পরিকল্পনাও হাতে নেওয়া হয়েছে। এমনটা জানান স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী জাহিদ মালেক স্বপন।
এবারের বন্যায় মানিকগঞ্জ সদর, দৌলতপুর, শিবালয়, হরিরামপুর, সিঙ্গাইর ও সাটুরিয়া উপজেলার প্রায় একলাখ পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়ে। বন্যার পানিতে তলিয়ে যায় এসব এলাকার হাজার হাজার একর ফসলি জমি।
দৌলতপুর উপজেলার বাঁচামারা গ্রামের গফুর মিয়া জানান, বন্যার পানি কমে যাওয়ার পর এলাকায় বিশুদ্ধ পানির অভাব দেখা দিয়েছে।
চরকাটারী এলাকার জসিম মিয়া জানান, দীর্ঘদিন পানির মধ্যে থাকার পর শরীরে চুলকানি দেখা দিয়েছে।
এদিকে বন্যার পানি কমে যাওয়ার পর এখনো ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়াচ্ছেন বিভিন্ন শ্রেনির মানুষ। চাল, ডাল, চিনি, তেল, লবনসহ আর্থিক সহযোগিতা নিয়ে তারা ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়াচ্ছেন।
ঢাকার ব্যবসায়ী এস এম জাহিদ জানান, বন্যার সময়ে ভানবাসি মানুষ ত্রাণ পেয়েছে। কিন্তু বন্যার পর তারা ত্রাণ পান না। এ কারণে বন্যা কমে যাওয়ার পর তিনি বানবাসিদের জন্য চাল, ডাল, লবন, চিনি ও তেল নিয়ে এসেছেন।
বন্যার সময় যেসব অবকাঠামো নষ্ট হয়েছে, সেসব অবকাঠামো মেরামতের পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে সরকার। এমনটিই জানিয়েছেন স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী জাহিদ মালেক স্বপন।
বাংলা৭১নিউজ/বিআর