বাংলা৭১নিউজ,চট্টগ্রাম: চট্টগ্রামে নিখোঁজ নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া ছাত্র মো. জুনায়েদ হোসেন (আকিব) ও তাঁর গাড়িচালক মোহাম্মদ মোস্তফার খোঁজ মিলেছে। মোস্তফাকে গতকাল বুধবার রাতে চট্টগ্রাম নগরের বন্দর এলাকার তুলরোডে কে বা কারা রেখে যায়। আর জুনায়েদ ঢাকায় তাঁর এক আত্মীয়ের বাসায় রয়েছেন।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে চট্টগ্রাম নগর পুলিশ কার্যালয়ে গাড়িচালক মোস্তফা ঘটনার বর্ণনা দিয়ে বলেন, তাঁকে ও জুনায়েদকে একটি মাইক্রোবাসে তুলে চোখ বেঁধে ফেলা হয়। তবে তারা কারা ছিলেন—তিনি তাদের চিনতে পারেননি। জুনায়েদ ও তাঁকে দুটি আলাদা ঘরে রাখা হয়েছে। তাঁর ঘরটি অন্ধকার ছিল। তাঁকে কোনোপ্রকার মারধর করা হয়নি বলে তিনি জানান। তবে কারা তাঁকে নিয়ে গিয়েছিল, তিনি তা বুঝতে পারেননি। তাঁকে কেউ কিছু জিজ্ঞেসও করেনি।
জুনায়েদের বিষয়ে কিছু জানেন না বলে দাবি করেন গাড়িচালক মোস্তফা।
এ সময় মোস্তফার সঙ্গে ছিলেন জুনায়েদের ভগ্নিপতি এস এম আবুল মঞ্জুর। তিনি বলেন, জুনায়েদ গতকাল রাতে ফোন করেছিলেন। তাঁকে ঢাকার বসুন্ধরায় কে বা কারা নামিয়ে দেয়। চট্টগ্রামে যাওয়ার পর তাঁরা বিস্তারিত জানতে পারবেন বলে তিনি উল্লেখ করেন।
খুলশী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নিজামউদ্দিন বলেন, চালক মোস্তফাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। আর জুনায়েদকে চট্টগ্রামে আনা হচ্ছে।
গত সোমবার দুপুরে চট্টগ্রামের আগ্রাবাদ থেকে ব্যক্তিগত গাড়িতে করে নিজ বাসা খুলশী থানাধীন কুসুমবাগ আবাসিক এলাকায় ফেরার পথে গরীবুল্লাহ শাহ মাজারের কাছ থেকে জুনায়েদ নিখোঁজ হন। তাঁর সঙ্গে গাড়িচালক মোস্তফারও খোঁজ মিলছিল না। এ ঘটনায় সোমবার রাতে জুনায়েদের পরিবারের পক্ষ থেকে খুলশী থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়। গতকাল সন্ধ্যায় নগরের খুলশীর ডায়াবেটিক হাসপাতালের কার পার্কিংয়ের জায়গায় পরিত্যক্ত অবস্থায় জুনায়েদের গাড়িটি পাওয়া যায়।
বাংলা৭১নিউজ/এসএইস