বাংলা৭১নিউজ,(পিরোজপুর)প্রতিনিধি: পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় ছেলের মারপিটের শিকার হয়ে শনিবার সকালে আম্বিয়া বেগম (৭০) নামে এক বৃদ্ধা ভর্তি হয়েছিলেন হাসপাতালে। কয়েক ঘন্টা পরই তার মৃত্যু হয়। বৃদ্ধা মাকে মারপিট করা ছেলে জলিল তালুকদার ঘটনার পর স্ত্রী-সন্তান নিয়ে পালিয়ে গেছেন। পুলিশ তাকে গ্রেপ্তারে অভিযান শুরু করেছে।
স্বজনরা জানান, শনিবার সকালে তুষখালী ইউনিয়নের জানখালী গ্রামে অমানবিক এ ঘটনা ঘটে। বৃদ্ধা আম্বিয়া বেগম তার স্বামী হেমায়েত তালুকদার ও ছোট ছেলে শহীদ তালুকদারকে নিয়ে নিজেদের সুপারী বাগানে গিয়েছিলেন। সেখানে সুপারী পাড়া শুরু করলে বাধা দেন বড় ছেলে জলিল তালুকদার। সম্পর্কের অবনতি ঘটনায় জলিল স্ত্রী-সন্তান নিয়ে পৃথক থাকেন। সুপারী গাছের মালিকানা নিয়ে ঝগড়া শুরু হলে জলিল এক পর্যায়ে বৃদ্ধ পিতাকে মারধর শুরু করেন। তখন মা আম্বিয়া বাঁধা দিলে তিনিও মারপিটের শিকার হন। জলিলের সাথে যুক্ত হন তার স্ত্রী মাহমুদা বেগম ও দুই ছেলে। ঘটনাস্থলেই চেতনা হারিয়ে ফেলেন আম্বিয়া বেগম। তখন তাকে উদ্ধার করে প্রতিবেশি ও স্বজনরা নিয়ে যান উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। হাসপাতালে চিকিৎসাধিন অবস্থায় বেলা সাড়ে চারটার দিকে আম্বিয়া বেগম মারা যান।
এদিকে ঘটনা জেনে পুলিশ হাসপাতালে পৌছে বৃদ্ধার লাশ ময়নাতদন্তের জন্য নিয়ে যায়। নিহত আম্বিয়া বেগম পাঁচ সন্তানের জননী। হত্যাকারী হিসেবে অভিযুক্ত জলিল তালুকদার তার বড় ছেলে। ঘটনার পর জলিল তার পরিবারের সদস্যদের নিয়ে পালিয়ে গেছেন।
মঠবাড়িয়া থানার ওসি মো. মাসুদুজ্জামান জানান, বৃদ্ধার লাশ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে।
বাংলা৭১নিউজ/পিআর