বাংলা৭১নিউজ(কক্সবাজার)প্রতিনিধি: কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলায় ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ না পেয়ে এক শিশুকে গলাটিপে হত্যা করেছেন অপহরণকারীরা। নিহত শিশুর নাম আরাফাত (৮)।
শনিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে মগনামা ইউনিয়নের নাপিতারদ্বিয়া এলাকা ফসলি জমি থেকে ওই শিশুর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
নিহত আরাফাত উপজেলার বারবাকিয়া ইউনিয়নের কাদিমাকাটা গ্রামের ওমান প্রবাসী রুহুল কাদেরের ছেলে। সে বারাইয়াকাটা নুরানী মাদ্রাসার ১ম শ্রেণির ছাত্র।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার আরাফাত নিজ এলাকা থেকে অপহরণ হয়।
এদিকে এ ঘটনায় দুজনকে আটক করেছে পুলিশ। আটকরা হলেন- মগনামা মিয়াজীপাড়া গ্রামের আনোয়ার হোসেনের ছেলে আবদুল কাদের (১৬) ও একই ইউনিয়নের দরদরীঘোনা গ্রামের আবু তাহেরের ছেলে রায়হান (১৮)।
পুলিশ সূত্র জানায়, আটকদের স্বীকারোক্তি মতে মগনামা থেকে আরফাতের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
জানা গেছে, আরাফাত ১৭ অক্টোবর বিকালে বাড়ি থেকে বের হয়। এ সময় আবদুল কাদের, রায়হানসহ আরও কয়েকজন তাকে অটোরিকশায় তুলে অপহরণ করে নিয়ে যায়।
পরে রাতে আরাফাতের খালা গোলতাজ বেগম রায়হানকে অপহরণ করা হয়েছে বলে জানানো হয়।
এ সময় অপহরণকারীরা ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেন। পরে মুক্তিপণের বিষয়টি পুলিশ অবগত হলে অভিযান চালিয়ে পেকুয়া সদরের মাতবরপাড়া গ্রাম থেকে সকালে আবদুল কাদেরকে আটক করে। পরে দুপুরে রায়হানকে মগনামা দরদরীঘোনা থেকে আটক করে।
পেকুয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক কামরুল আজম জানান, চাঁদার দাবিতে শিশু আরাফাতকে নিষ্টুরভাবে হত্যা করে। মগনামা নাপিতারদিয়া ধানিজমি থেকে শিশুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
ধারণা করা হচ্ছে, তাকে গলাটিপে হত্যা করে জমিতে ফেলে রাখা হয়। অপহরণের দিন রাতের যেকোনো সময়ে তাকে হত্যা করা হয়েছে।
এর আগে আটককৃতদের নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় অপহৃত আরাফাতকে উদ্ধারের জন্য পুলিশ অভিযানে যায়। তারা একেক সময় একেক মেসেজ দিয়ে পুলিশকে বিভ্রান্তিতে ফেলে।
বাংলা৭১নিউজ/জেএইচ