বুধবার, ১৮ জুন ২০২৫, ১১:২২ অপরাহ্ন

রাঙামাটিতে টানা বৃষ্টিতে আবারও পাহাড়ধসের শঙ্কা

রাঙামাটি প্রতিনিধি:
  • আপডেট সময় বুধবার, ১৮ জুন, ২০২৫
  • ১৩ বার পড়া হয়েছে

পাহাড়ে টানা বৃষ্টি। তাই আবারও দেখা দিয়েছে আতঙ্ক। কারণ পাহাড় ধসের আশঙ্কা বেড়েছে কয়েকগুণ। আতঙ্কে ঘুমহীন রাত পাহাড়বাসীর। যেকোনো মুহূর্তে পাহাড় হতে পারে মৃত্যুপুরী। তাই উদ্বেগ-উৎকণ্ঠায় স্থানীয় প্রশাসন। রাতদিন পাহাড়ে পাহাড়ে ঘুরছে রাঙামাটি জেলা প্রশাসনের নিরাপত্তা দল। পাহাড়ে যাতে কোনো প্রাণহানির ঘটনা না ঘটে, সেজন্য কঠোর সতর্কতা জারি করেছেন রাঙামাটি জেলা প্রশাসক মো. হাবিব উল্লাহ। রাতদিন করা হচ্ছে মাইকিং। খোলা হয়েছে ৩৫টি আশ্রয়কেন্দ্র। 

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, রাঙামাটি পৌর এলাকার নয়টি ওয়ার্ডে ঝুঁকিপূর্ণ পাহাড়ি এলাকার সংখ্যা ৩৩টি। সেগুলো হলো, চম্পানির মার টিলা, চেঙ্গির মুখ, আব্দুল আলী একাডেমি সংলগ্ন এলাকা, এসপি অফিস এলাকা, মাতৃ মঙ্গল এলাকা, পুলিশ লাইন, অফিসার্স কলোনি, এডিসি হিল, ওয়াপদা কলোনির বিএডিসি পাহাড়, দুর্নীতি দমন কমিশন অফিস, দেওয়ান পাড়া, কিনারাম পাড়া, সিলেটি পাড়া, আলু টিলা, স্বর্ণটিলা, রাজমনি পাড়া, মুসলিম পাড়া, পোস্ট অফিস, নতুন পাড়া, শিমুলতলী, লোকনাথ মন্দির,আনসার ক্যাম্প, কাঠালতলী মসজিদ কলোনি, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার, আলম ডক, গর্জনতলী, চম্পক নগর, পাবলিক হেলথ, আমানতবাগ, জালালাবাদ কলোনি, মুজিব নগর, রাঙামাটি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় ও জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস। 

রাঙামাটি আবহাওয়া কর্মকর্তা ক্যাসুইনু মারমা বলেন, টানা বৃষ্টিতে পাহাড় ধসের শঙ্কা দেখা দিয়েছে রাঙামাটিতে। গত ২৪ ঘণ্টায় ভারি ও মাঝারি ধরনের বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। আরও কয়েকদিন থাকতে পারে এমন বৃষ্টিপাত। যেকোনো মুহূর্তে ঘটতে পারে দুর্ঘটনা। সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। 

রাঙামাটি পৌর প্রশাসক মো. মোবারক হোসেন জানান, রাঙামাটি পৌর জেলা প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করে যাচ্ছেন তিনি। মানুষ যাতে নিরাপদে থাকতে পারেন সেই ব্যবস্থা করা হয়েছে। পৌর এলাকার নয়টি ওয়ার্ডে প্রায় ৩৩টি ঝুঁকিপূর্ণ স্থান রয়েছে। এসব স্থানের প্রায় ৬০৯টি পরিবার অনিরাপদ। তাদের নিরাপত্তার জন্য ওয়ার্ডভিত্তিক আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। মাইকিং অব্যাহত আছে। 

রাঙামাটি জেলা প্রশাসক মো. হাবিব উল্লাহ বলেন, জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাঠে কাজ করছে। পাশাপাশি স্বেচ্ছাসেবক দলও রয়েছে। এছাড়া, পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস কর্মীরাও সঙ্গে রয়েছেন। পর্যাপ্ত আশ্রয়কেন্দ্র খোলা আছে। যারা আশ্রয়কেন্দ্রে যাবে তাদের খাবারের ব্যবস্থা করা হবে।

বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved © 2018-2025
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com