বাংলা৭১নিউজ,ঢাকা: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরে দুই দেশের মধ্যে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন ও তিস্তার পানিবণ্টন বিষয়ে আলোচনা হতে পারে। পাশাপাশি আটটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষরিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আগামী বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রীর এই সফর শুরু হবে।
ভারতে বাংলাদেশের হাইকমিশনার সৈয়দ মোয়াজ্জেম আলী সোমবার বিকেলে তাঁর কার্যালয়ে এ তথ্য জানান।
বাংলাদেশের হাইকমিশনার বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের (ডব্লিউইএফ) ভারতীয় শাখা ইন্ডিয়ান ইকোনমিক ফোরাম-২০১৯-এ যোগ দিতে বৃহস্পতিবার সকালে চার দিনের সফরে নয়াদিল্লি পৌঁছাবেন। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে শনিবার তাঁর দ্বিপক্ষীয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। ওই বৈঠকের পর যোগাযোগ, সংস্কৃতি, কারিগরি সহযোগিতা, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ খাতে আটটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হতে পারে।
সৈয়দ মোয়াজ্জেম আলী আরও বলেন, ‘তিস্তা, রোহিঙ্গা ইস্যুসহ সব বিষয়ে দুই প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে বিস্তারিত আলোচনা হবে। তবে এ ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের আগে আমরা কোনো ধারণা পোষণ করতে পারছি না।’ আসামের জাতীয় নাগরিক নিবন্ধন (এনআরসি) বিষয়ে প্রশ্নের জবাবে জাতিসংঘ সাধারণ অধিবেশনের ফাঁকে শেখ হাসিনা ও নরেন্দ্র মোদির বৈঠকের কথা উল্লেখ করেন হাইকমিশনার। তিনি বলেন, ‘এটি তাদের ইস্যু। তাদেরই হ্যান্ডেল করতে দিন। এনআরসি নিয়ে আমাদের উদ্বিগ্ন হওয়ার প্রয়োজন নেই।’
নয়াদিল্লিতে ঐতিহাসিক হায়দরাবাদ হাউসে শনিবার বেলা সাড়ে ১১টা থেকে ১টা পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। পরে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সৌজন্যে আয়োজিত ভারতের প্রধানমন্ত্রীর মধ্যাহ্নভোজে যোগ দেবেন শেখ হাসিনা। বিকেলে শেখ হাসিনা ভারতের রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন। এর আগে সকালে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। শেখ হাসিনা রোববার ভারতের কংগ্রেস পার্টির প্রধান সোনিয়া গান্ধীর সঙ্গেও বৈঠক করবেন।
এ ছাড়া জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবন ও কর্মভিত্তিক ফিচার ফিল্ম তৈরির বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনার জন্য ভারতের প্রখ্যাত চলচিত্র পরিচালক শ্যাম বেনেগাল রোববার শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন। প্রধানমন্ত্রী আগামী রোববার বিকেলে দেশের উদ্দেশ্যে নয়াদিল্লি ত্যাগ করবেন।
বাংলা৭১নিউজ/এবি