বাংলা৭১নিউজ,(গাইবান্ধা )প্রতিনিধি: গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে রংপুর চিনিকলের বিরোধপূর্ণ বাগদা ফার্ম ইক্ষু খামারের জমিতে হালচাষ করতে গেলে চিনিকল শ্রমিক ও সাঁওতালদের মধ্যে ফের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
বুধবার সকালে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, ওই বিরোধপূর্ণ জমিতে চাষাবাদ না করার জন্য স্থানীয় প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা ছিল। বুধবার ওই নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে রংপুর চিনিকলের শ্রমিকরা ট্রাক্টর নিয়ে ইক্ষু খামারের জমি চাষ করতে যায়।
এ সময় সাঁওতালরা ওই জমি তাদের বাপ-দাদার সম্পত্তি দাবি করে বাধা দেয়। ফলে চিনিকলের শ্রমিকদের সঙ্গে সাঁওতালদের মারপিটের ঘটনা ঘটে। এতে ভূমি উদ্ধার কমিটি সমর্থিত ৩ ব্যক্তি আহত হন বলে দাবি করা হয়।
তিনি জানান, বুধবার বিরোধপূর্ণ জমিতে আবারো চাষ করতে গেলে সঙ্গত কারণে সাঁওতালরা তাদের বাধা দেয়। এসময় চিনিকলের শ্রমিকরা সাঁওতালদের পক্ষের লোকজনকে মারপিট করে। এতে চুনু, সবুজ মিয়া ও জাকারিয়া ইসলাম নামে তাদের পক্ষের ৩ জন আহত হয় বলে তিনি দাবি করেন।
এদিকে চিনিকল শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান দুলাল ওই অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ৩টি ট্রাক্টর নিয়ে সাহেবগঞ্জ ইক্ষু খামারের জমি চাষ করা হচ্ছিল। এ সময় হঠাৎ করে সাঁওতালদের কিছু লোক এসে ট্রাক্টর চালকদের মারপিট করে। এসময় তাদের মারপিটে ট্রাক্টরের দুই চালক পালিয়ে যায়। মারপিটে আহত হয় নুরুল ইসলাম নামে অপর এক চালক। তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। মারপিটের বিষয়ে গোবিন্দগঞ্জ থানার ওসি একেএম মেহেদী হাসান বলেন, চিনিকল কর্তৃপক্ষ ও সাঁওতালদের পক্ষ থেকে পৃথকভাবে তাদের কাছে মারপিটের অভিযোগ করা হয়েছে। তবে কোনো পক্ষ থেকেই মামলা করা হয়নি। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে উভয়কে বুঝিয়ে জমি থেকে ট্রাক্টর তুলে দেন। সেখানকার পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক রয়েছে।
প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালের ৬ নভেম্বর গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার সাহেবগঞ্জ এলাকায় রোববার পুলিশ ও চিনিকল শ্রমিক-কর্মচারীদের সঙ্গে স্থানীয় সাঁওতাল জাতিগোষ্ঠীর একদল লোকের সংঘর্ষে অন্তত ২০ জন আহত হন। গোবিন্দগঞ্জের মহিমাগঞ্জে রংপুর চিনিকলের জমিতে আখ কাটা নিয়ে এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ কয়েকটি টিআর সেল ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ আনে। এ ঘটনার পর সারা দেশে সমালোচনার ঝড় ওঠে।
বাংলা৭১নিউজ/জেডএ