মঙ্গলবার, ০৭ মে ২০২৪, ১২:৫১ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
চিপসের প্যাকেট ১, ডাবের খোসা ও দইয়ের পাত্র ২ টাকায় কিনবে ডিএনসিসি সিরাজগঞ্জে গ্যাস লাইনের পাইপ স্থাপনের সময় মাটিচাপা পড়ল শ্রমিক দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর চুয়াডাঙ্গা-যশোরে স্বস্তির বৃষ্টি ১০ মে ঢাকায় সমাবেশ করবে বিএনপি ফিলিস্তিনের পক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ছাত্রলীগের কর্মসূচি ইলিশের উৎপাদন বেড়ে ৫.৭১ লাখ টন: মন্ত্রী চাকরিতে প্রবেশের বয়স বাড়ানো নিয়ে যা বললেন জনপ্রশাসনমন্ত্রী সুন্দরবনে আগুন কেন, গভীরভাবে খতিয়ে দেখার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর লোডশেডিং আগের তুলনায় কমেছে, দাবি জ্বালানি প্রতিমন্ত্রীর প্রধানমন্ত্রীর কাছে শপথ নিলেন লালমনিরহাট জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান স্বামীর সঙ্গে ঝগড়া করে বোবা ছেলেকে কুমিরের মুখে ফেললেন নারী ইউক্রেনের কাছে পারমাণবিক মহড়ার নির্দেশ পুতিনের চট্টগ্রামে কালবৈশাখীর তাণ্ডব : সড়কে গাছ পড়ে যান চলাচল ব্যাহত দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে নিবিড়ভাবে কাজ করতে হবে একীভূত হবে না ন্যাশনাল ব্যাংক, নিজেরাই সবল হতে চায় প্রাথমিকে মঙ্গলবার থেকে স্বাভাবিক রুটিনে ক্লাস রাষ্ট্রপতির সঙ্গে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্যের সাক্ষাৎ ধামরাই ঝড়ে টিনের চালা ভেঙে পড়ে দুই নিরাপত্তারক্ষী নিহত হিলি দিয়ে ১০ হাজার টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি মাঠে কাজ করছিলেন স্বামী, খাবার দিতে গিয়ে বজ্রপাতে গৃহবধূ নিহত

বিএনপি নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে চেয়েছে

বাংলা ৭১ নিউজ
  • আপলোড সময় শনিবার, ১৬ ফেব্রুয়ারী, ২০১৯
  • ৬৮০ বার পড়া হয়েছে

বাংলা৭১নিউজ,ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘যদিও বিএনপি নির্বাচনে অংশ নিয়েছিল কিন্তু তারা জানত তাদের জনপ্রিয়তায় ধস নেমেছিল, নির্বাচনে জয়ের কোনো সম্ভাবনা নেই। তাই তারা সব সময় নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে চেয়েছে।’

জার্মানির মিউনিখে বৃহস্পতিবার রাতে প্রবাসী বাংলাদেশিদের দেয়া ‘নাগরিক সংবর্ধনা’ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী শুক্রবার দুপুরে (বাংলাদেশে রাত) মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অংশ নেন। এর আগে সকালে (বাংলাদেশে বিকাল) তিনি অংশ নেন ‘হেলথ ইন ক্রাইসিস-ডব্লিউএইচও কেয়ার্স’ শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনায়।

এতে শেখ হাসিনা বলেন, ‘বিভিন্ন সময়ে দেখা গেছে, সংকটের ভয়াবহতা এবং সম্পদ ও সামর্থ্যরে অপ্রতুলতার কারণে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা সঠিক পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থ হচ্ছে। তাই স্বাস্থ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হলে উন্নয়নশীল ও স্বল্পোন্নত দেশগুলোর জন্য অর্থায়নের নিশ্চয়তা খুবই জরুরি।’

বার্লিন দূতাবাসের সহযোগিতায় হোটেল শেরাটনে আয়োজিত ‘নাগরিক সংবর্ধনা’ অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন জার্মানিতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ইমতিয়াজ আহমেদ। বক্তব্য দেন- পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আবদুল মোমেন, সর্ব ইউরোপীয় আওয়ামী লীগ সভাপতি অনিল দাশগুপ্ত এবং আওয়ামী লীগ ইউকে চ্যাপ্টারের সভাপতি সুলতান মাহমুদ শরীফ। ইউরোপীয় দেশগুলোর বিভিন্ন চ্যাপ্টারের আওয়ামী লীগ নেতারা ফুল দিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে শুভেচ্ছা জানান।

অনুষ্ঠানে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ঐক্যফ্রন্টের পরাজয় ও আওয়ামী লীগের বিজয়ের কারণ তুলে ধরেন শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘বিএনপি ২০০৮ সালের সাধারণ নির্বাচনে মাত্র ২৮টি আসনে জিতেছে, সেই নির্বাচনের স্বীকৃতি সম্পর্কে কেউ প্রশ্ন তোলেনি।

এর চেয়েও ভালো ফলাফলের আশা তারা কিভাবে করে? গত কয়েক বছরে ২০১৩, ২০১৪ ও ২০১৫ সালে বিএনপি রাজনৈতিক আন্দোলনের নামে দেশজুড়ে যে সন্ত্রাসী তাণ্ডব চালিয়েছিল জনগণ তা ভুলে যায়নি। বিএনপি পরাজয়ের বিষয়টি আঁচ করতে পেরেছিল। তারা নির্বাচনে জয়লাভের জন্য আন্তরিক ছিল না, তাই হেরেছে- এটাই বাস্তবতা।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘খালেদা জিয়া এতিমদের অর্থ আত্মসাৎ মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন এবং তারেক রহমান ১০ ট্রাক অস্ত্র ও গোলাবারুদ চোরাচালান মামলার পাশাপাশি গ্রেনেড হামলা মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন।

তাই মানুষ কেন তাদের ভোট দেবে সেটাই প্রশ্ন। জনগণ তাদের থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘এছাড়া বিএনপি তাদের দলীয় নির্বাচনী প্রতীক ধানের শীষে জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীকে প্রার্থী হিসেবে ভোট করতে দেয়ায় জনসমর্থন হারিয়েছে। এটিও তাদের পরাজয়ের অন্যতম প্রধান কারণ।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘বিএনপি জনগণের কাছে এটি স্পষ্ট করতে পারেনি যে, তারা নির্বাচনে বিজয়ী হলে কে হবেন প্রধানমন্ত্রী, কে সরকার গঠন করবেন। বিএনপি প্রতিটি আসনে অন্তত তিনজন বা আরও বেশি প্রার্থী মনোনয়ন দিয়েছে।

তাদের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা সম্পর্কে জনগণকে অবহিত করার বদলে নির্বাচনী প্রচারণায় বিএনপি আওয়ামী লীগের সমালোচনায় ব্যস্ত ছিল বেশি। তবে জনগণ ভালো করেই জানে আওয়ামী লীগ জনগণকে কী দিতে পারে।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ জনগণকে উন্নত জীবন দিয়েছে। আওয়ামী লীগের শাসনকালে জনগণের মাসিক আয় বৃদ্ধি পেয়েছে এবং তারা শান্তিতে বসবাস করছে। তাদের জীবনযাত্রার মান দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে, জনগণ তাও বুঝতে পেরেছে।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘অন্যদিকে আমরা ভবিষ্যৎ পরিকল্পনাকে গুরুত্ব দিয়েছি, ভবিষ্যতে আমাদের দেশকে কিভাবে দেখতে চাই সে বিষয়টির প্রতি গুরুত্ব দিয়েছি। আমাদের অতীতের উন্নয়ন জনগণের কাছে যথেষ্ট দৃশ্যমান এবং ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা আমাদের নির্বাচনী ইশতেহারে তুলে ধরেছি।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আওয়ামী লীগ স্বাধীনতা এনেছে এবং মাতৃভাষায় কথা বলার জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠা করেছে। বাংলাদেশ সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে, এগিয়ে যাবে, কেউ এ অগ্রযাত্রাকে ব্যাহত করতে পারবে না। আওয়ামী লীগ এখন দেশের অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য কাজ করে যাচ্ছে।’

শেখ হাসিনা বলেন, এখন বিএনপি এবং তাদের মিত্র ঐক্যফ্রন্ট ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার চেষ্টা চালাচ্ছে এবং সাত জায়গায় মামলা করেছে। আইন অনুযায়ী তারা নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালে মামলা করতে পারে এবং এতে আওয়ামী লীগের কোনো আপত্তি থাকবে না।

আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার গোয়েন্দাদের মাধ্যমে ধীরে ধীরে বিএনপি নেতাদের দুর্নীতি প্রকাশিত হচ্ছে। খালেদা জিয়া এবং তার পুত্রের বিরুদ্ধে মামলার তাদের ডকুমেন্ট প্রধান প্রমাণ। তিনি বলেন, লাগামহীন দুর্নীতির কারণে জনগণ বিএনপিকে ভোট দেয়নি।

তারা বঙ্গবন্ধুর নৃশংস হত্যাকাণ্ডের পর অনেক বছর দেশ শাসন করে কিন্তু তারা খুন, সামরিক অভ্যুত্থান, দুঃশাসন, দুর্নীতি, মানি লন্ডারিং ও স্বজনপ্রীতি ছাড়া জনগণকে আর কিছুই দিতে পারেনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের দুর্ভাগ্য কি জানেন, ভাষা আন্দোলনে বঙ্গবন্ধুর অবদানকে যেমন খুব চালাকির সঙ্গে মুছে ফেলা হয়েছিল; ঠিক একইভাবে স্বাধীনতা অর্জনে তার যে অবদান সেটাও কিন্তু এক সময় মুছে ফেলা হয়েছিল। এমনকি বঙ্গবন্ধুর নাম নেয়াটাও যেন একটা অপরাধ- এ রকম একটা পরিবেশ সৃষ্টি করেছিল ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের পর।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু ১৯৪৮ সাল থেকেই বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার আন্দোলনের সূচনা করেছিলেন, তখন তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ছাত্র। আমাদের ভাষা আন্দোলনে, রাষ্ট্রভাষার মর্যাদা অর্জনের ক্ষেত্রে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর যে অবদান রয়েছে সে অবদানের কথা সম্পূর্ণভাবে মুছে ফেলা হয়েছে।’

বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে তখনকার পাকিস্তানি গোয়েন্দা নথিতেও এসব তথ্য রয়েছে জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘বন্দি অবস্থাতেই তিনি যখন আদালতে বা হাসপাতালে আসতেন তখনই কিন্তু নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ করতেন এবং নির্দেশনা দিতেন।’

নির্বাচনের আগে সংলাপে অংশ নেয়ার জন্য ৭০টি রাজনৈতিক দলের নেতাদের অভিনন্দন জানান প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, দেশের সর্বোচ্চ সংখ্যক রাজনৈতিক দল এ নির্বাচনে অংশ নিয়েছে। ৮০ ভাগেরও বেশি ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন, যা আগে দেখা যায়নি।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘আজকের যতটুকু অর্জন তার পেছনে প্রবাসীদের বিরাট অবদান রয়েছে। এ অবদান শুধু রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রেই নয়, এ অবদান অর্থনৈতিক উন্নয়নের ক্ষেত্রেও।’

এজন্য তিনি কৃতজ্ঞতা জানান। তিনি প্রবাসী নাগরিকদের বিশেষ অর্থনৈতিক জোনে বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘এসব জোনে প্রবাসীদের বিশেষ সুবিধা দেয়া হবে।’ শেখ হাসিনা বলেন, ‘যেসব জায়গায় বাঙালি আছে কিন্তু সংগঠন নেই, সেসব জায়গাতেও সংগঠন করতে হবে।’

অস্ট্রেলিয়া, বেলজিয়াম, ডেনমার্ক, যুক্তরাজ্য, ফিনল্যান্ড, ফ্রান্স, গ্রিস, হাঙ্গেরি, আয়ারল্যান্ড, ইতালি, নেদারল্যান্ডস, নরওয়ে, পর্তুগাল, রাশিয়া, স্পেন, সুইডেন, স্কটল্যান্ড, রোমানিয়া, বুলগেরিয়া, যুক্তরাষ্ট্র ও সুইজারল্যান্ডের বিপুলসংখ্যক আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানাতে মিউনিখে আসেন।

স্বাস্থ্য সুরক্ষায় চাই অর্থায়নের নিশ্চয়তা : নিরাপত্তা সম্মেলনে ‘হেলথ ইন ক্রাইসিস-ডব্লিউএইচও কেয়ার্স’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকের আয়োজন করে ‘সেন্টার ফর স্ট্র্যাটেজিস অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজ’ এবং ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশন (ডব্লিউএইচও)। এতে শেখ হাসিনা বলেন, ইবোলা, কলেরা, যক্ষ্মার মতো সংক্রামক রোগের মহামারী থেকে বিশ্ব এখনও মুক্ত হতে পারেনি।

এটাই প্রমাণ করে যে, বিশ্বের বর্তমান স্বাস্থ্য ব্যবস্থার আরও আধুনিকায়ন ও রূপান্তর প্রয়োজন।’ তিনি বলেন, ‘বিভিন্ন সময়ে দেখা গেছে, সংকটের ভয়াবহতা এবং সম্পদ ও সামর্থ্যরে অপ্রতুলতার কারণে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা সঠিক পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থ হচ্ছে। তাই স্বাস্থ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হলে উন্নয়নশীল ও স্বল্পোন্নত দেশগুলোর জন্য অর্থায়নের নিশ্চয়তা খুবই জরুরি।’

রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীসহ বিভিন্ন দেশে স্বাস্থ্যঝুঁকিতে থাকা মান–ষের পাশে দাঁড়ানো এবং বাংলাদেশে স্বাস্থ্য খাতে বিভিন্ন সহযোগিতার জন্য শেখ হাসিনা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান।

তিনি বলেন, ‘বিশ্ব স্বাস্থ্যের বিষয়টি সীমান্ত আর নির্দিষ্ট মাত্রার মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। স্বাস্থ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে গেলে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে অঙ্গীকার যেমন জরুরি, তেমনি দরকার নিবিড় আন্তর্জাতিক সহযোগিতা।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘এ বিষয়ে আমাদের একসঙ্গে কাজ করতে হবে। বিশেষ করে এখনকার উন্নত প্রযুক্তি ও উদ্ভাবন আমাদের পিছিয়ে পড়া, অসহায়, অরক্ষিত জনগোষ্ঠীর স্বাস্থ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে একসঙ্গে কাজ করার সুযোগ করে দিয়েছে।’

সবার জন্য স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতে অসংখ্য চ্যালেঞ্জ রয়েছে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘এটা বিশ্ব সম্প্রদায়ের দায়িত্বেরই অংশ। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা হিসেবে ডব্লিউএইচওকে সবাইকে সঙ্গে নিয়ে এ বিষয়ে নেতৃত্ব দিয়ে যেতে হবে।’

টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রায় স্বাস্থ্যবিষয়ক লক্ষ্যগুলো অর্জনে কার্যকর ও ফলাফলভিত্তিক আন্তর্জাতিক সমন্বয় ও সহযোগিতার ওপর গুরুত্বারোপ করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘স্বাস্থ্যসেবা মানুষের মৌলিক চাহিদাগুলোর মধ্যে একটি।

তাই এর ওপর আমাদের সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিতে হবে।’ শেখ হাসিনা বলেন, ‘স্বাস্থ্য খাতে প্রযুক্তিগত উৎকর্ষ ঘটলেও বহু মানুষ এখনও বিভিন্ন রোগে ভুগছে। এটা দুর্ভাগ্যজনক যে, আমরা এখনও সবার জন্য যথাযথ স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হয়েছি।’

বাংলাদেশে স্বাস্থ্যসেবার উন্নয়নে সরকারের নেয়া বিভিন্ন পদক্ষেপের কথাও শেখ হাসিনা আলোচনায় তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষের স্বাস্থ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে নীতি-নির্ধারণ ও অর্থনৈতিক সহায়তাসহ বিভিন্নভাবে সরকার কাজ করে যাচ্ছে।

বাংলাদেশের মানুষের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের সঙ্গে সঙ্গে স্বাস্থ্য খাতেও উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে। আমাদের অব্যাহত প্রচেষ্টায় বাংলাদেশ এখন স্বল্প খরচে ভালো স্বাস্থ্যসেবার রোল মডেলে পরিণত হয়েছে।’

শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশে মাতৃমৃত্যুর হার লাখে ১৭২ জনে নামিয়ে আনা সম্ভব হয়েছে। নবজাতক শিশুমৃত্যু হার হাজারে ২৪ জনে নামিয়ে আনা গেছে। ৫ বছরের কম বয়সী শিশুমৃত্যু হার হাজারে ৩১ জনে নেমে এসেছে।

বাংলাদেশের ৮২ দশমিক ৩ শতাংশ মানুষ সব ধরনের টিকার আওতায় এসেছে এবং গড় আয়ু বেড়ে ৭২ দশমিক ৮ বছরে দাঁড়িয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, স্বাস্থ্যসেবায় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ব্যবহার করে বাংলাদেশ বিশ্বে প্রশংসিত হয়েছে।

যক্ষ্মা ও কুষ্ঠরোগ নির্মূলে বাংলাদেশ প্রশংসনীয় সফলতা অর্জন করেছে। সব নাগরিকের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে সেবা সহজলভ্য করা, প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবার ব্যবস্থা করা এবং জরুরি সেবা নিশ্চিত করার বিষয়ে সরকার কাজ করছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী।

তিনি বলেন, সরকার এক বছরের কম বয়সী শিশু ও ৬৫ বছরের বেশি বয়সের লোকদের জন্য বিনা খরচে স্বাস্থ্যসেবার ব্যবস্থা করেছে। গ্রামের মানুষের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে সাড়ে ১৮ হাজারের বেশি কমিউনিটি ক্লিনিক করে দেয়া হয়েছে।

ইউনিয়ন হেলথ কেয়ার ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র স্থাপনের মাধ্যমে গ্রামীণ ও কমিউনিটি পর্যায়ে স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দেয়া হচ্ছে। এসব ক্লিনিক থেকে বিনামূল্যে ৩০ রকমের ওষুধ সরবরাহ করা হচ্ছে।

২০১৮ সালের নির্বাচনী ইশতেহার অনুযায়ী সর্বজনীন স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে বহুমুখী পরিকল্পনা হাতে নেয়ার কথাও তিনি আলোচনায় বলেন।

মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনে যোগ দিতে বৃহস্পতিবার জার্মানিতে পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী। ছয় দিনের এ সফরে সংযুক্ত আরব আমিরাতের আবুধাবিতে একটি প্রতিরক্ষা প্রদর্শনীতেও তিনি যোগ দেবেন। ২০ ফেব্রুয়ারি তার ঢাকায় ফেরার কথা রয়েছে।

বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ/সূত্র:যুগান্তর

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৩ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com