বুধবার, ০১ মে ২০২৪, ০৪:২৩ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
যশোরে মরুর উত্তাপ, দেশের সর্বোচ্চ ৪৩.৮ ডিগ্রি তাপমাত্রা রেকর্ড ‘প্রবাসীদের সমস্যা আমার জানা, সমাধানে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হবে’ দুদকের প্রথম নারী মহাপরিচালক শিরীন পারভীন ইসলামী ব্যাংকের কুমিল্লা জোনের কর্মকর্তা সম্মেলন অনুষ্ঠিত ২০ মে থেকে ৬৫ দিন সমুদ্রে মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের বইপড়া কর্মসূচিতে ৩৯ হাজার বই দিলো বিকাশ ফিলিস্তিনিদের ধাওয়া খেয়ে পালালেন জার্মান রাষ্ট্রদূত বৃক্ষরোপণে ন্যাশনাল গাইডলাইন্স প্রণয়নের নির্দেশ পরিবেশমন্ত্রীর বৃষ্টিতে সিলেটে বন্ধ বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচ গুচ্ছের ২৪ বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘এ’ ইউনিটের ফল প্রকাশ, উত্তীর্ণ ৫০৭৬০ সাংবাদিকদের ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠাই হোক মে দিবসের অঙ্গীকার দাবদাহে দ্বিগুণ সেচ খরচে দিশেহারা চাষিরা রেলওয়ের উন্নয়নে সহযোগিতা করতে চায় রাশিয়া ১৫ শতাংশ শ্রমিকের সম্মতিতে ট্রেড ইউনিয়ন গঠন করা যাবে ৩৬ বছরে চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ ৪৩.৭ ডিগ্রি তাপমাত্রা রেকর্ড মুন্সিগঞ্জে হিট স্ট্রোকে দুজনের মৃত্যু বন্যা আতঙ্কে দ্রুত ধান কাটছেন হাওরের কৃষকরা ফেলে দেওয়া প্লাস্টিক দিয়ে ঢাকায় সড়ক নির্মাণ ভরিতে আরও ৪২০ টাকা কমলো সোনার দাম পারমাণবিক শক্তির শান্তিপূর্ণ ব্যবহারে বাংলাদেশ অঙ্গীকারবদ্ধ

বিএনপি দেশ চালায় ভূতের মতো: প্রধানমন্ত্রী

বাংলা ৭১ নিউজ
  • আপলোড সময় রবিবার, ৩১ ডিসেম্বর, ২০১৭
  • ২৫১ বার পড়া হয়েছে

বাংলা৭১নিউজ, যশোর: ভূতের পা যেমন পেছন দিকে চলে, বিএনপি আমলেও দেশ তেমনি পেছন দিকে চলে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বলেছেন, আওয়ামী লীগ দেশের উন্নয়ন করে আর বিএনপি সম্পদ ধ্বংস করে, দুর্নীতি করে।

আজ রবিবার বিকালে যশোর ঈদগাহ ময়দানে আওয়ামী লীগ আয়োজিত সমাবেশে বক্তব্য রাখছিলেন প্রধানমন্ত্রী।

সকালে যশোরে বিমান বাহিনীর একাডেমিতে রাষ্ট্রপতি কুচকাওয়াজ পরিদর্শনে পাঁচ বছর পর জেলাটিতে যান প্রধানমন্ত্রী। এরপর বেলা তিনটায় তিনি যান আওয়ামী লীগের সমাবেশে। এই সমাবেশে তিনি যশোরের ২৮টি উন্নয়ন প্রকল্প উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।

প্রধানমন্ত্রীর এই আগমন ও জনসভা উপলক্ষে সাজসজ্জায় সাজানো হয় গোটা এলাকা। তবে সকালে সমাবেশে ঢোকাকে কেন্দ্র করে ক্ষমতাসীন দলের দুই পক্ষের মধ্যে মারামারিতে তিন যুবলীগ নেতা-কর্মীকে ছুরিকাঘাত এবং একজনকে পিটুনির ঘটনায় সকালে উদ্বেগ ছড়ায়। পরে অবশ্য সমাবেশে এর কোনো প্রভাব পড়েনি।

প্রধানমন্ত্রী এসব প্রকল্পকে যশোরবাসীর জন্য উপহার উল্লেখ করে দেশের উন্নয়নে তার সরকারের আমলের নানা উদ্যোগ তুলে ধরেন। সেই সঙ্গে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের ব্যর্থতা, আন্দোলনের নামে তাদের সহিংসতার কথা তুলে ধরেন।

এই সমাবেশে প্রধানমন্ত্রীকে আগামী জাতীয় নির্বাচনে যশোরের ছয়টি আসন উপহার দেয়ার ঘোষণা দেয় আওয়ামী লীগ। আর নৌকার প্রার্থীদের ভোট দিতে যশোরবাসীকে আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী। আর তার আহ্বানের জবাবে জনসভায় উপস্থিত জনতা হাত তুলে জানায়, তারা আবারও নৌকা মার্কাকে বিজয়ী করবে।

ভূতের মতো উল্টোদিকে চলে বিএনপি

বিদ্যুৎ উন্নয়নে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি সরকারের আমলের পার্থক্য তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, ১৯৯৬ সালে বিএনপির কাছ থেকে ক্ষমতা নেয়ার সময় দেশে বিদ্যুৎ উৎপাদন ছিল ১৬০০ মেগাওয়াট। সেটি ২০০১ সালে ৪৩০০ মেগাওয়াটে উন্নয়ন করেছিল আওয়ামী লীগ। কিন্তু বিএনপি পাঁচ বছরে উৎপাদন বাড়াতে পারেনি, উল্টো কমিয়ে দিয়েছে।

‘মানুষ সামনের দিকে আগায়, আর এরা পেছন দিকে যায়’-মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘কথায় আছে ভূতের পা পেছন দিকে চলে। বিএনপি ক্ষমতায় আসলে দেশ পেছন দিকে চলে যায়। কারণ তারা অদ্ভুত হয়ে দেশে আসে, ভূতের মতো তারা দেশ চালায়।’

বিদ্যুৎ উৎপাদন কমিয়ে ফেলা ছাড়াও বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে তৃণমূলের মানুষদের জন্য করা কমিউনিটি সেন্টার বন্ধ করে দেয়া এবং সঙ্গে আন্দোলনের নামে নাশকতার বিষয়টিও তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী।

সরকার দেশে ১৮ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিক করে বিনা পয়সায় ৩০ প্রকার ওষুধ দিচ্ছে জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘৯৬ সালে আমি কমিউনিটি ক্লিনিক করলাম, খালেদা জিয়া এসে বন্ধ করে দিল। বলল কমিউনিটি ক্লিনিকে চিকিৎসা নিলে সবাই নৌকায় ভোট দেবে, তাই বন্ধ করে দিল। ২০০৯ সালে এসে আবার আমরা সেই কমিউনিটি ক্লিনিক আবার চালু করেছি, আজকে ঘরের কাছে বসে মানুষ চিকিৎসা সেবা পাচ্ছে।’

‘আমরা পাঁচ বছর ক্ষমতায় ছিলাম। বিদ্যুৎ বৃদ্ধি করেছিলাম, শিক্ষার মান উন্নত করা এবং সাক্ষরতার হার বৃদ্ধি করেছিলাম, খাদ্যে দেশ স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়েছিল, দারিদ্র্যের হার কমেছিল, মানুষের মনে স্বস্তি ফিরে এসেছিল।’

‘কিন্তু ২০০১ সালে বিএনপি-জামায়াত জোট কারচুপি করে গ্যাস বিক্রি করার মুচলেকা দিয়ে ক্ষমতায় এসে দুর্ণীতি, সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, একই দিনে সারা বাংলাদেশে পাঁচশ জায়গায় বোমা হামলা, বাংলাভাই সৃষ্টি এবং লুটপাটের রাজত্ব কায়েম করেছিল।’

বিএনপি-জামায়াতের লুটপাটের জন্যই জরুরি অবস্থা জারি হয়েছিল বলে মন্তব্য করেন শেখ হাসিনা।

আমরা নির্মাণ করি, তারা করে ধ্বংস

বিএনপি জামায়াত জোটের আন্দোলনে নাশকতার বিষয়টিও ‍তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী। বলেন, ‘হত্যা খুন, মানুষ পোড়ানো এবং ধ্বংস করা, এটাই তো ওদের কাজ। আমরা রাস্তা বানাই, তারা রাস্তা কেটে ফেলে, আমরা গাছ লাগাই, তারা গাছ কেটে ফেলে। এভাবেই তারা দেশকে ধ্বংসের দিকে নিয়ে যায়।’

২০১৪ সালে নির্বাচন ঠেকানোর আন্দোলনে ৫৮২টি স্কুল, সরকারি অফিস পুড়িয়ে দেয়া, নির্বাচনী কর্মকর্তা, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ২৭ জনকে হত্যা, যশোরে সংখ্যালঘুদের অত্যাচারের কথা তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী।

২০১৫ সালে সরকার পতনের আন্দোলনের কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, ‘মানুষকে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে, এটা কোন ধরনের রাজনীতি? এটা কোন ধরনের আন্দোলন? আমি এটা বুঝি না।’

‘কোন মুখে কথা বলবে তারা?’

যুক্তরাষ্ট্রের আদালতে তারেক রহমান এবং সিঙ্গাপুরের আদালতে আরাফাত রহমান কোকোর দুর্নীতি ধরা পড়ায় খালেদা জিয়া এখন কোন মুখে কথা বলবেন, সেটাও জানতে চান প্রধানমন্ত্রী।

তারেক রহমানের নাম উল্লেখ না করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘দেশের উন্নয়নে কাজ না করে বিদেশের কাছে ঘুষ খেয়েছে। ধরা পড়েছে আমেরিকায়। আমেরিকার ফেডারেল কোর্ট সেটা ধরে দিয়েছে আর আমেরিকার গোয়েন্দা সংস্থা এসে বাংলাদেশে সাক্ষী দিয়ে গেছে।’

‘আরেক ছেলের টাকা পাওয়া গেল সিঙ্গাপুর। সিঙ্গাপুর কোর্ট সে টাকা খুঁজে বের করল। আমরা সে টাকা ফিরিয়ে নিয়ে এসে জনগণের টাকা জনগণের কাছে দিয়ে দিয়েছি, জনগণের উন্নয়নে কাজে লাগাচ্ছি।’

খালেদা জিয়াও দুর্ণীতিতে জড়িত ছিলেন অভিযোগ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘তার মাও কম যায় না। এতিমের টাকা এসেছে বিদেশ থেকে। এতিমখানার টাকা এতিমখানায় যায় না, কোথায় যায় আপনারাই বুঝতে পারেন।’

‘যারা এতিমের টাকা মেরে খায়, যারা জনগণের টাকা বিদেশে পাচার করে, মানি লন্ডারিং করে..’।

পদ্মাসেতু প্রকল্পে বিশ্বব্যাংক দুর্নীতি চেষ্টার অভিযোগ তোলার পর সংস্থাটিকে চ্যালেঞ্জ করার পর তারা তা প্রমাণ করতে পারেনি জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘একটু চিন্তা করেন, ওয়ার্ল্ড ব্যাংক যখন দুর্নীতির কথা বলে, আমি চ্যালেঞ্জ দিতে পেরেছিলাম আর অপর দিকে খালেদার ছেলে কি পেরেছে তার ছেলের মানিলন্ডারিং ঠেকাতে? পারে নাই। আমেরিকা ও সিঙ্গাপুর দুই জায়গায় ধরা পড়েছে। এরপর আর কোন মুখে কথা বলবে তারা।’

download

‘আওয়ামী লীগই পারে’

১৯৯৬ সালে ২১ বছর পর আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পরই মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন শুরু হয় জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগই একমাত্র এই দেশের উন্নতি করতে পারে।

‘আমরা নির্দিষ্ট লক্ষ্য নিয়ে দেশ চালাই’ মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশকে ক্ষুধামুক্ত, দারিদ্র্যমুক্ত হিসেবে গড়ে তুলব।’

‘আজকে আমরা দারিদ্র্যের হার ২২ ভাগে নামিয়ে এনেছি। আমাদের লক্ষ্য ২০২১ সালে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী পালন করব, তখন বাংলাদেশে কোনো দারিদ্র্য থাকবে না।’

‘আমাদের লক্ষ্য এ দেশের মানুষ লেখাপড়া করবে, কেউ অশিক্ষিত থাকবে না, প্রত্যেকটা মানুষ সুশিক্ষায় সুশিক্ষিত হবে, আধুনিক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি শিক্ষা পাবে।’

যশোরের উন্নয়নে নানা প্রকল্পের কথাও তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী। বলেন, কিছু কাজ শেষ হয়েছে তার কিছু প্রকল্পের কাজ উদ্বোধন করেছেন তিনি। এগুলোও যথা সময়ে শেষ হবে। ভবদহ এলাকার জলাবদ্ধতা দূর করতে উদ্যোগ নেয়ারও ঘোষণা দেন তিনি।

পদ্মাসেতু নির্মাণ শেষ হলে ঢাকা থেকে রেললাইন দক্ষিণ অঞ্চল পর্যন্ত যাবে এবং যশোর সংযোগে হবে বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী। বলেন, ‘এখান থেকে খুলনা হয়ে মংলা পোর্ট পর্যন্ত চলে যাবে।’

দেশের ৮৩ ভাগ মানুষ এখন বিদ্যুৎ পাচ্ছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছাব। সেই প্রকল্প নিয়ে কাজ করে যাচ্ছি।’

‘২০২১ সালের মধ্যে কোনো ঘরে অন্ধকার থাকবে না, প্রত্যেকটা ঘর আলোকিত হবে। যেখানে বিদ্যুৎ লাইন নাই, সেখানে সোলার প্ল্যান্ট, বায়োগ্যাস করে দিচ্ছি।’

কৃষকদের ১০ টাকায় ব্যাংক অ্যাকাউন্ট করা, বর্গাচাষিদের স্বল্পসুদে ঋণের ব্যবস্থা করা, কৃষকদের ভর্তুকির টাকা বিতরণে কৃষি উপকরণ কার্ড প্রদান, অঞ্চলভিত্তিক ফসল উৎপাদন বাড়াতে বিশেষ ব্যবস্থা নেয়ার কথা তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী।

এ ছাড়া ইউনিয়ন পর্যায়ে ডিজিটাল সেন্টার নির্মাণ, যশোরে আইসিটি পার্ক উদ্বোধনের কথা জানান প্রধানমন্ত্রী। দেশে ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল করার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এটা করছি এখানে দেশি বিদেশি বিনিয়োগ হয়, কর্মসংস্থান হয়, পাশাপাশি আমাদের অর্থনীতি আরও শক্তিশালী, আরও মজবুত হয়।’

চলতি বছর বৃষ্টিতে রাস্তাঘাট অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে জানিয়ে সেগুলো মেরামতে প্রকল্প পাসের কথা জানিয়ে সমাবেশে বলা হয়, দ্রুত এই কাজ শুরু হয়ে যাবে।

বিনা পয়সায় পাঠ্যবই প্রদান, পঞ্চম থেকে পিএইচডি পর্যন্ত বৃত্তি দেয়া, শিশুদের বৃত্তির টাকা মায়েদের মোবাইল ফোন অ্যাকাউন্টে সরাসরি পৌঁছে দেয়ার ব্যবস্থার কথাও তুলে ধরেন শেখ হাসিনা।

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি শিক্ষা, কম্পিউটার শিক্ষার বিস্তারে চেষ্টার কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা যেন নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারে, সে জন্য কারিগরি শিক্ষা এবং ভোকেশনাল ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা আমরা করে দিচ্ছি ‘

যুবকদের জন্য কর্মসংস্থান ব্যাংক করার কথা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, কোনো জামানত ছাড়াই এই ব্যাংক থেকে দুই লাখ টাকা এবং জামানত দিয়ে আরও বেশি টাকা ঋণ নেয়া যায়। আর এই টাকায় ব্যবসা-বাণিজ্য করে মানুষ নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারবে, অন্যদেরকেও চাকরি দিতে পারবে।

download (1)

জিয়া ও খালেদার সমালোচনা

সমাবেশে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের কঠোর সমালোচনা করেন প্রধানমন্ত্র। বলেন, অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করা জিয়া এ দেশে কারফিউ দিয়ে দেশ চালাত। আর যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বন্ধ করে তাদেরকে মুক্তি দিয়ে তাদেরকে রাজনীতি ফেরার সুযোগ করে দেয়াই ছিল প্রধান কাজ।

‘এর চেয়ে দুঃখের আর কিছু হতে পারে না, অপমানের কিছু হতে পারে না’-মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘রাজাকার, আল বদর আল শামস-এদেরকেই মন্ত্রী বানানো, এদের হাতে লাখো শহীদের রক্তে রঞ্জিত পতাকা তুলে দেয়া, এদেরকে রাজনীতি করার সুযোগ করে দেয়া এটাই ছিল তার বহুদলীয় গণতন্ত্র।’

বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার বন্ধে জিয়াউর রহমানের জারি করা ইনডেমনিটি অধ্যাদেশেরও সমালোচনা করেন প্রধানমন্ত্রী। বলেন, ‘কী দুর্ভাগ্য আমার চিন্তা করে দেখেন, মা, বাপ, তিনটা ভাই, কামাল-জামালের স্ত্রী, আমার একমাত্র চাচা, আমার আত্মীয় স্বজন একই দিনে… আমরা কেউ বিচার চাইতে পারিনি।’

‘ইনডেমনিটি দিয়ে তাদের বিচার না করে খুনিদেরকে জেনারেল জিয়া বিদেশি দূতাবাসে চাকরি দিয়ে পুরষ্কৃত করেছিল। আর খালেদা জিয়া ৯৬ সালে ১৫ ফেব্রুয়ারির ইলেকশনে তাদেরকে ভোট চুরি করে পার্লামেন্টে বসিয়েছে।’

‘আর যারা যুদ্ধাপরাধী, যুদ্ধাপরাধে যাদের ফাঁসি হয়েছে, সেই জামায়াত, আলবদর নেতাকে বানিয়েছিল মন্ত্রী।’

যশোর আওয়ামী লীগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম মিলনের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক শাহীন চাকলাদারের সঞ্চালনায় জনসভায় আরও বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য পীযুষ কান্তি ভট্টাচার্য, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফ, আব্দুর রহমানসহ নেতৃবৃন্দ।

বাংলা৭১নিউজ/এসডি

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৩ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com