ফুলপুরে অন্তঃসত্ত্বা এক নারীকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামী আনারুল (৪০) ও তার মা-কে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১৮ অক্টোবর) দিবাগত রাত ২টায় উপজেলার পয়ারী ইউনিয়নের আমলীতলা গ্রামে আনারুলের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। নিহত গৃহবধূ রোজিনা খাতুন পৌরসভার গোদারিয়া গ্রামের মৃত তহিদ মিয়ার মেয়ে।
তিনি তিন সন্তানের জননী।
এ ঘটনায় নিহত রোজিনার মা রোকেয়া বেগম ফুলপুর থানায় যৌতুকের জন্য হত্যা ও নির্যাতনের কথা উল্লেখ করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। বৃহস্পতিবার (২০ অক্টোবর) ভোরে তার স্বামী ও শাশুড়িকে গ্রেপ্তার করে ফুলপুর থানা পুলিশ।
ফুলপুর থানা ও নিহতের পরিবার সূত্রে জানা যায়, প্রায় ১২ বছর আগে আনারুলের সাথে রোজিনা খাতুনের বিয়ে হয়। কয়েক বছর ধরে স্বামী-স্ত্রীর মাঝে ঝগড়া লেগেই থাকত। নিহতের পরিবারের দাবি, যৌতুকের জন্য প্রায়ই রোজিনাকে মারধর করতেন স্বামী আনারুল। মঙ্গলবার ঘরে রান্নার লাকড়ি ও বাজার না থাকার কথা স্বামীকে জানালে তাদের মাঝে তর্ক-বিতর্ক শুরু হয়।
একপর্যায়ে রোজিনাকে কুপিয়ে হত্যা করে পালিয়ে যান আনারুল। রোজিনার সন্তানরা মুঠোফোনে নানি রোকেয়া বেগমকে ঘটনাটি জানায়। খবর পেয়ে রোকেয়া বেগম এসে গুরুতর আহত মেয়েকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। মাকে নির্যাতন ও হত্যার কথা শিশুরা পুলিশকে জানায়।
কর্তব্যরত চিকিৎসকরা জানান, হাসপাতালে আসার আগেই মারা যান রোজিনা খাতুন।
এ ঘটনায় গ্রেপ্তার হওয়া আনারুল স্ত্রীকে কুপিয়েছেন বলে স্বীকার করেন। এদিকে মুমূর্ষু অবস্থায় পুত্রবধূকে হাসপাতালে না নেওয়ার কথা জানতে চাইলে কোনো কথা বলতে রাজি হননি নিহতের শাশুড়ি।
ফুলপুর থানার পুলিশের উপ-পরিদর্শক ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বকুল সাহা বলেন, নিহত রোজিনার মাথায় ও শরীরে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। হত্যাকারীকে দ্রুত গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এ বিষয়ে ফুলপুর থানার ওসি আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, উদ্ধার হওয়া ওই গৃহবধূর দেহে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য আজ পাঠানো হবে। ময়নাতদন্তের পর প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে।
বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ