রাজধানীর ডেমরায় মাত্র ১০৩০ টাকার জন্য অসুস্থ ভাগিনাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছেন মামা রবিন (৩৮)।এ ঘটনায় মাদকাসক্ত মামাকে অভিযান চালিয়ে শনিবার বিকালে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
রাজধানীর কয়েকটি এলাকায় ডেমরা থানার এসআই হারেজ, এসআই ইকবাল ও এসআই সেলিম মিয়ার মিলিত অভিযানের পর তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে খুনের ৪ দিনের মাথায় ডেমরার রাজাখালি এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
রবিন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর থানার নতুন আডি এলাকার মৃত আব্দুর রহিমের ছেলে।
নিহত ওমর ফারুক একই এলাকার আব্দুল আউয়ালের ছেলে। তারা ডেমরার ছোট পাইটি এলাকার ভাড়াটিয়া।
জানা যায়, মামার হাতে খুন হওয়া ওমর ফারুক ও তার মা ভাঙারি মালামাল কুড়িয়ে বিক্রির টাকায় সংসার চালাতেন। গত ১ মাস আগে ভাঙারি কুড়াতে গিয়ে দুই পা আগুনে পুড়ে যায় ওমর ফারুকের। এতে কুলসুম বেগম তার চিকিৎসার জন্য ১০৩০ টাকা মানুষের কাছে সহায়তা নিয়েছেন যা জানতে পারে রবিন।
কয়েকদিন আগে ওই টাকা চুরি করতে আসলে রবিনকে দেখে ফেলেন কুলসুম। এ সময় বকাঝকা করে তাকে বের করে দেয়া হয়।
গত বুধবার (২৩ মার্চ) সকালে অসুস্থ ছেলেকে ঘরে রেখে বাইরে থেকে তালা দিয়ে কুলসুম আবারও সাহায্যের টাকা যোগাড় করতে বের হয়ে যান। ওইদিন বিকাল ৩টার দিকে ঘরে থাকা ১০৩০ টাকা চুরি করার সময় রবিনকে দেখে ফেলে ওমর ফারুক। এ সময় রবিন তার ভাগিনাকে থামাতে গিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে ঘর থেকে দৌড়ে পালিয়ে যায়।
এদিকে রবিনের দৌড়ে পালানোর ঘটনা দেখতে পেয়ে কুলসুমকে ফোন করে জানান প্রতিবেশী মাহমুদা বেগম। এ খবর পেয়ে দ্রুত ঘরে ফিরে এসে কুলসুম দেখেন তার ছেলে মারা গেছে।
এ বিষয়ে ডেমরা থানার ওসি খন্দকার নাসির উদ্দিন বলেন, মৃতের মা কুলসুম বেগম (৪০) বৃহস্পতিবার সকালে (২৪ মার্চ) ডেমরা থানায় ভাই রবিনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন। বুধবার সন্ধ্যায় ছোট পাইটি এলাকার হাবিবুর রহমানের পশ্চিম পাশের বাড়ি থেকে লাশ উদ্ধার করা হয়। রোববার রবিনকে আদালতে পাঠানো হবে।
বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ