খাদ্যপণ্য প্যাকেজিংয়ে যেসব কালি ও কোটিং ব্যবহার করা হয়, সেগুলোতে বিভিন্ন ধরনের রাসায়নিক রয়েছে, যা মানব শরীরের জন্য চরম স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি করতে পারে। তাই খাদ্যপণ্যকে শতভাগ স্বাস্থ্যকর ও নিরাপদ করতে প্যাকেজিংয়ে টলুইনমুক্ত নিরাপদ কালি ও কোটিং ব্যবহারের পাশাপাশি বিএসটিআইয়ের মান মেনে চলার তাগিদ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
জাতীয় নিরাপদ খাদ্য দিবসের আগের দিন বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর একটি হোটেলে গণমাধ্যম ও অংশীদারদের নিয়ে আয়োজিত গোলটেবিল বৈঠকে তারা এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানের আয়োজন করে বৈশ্বিক খাদ্য প্যাকেজিং অ্যাপ্লিকেশন, লেবেলের জন্য প্রিন্টিং কালি ও কোটিং প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান সিগওয়ার্ক।
বিশেষজ্ঞরা বলেন, সাধারণ মানুষকে নিরাপদ খাবারের নিশ্চয়তা দিতে সম্প্রতি নতুন একটি পদক্ষেপ নিয়েছে বিএসটিআই। জনস্বাস্থ্য সুরক্ষার বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে সংস্থাটি পণ্য প্যাকেজিংয়ে ব্যবহৃত কালির মান নির্ধারণ করে দিয়েছে।
এ সময় বক্তারা খাবার প্যাকেজিংয়ে প্রিন্টিং কালি ব্যবহারে বিএসটিআইয়ের মান মেনে চলা ও সচেতনতা বৃদ্ধিতে গুরুত্বারোপ করেন।
গোলটেবিল বৈঠকে সিগওয়ার্কের ভারত অঞ্চলের ব্র্যান্ড ওনার কোলাবরেশন বিভাগের হেড যতীন টাক্কার বলেন, খাদ্য নিরাপত্তার মান বৃদ্ধির ক্ষেত্রে ইতোমধ্যে দারুণ অগ্রগতি দেখিয়েছে বাংলাদেশ। কাজেই যথাযথ ও নিরাপদ সলভেন্ট, পিগমেন্ট ও অন্যান্য উপাদানের সঙ্গে নিরাপদ খাদ্য প্যাকেজিং প্রস্তুত করতে হবে। আর তার জন্য নিয়ন্ত্রক ও সাপ্লাই চেইন উভয় দিক থেকেই খাদ্য প্যাকেজিং বিষয়ে বাংলাদেশের সাম্প্রতিক মানদণ্ড অনুযায়ী কাজ করা খুবই জরুরি।
এসময় দেশীয় ব্র্যান্ড মালিক ও কনভার্টাররা খাদ্য প্যাকেজিংকে নিরাপদ করে তোলার ক্ষেত্রে তাদের তাৎপর্যপূর্ণ বিভিন্ন পদ্ধতি তুলে ধরেন। খাদ্য নিরাপত্তায় প্যাকেজিং কালির প্রভাব, টলুইনের ক্ষতিকর প্রভাব এবং এ বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টিতে সিগওয়ার্কের অগ্রণী ভূমিকা নিয়েও এই বৈঠকে আলোচনা করা হয়।
আয়োজকরা জানান, পণ্যের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ সিগওয়ার্ক সবচেয়ে নিরাপদ কালি ও কোটিং তৈরিতে সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। ইতোমধ্যে শীর্ষস্থানীয় বৈশ্বিক নিরাপদ প্যাকেজিং সমাধান হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছে এই কোম্পানি। পাশাপাশি কোম্পানিটি নিজেদের অভিজ্ঞতা দ্বারা অনেক ব্র্যান্ড মালিককে খাদ্য নিরাপত্তা এবং নিয়মতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার ক্ষেত্রে সাহায্য করেছে। এতে নিয়ন্ত্রক সংস্থার সম্মতি বা রেগুলেটরি কমপ্লায়েন্স নিশ্চিত করা যায় এবং খাদ্য দূষণের ঝুঁকি এড়ানো যায়।
বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ