বাংলা৭১নিউজ,(বগুড়া)প্রতিনিধি: জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে ফোন করে প্রাণে রক্ষা পেয়েছেন বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলার ১৯ জন নির্মাণ শ্রমিক। সোমবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার ফটকি ব্রিজ সংলগ্ন সাজাপুর গ্রামে ঝড়-বৃষ্টির সময় দেয়াল ধসে ওই শ্রমিকরা আটকে পড়েন। পরে ৯৯৯ নম্বরে ফোন করলে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা তাদের উদ্ধার করেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার সাজাপুর এলাকায় প্রয়াস নামে প্রতিবন্ধী শিশুদের জন্যে একটি বিদ্যালয় নির্মাণ হচ্ছে। নির্মাণকাজে নিয়োজিত শ্রমিকরা বিদ্যালয় ভবনের ভেতরে তাদের জন্য নির্মিত অস্থায়ী আবাসস্থলে থাকেন। রাতে হঠাৎ তুমুল বেগে শুরু হয় ঝড়, সঙ্গে ভারী বৃষ্টিপাত। ঝড়ের বেগে উড়ে যায় অস্থায়ী আবাসস্থলের ছাউনি। শ্রমিকদের ওপরই ভেঙে পড়ে দেয়াল। সেই দেয়ালে চাপা পড়েন অন্তত ৩০ জন শ্রমিক। কিছু শ্রমিক কোনোভাবে বেরোতে পারলেও আটকা পড়েন ১৯ জন। এই ভয়াবহতার মধ্যেই মাথা ঠাণ্ডা রেখে একজন শ্রমিক কল দেন জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯-এ। মুহূর্তেই ঘটনাস্থলে ছুটে আসে পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও অ্যাম্বুলেন্স। দ্রুত সেখান থেকে ১৯ শ্রমিককে উদ্ধার করে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে নেয়া হয়।
আহতদের মধ্যে গোলাম রব্বানী, রোমান, শাহিন, জয়নাল, নবীর, আলমগীর, সাফিনূর, শাহ্ আলম, বাবু, মামুন, সাদেশ, রাকিব, রাকিবুল, শিপন, আতিকুল, আল আমিন, রাজ্জাক ও সাজুর পরিচয় জানা গেছে। এদের বেশিরভাগই গাইবান্ধার বাসিন্দা। আহতদের মধ্যে কারও পা ভেঙে গেছে। আবার কেউ মাথায় গুরুতর আঘাত পেয়েছেন
শাজাহানপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফুয়ারা খাতুন জানান, আহতদের উদ্ধার করে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এদের মধ্যে পাঁচজনের অবস্থা গুরুতর।
বগুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মিডিয়া) সনাতন চক্রবর্তী জানান, ৯৯৯-এ কল পেয়েই ঘটনাস্থলে তারা সবাই দ্রুত ছুটে যান। আহত সব শ্রমিককে উদ্ধার করে শজিমেকে নেয়া হয়। ১৯ জন শ্রমিককে তাৎক্ষণিক ভর্তি করা হয়। অনেককেই প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়। আহতদের মধ্যে পাঁচজনের অবস্থা আঘাত মারাত্মক হলেও সবাই শঙ্কামুক্ত। সময় মতো তাদের হাসপাতালে নিতে না পারলে অনেকের অবস্থা সংকটাপন্ন হতে পারতো।
বাংলা৭১নিউজ/এমএস