বাংলা৭১নিউজ,ঢাকা: সদ্যসমাপ্ত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হয়েছে বলে মনে করেন ৯৩ দশমিক ২৩ শতাংশ ভোটার। মোবাইল ফোন ব্যবহারকারীর মধ্যে চালানো এক জরিপে এ তথ্য পেয়েছে বলে জানিয়েছে গবেষণা ও কমিউনিকেশন স্ট্র্যাটেজি ডেভেলপমেন্টবিষয়ক প্রতিষ্ঠান কলরেডি।
জরিপে অংশগ্রহণকারীদের ৯৭ দশমিক ৯৪ শতাংশ নতুন সরকারের সাফল্যের ব্যাপারে আশাবাদী। এছাড়া ৮৯ দশমিক ১৮ শতাংশ ভোটার পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে পেরেছেন বলেও জরিপে উঠে এসেছে।
জাতীয় প্রেস ক্লাবে মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে এসব তথ্য তুলে ধরা হয়। জরিপের ফলাফল উপস্থাপন করেন অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী গবেষক ড. আবুল হাসনাৎ মিল্টন।
উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসের ফ্যাকাল্টি গবেষক কাজী আহমেদ পারভেজ, কলরেডির চিফ অপারেটিং অফিসার আজাদ আবুল কালাম ও গবেষণা কো-অর্ডিনেটর মোশারফ হোসেন।
সংবাদ সম্মেলনে আবুল হাসনাৎ মিল্টন বলেন, দ্বৈবচয়নের ভিত্তিতে ২১ থেকে ২৫ জানুয়ারি কলরেডি দেশজুড়ে ৫ হাজার মানুষকে ফোন করে। এতে সাড়া দেন ২ হাজার ১১২ জন, যাদের মধ্যে জরিপে মতামত প্রদান করেন ১ হাজার ৪৭৬ জন (৭০ শতাংশ)। জরিপের তথ্য সংগ্রহ করেন ৯ জন নারী কর্মকর্তা।
আবুল হাসনাৎ মিল্টন বলেন, জরিপে মতামত প্রদানকারীদের মধ্যে এক হাজার ১৭৪ জন অর্থাৎ ৭৯ শতাংশ ৫৪ শতাংশ নির্বাচনে ভোট দিয়েছেন। এর মধ্যে নিজের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিয়েছেন এক হাজার ৪৭ জন অর্থাৎ ৮৯ দশমিক ১৮ শতাংশ ভোটার।
জরিপে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে এক হাজার ৩৬৪ জন অর্থাৎ ৯৩ দশমিক ২৩ শতাংশ ভোটার মনে করেন একাদশ জাতীয় নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হয়েছে। এর মধ্যে ৬৮ দশমিক ৪২ শতাংশ ভোটার মনে করেন নির্বাচন সম্পূর্ণভাবে গ্রহণযোগ্য হয়েছে, ২৪ দশমিক ৮ শতাংশ ভোটার মনে করেন মোটামুটি গ্রহণযোগ্য হয়েছে। আর ৬ দশমিক ৭৭ শতাংশ ভোটার মনে করেন নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হয়নি।
এ ছাড়া জরিপে অংশগ্রহণকারীদের ৯৭ দশমিক ৯৪ শতাংশ নির্বাচিত সরকারের সাফল্যের ব্যাপারে আশাবাদী। এর মধ্যে পুরোপুরি আশাবাদী ৮৩ দশমিক ১৩ শতাংশ, মোটামুটি আশাবাদী ১৪ দশমিক ৮১ শতাংশ। আর আশাবাদী নন ২ দশমিক ৬ শতাংশ মানুষ।
জরিপের পদ্ধতির বিষয়ে আবুল হাসনাৎ মিল্টন বলেন, সব পদ্ধতি মেনেই গবেষণাটি করা হয়েছে। তবে অনেক প্রতিষ্ঠান গবেষণার নিয়ম না মেনেই ফলাফল উপস্থাপন করছে।
যেমন- ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) ভ্রান্ত ফলাফল দিয়ে নির্বাচনের জরিপ পরিচালনা করেছে। তারা শুধু নির্বাচনে পরাজিত প্রার্থীর সাক্ষাৎকারের ভিত্তিতে ফলাফল পেয়েছে। এটা গবেষণার পদ্ধতি হতে পারে না। এই প্রতিবেদন ভুল ও মনগড়া।
নির্বাচনের আগের রাতে ব্যালটে সিল মারার বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, নির্বাচনে আগের রাতে ব্যালট পেপারে সিল মারা হয়েছে- এমন তথ্য জরিপে অংশগ্রহণকারীদের কেউ দেননি। তাই এই বিষয়টি জরিপের ফলাফলে রাখা হয়নি।
আবুল হাসনাৎ মিল্টন আরও বলেন, গত ৩০ ডিসেম্বর সংসদ নির্বাচনের পর প্রধান নির্বাচন কমিশনার কেএম নুরুল হুদা জানান, নির্বাচনে ৮০ শতাংশের মতো ভোট পড়েছে।
আর আমাদের জরিপেও ৭৯ দশমিক ৫৪ শতাংশ ভোটার ভোট দেয়ার চিত্র উঠে এসেছে। তাহলে আমরা বলতে পারি এই জরিপটি নির্ভুল হয়েছে।
বাংলা৭১নিউজ/এসকে