বাংলা৭১নিউজ, ডেস্ক: গত বছরের ডিসেম্বরে হোবার্টে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম টেস্টে ১৮২ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলেছিলেন তিনি। কিন্তু তারপরও পরের টেস্টে দলে জায়গা হারিয়েছিলেন শন মার্শ।
চোট কাটিয়ে ফেরা উসমান খাজাকে জায়গা দিতে মেলবোর্নে দ্বিতীয় টেস্টে মার্শকে বাদ দিয়েছিল অস্ট্রেলিয়া। এরপর অস্ট্রেলিয়া আরো পাঁচটি টেস্ট খেললেও দলে জায়গা হয়নি এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যানের।
অবশেষে তিনি ফিরলেন শনিবার শুরু কলম্বো টেস্টে। আর আট মাস পর টেস্ট ক্রিকেটে ফেরার উপলক্ষকে মার্শ স্মরণীয় করে রাখলেন সেঞ্চুরি দিয়েই, ব্যাক টু ব্যাক সেঞ্চুরি। সোমবার টেস্টের তৃতীয় দিনে সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন মার্শ।
পাল্লেকেলে ও গলে প্রথম দুই টেস্ট বড় ব্যবধানে হেরে আগেই সিরিজ খুইয়েছে অস্ট্রেলিয়া। প্রথম দুই টেস্টে ব্যর্থ ওপেনার জো বার্নসের বদলে কলম্বো টেস্টে দলে এসেছেন মার্শ।
প্রথম ইনিংসে শ্রীলঙ্কার ৩৫৫ রানের জবাবে ২১ রানেই ফিরে যান মার্শের সঙ্গী ডেভিড ওয়ার্নার। সেখান থেকে স্টিভেন স্মিথকে সঙ্গে নিয়ে প্রতিরোধ গড়েন মার্শ। দ্বিতীয় দিন শেষে মার্শ অপরাজিত ছিলেন ৬৪ রানে, আর স্মিথ ৬১ রানে।
আজ তৃতীয় দিনে লাঞ্চের ৩০ মিনিট আগেই সেঞ্চুরি তুলে নেন মার্শ। ব্যক্তিগত ৯৯ রান থেকে দিলরুয়ান পেরেরাকে সুইপ করে চার মেরে ২১৪ বলে স্পর্শ করেন তিন অঙ্ক। খানিক বাদে ক্যারিয়ারের ১৫তম সেঞ্চুরি পেয়েছেন তার সঙ্গী স্মিথও।
মার্শের এটি চতুর্থ টেস্ট সেঞ্চুরি। এর মধ্যে শ্রীলঙ্কার মাটিতে চার ইনিংসে সেঞ্চুরি দুটি। ২০১১ সালে পাল্লেকেলেতে অভিষেক টেস্টে ইনিংসেই করেছিলেন ১৪১।
কলম্বোর সেঞ্চুরিটি মার্শের জন্য খানিকটা ‘স্পেশাল’ বটে। গত জুনে পুত্রসন্তানের বাবা হওয়ার পর এটাই যে তার প্রথম সেঞ্চুরি! দুই মাস বয়সি ছেলে অস্টিন রস মার্শ স্ত্রী রেবেকা ও’ডনোভানের সঙ্গে শ্রীলঙ্কাতেই রয়েছে।
লাঞ্চের পর আর বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি মার্শ। সুরাঙ্গা লাকমালের বলে বোল্ড হওয়ার আগে করেছেন ১২০ রান। ২৮১ বলের ইনিংসে চার ১৯টি। দুই ওভার পর রঙ্গনা হেরাথের বলে স্টাম্পড হয়ে ফিরে গেছেন স্মিথও (১১৯)।
মার্শ-স্মিথ দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে আসে ২৪৬ রান। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টেস্টে দ্বিতীয় উইকেটে অস্ট্রেলিয়ার ২০০ রানের জুটি এটিই প্রথম। যেকোনো উইকেটেই এর চেয়ে বড় জুটি আছে আর মাত্র তিনটি।
বাংলা৭১নিউজ/সিএইস