শুক্রবার, ১০ জানুয়ারী ২০২৫, ০৯:১৪ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
সাবেক রেলমন্ত্রী মুজিবুলসহ ৫ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্র প্রকাশের দাবিতে লিফলেট বিতরণ এবার কারও পক্ষ নিয়ে কাজ করলে অসুবিধা হবে : কর্মকর্তাদের সিইসি অল্প কিছুদিনের মধ্যে দেশে ফিরবেন তারেক রহমান: মির্জা ফখরুল ইসলামী ব্যাংকের ভল্ট ভেঙে টাকা চুরি শেখ হাসিনার দুর্নীতি খুঁজে বের করতে টাস্ক ফোর্স গঠনের সিদ্ধান্ত ডিএমপির ১২ ডিসিকে বদলি ‘বৃহত্তর ইসরাইলের’ মানচিত্র প্রকাশ, আরব দেশগুলোর কড়া প্রতিবাদ বিমানবন্দরে রক্তাক্ত সেই প্রবাসীকে জরিমানা, হতে পারে জেলও ৩০ জুনের আগেই মহার্ঘভাতা ঘোষণা মানিকগঞ্জে ডিসির রুমের সামনে শিক্ষার্থীদের অবস্থান দাবি মানার আল্টিমেটাম দিয়ে ‌‌শাহবাগ ছাড়লেন চাকরিচ্যুত বিডিআর সদস্যরা শরীয়তপুরে থানা থেকে ওসির মরদেহ উদ্ধার নিক্সন ও তার স্ত্রীর ব্যাংক হিসাবে ৩ হাজার ১৬২ কোটি টাকা লেনদেন শহীদ মিনারের পর শাহবাগ অবরোধ বিডিআর সদস্যের স্বজনদের জেনেভা ক্যাম্পের আলোচিত সন্ত্রাসী চুয়া সেলিম গ্রেপ্তার মা‌র্কি‌নিদের হয়ে ঢাকায় বিশেষ দা‌য়িত্ব সামলাবেন ট্র্যাসি জ্যাকবসন বিসিএসে বাদ পড়া ২২৭ জনের বেশিরভাগই চাকরিতে যোগ দিতে পারবেন রাশিয়ায় বিমানবাহিনীর তেলের ডিপোয় ইউক্রেনের হামলা হাইভোল্টেজ ম্যাচে টস জিতে বরিশালকে ব্যাটিংয়ে পাঠালো রংপুর

৮ বছর অনুসন্ধান, তারেককে খালাস দেওয়া বিচারকের বিরুদ্ধে মামলা

বাংলা৭১নিউজ, ঢাকা
  • আপলোড সময় রবিবার, ১২ জুন, ২০২২
  • ৯২ বার পড়া হয়েছে
অবৈধ সম্পদ অর্জনের দায়ে সাবেক বিচারক মো: মোতাহার হোসেনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দূর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
আসামী মো: মোতাহার হোসেন, বয়স-৬৭, সাবেক বিচারক, দ্রুত বিচার ট্রাইবুনাল-৪, ঢাকা এবং বিশেষ জজ আদালত-৩, ঢাকা; পিতা- মরহুম হাজী হাদব, জেলা-নাটোর ১২,৩৫,৫৬৫/- (১২ লক্ষ ৩৫ হাজার ৫৬৫) টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন পূর্বক তা ভোগ দখলে রেখে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন ২০০৪ এর ২৭(১) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করায় দুর্নীতি দমন কমিশন, প্রধান কার্যালয়, ঢাকা এর উপপরিচালক জালাল উদ্দিন আহাম্মদ বাদী হয়ে আজ ১২.০৬.২০২২খ্রি. তারিখে দুদক, সজেকা, ঢাকা-১ এ একটি মামলা দায়ের করেছেন।

মুদ্রা পাচার মামলায় তারেক রহমানকে বেকসুর খালাসের রায় দেওয়া বিচারক মোতাহার হোসেনের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদের মামলার অনুমোদন দিয়েছে দুদক।

দীর্ঘদিন মালয়েশিয়ায় পালিয়ে থাকা বিচারক মোতাহারের বিরুদ্ধে অনুমোদিত মামলায় প্রায় সাড়ে ১২ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়েছে।

রোববার (১২ জুন) দুদকের প্রধান কার্যালয়ে তার বিরুদ্ধে মামলাটির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। শিগগিরই অনুসন্ধান কর্মকর্তা উপ-পরিচালক জালাল উদ্দিন আহাম্মদ বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন বলে দুদক সূত্রে জনা গেছে।

ঘুষ হিসাবে ২০ কোটি টাকা বিদেশে পাচার সংক্রান্ত দুর্নীতির মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার বড় ছেলে তারেক রহমানকে ২০১৩ সালের ১৭ নভেম্বর বেকসুর খালাস দিয়েছিলেন বিচারক মোতাহার হোসেন। সে সময় তিনি ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৩-এর বিচারক হিসেবে কর্মরত ছিলেন।

দুদক সূত্র জানায়, বিচারক মো. মোতাহার হোসেনের তার নিজ নামে ও স্ত্রী তাসলিমা বেগম ওরফে আরজুমান্দ আরার (মৃত) নামে অর্জিত জমি বা স্থাবর সম্পদের মোট পরিমাণ ৯.৩২৯৯ একর বা ৯৩৪ শতক। যার দালিলিক মূল্য ১৪ লাখ ১৮ হাজার ৯৯৪ টাকা। স্থাবর সম্পদ ছাড়া মো. মোতাহার হোসেনের নিজ নামে ২৫ লাখ ২৯ হাজার ৭৬১ টাকার অস্থাবর সম্পদ আছে। স্থাবর-অস্থাবর মিলিয়ে তার ৩৯ লাখ ৪৮ হাজার ৭৫৫ টাকা সম্পদসহ মোট ৫৩ লাখ ৮৩ হাজার ৫৫ টাকার সম্পদের তথ্য পাওয়া গেছে দুদকের অনুসন্ধানে। যার বিপরীতে ৪১ লাখ ৪৭ হাজার ৪৯০ টাকার সম্পদের উৎসের প্রমাণ পাওয়া গেলেও ১২ লাখ ৩৫ হাজার ৫৬৫ টাকার সম্পদ জ্ঞাত আয় বহির্ভূত বলে অনুসন্ধানে প্রমাণিত হয়েছে। তাই কমিশন থেকে দুদক ২০০৪ এর ২৭ (১) ধারায় মামলাটি অনুমোদন দিয়েছে।

যদিও সাবেক বিচারক মোতাহার হোসেনের বিরুদ্ধে বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদ অর্জনের সুনির্দিষ্ট অভিযোগ আমলে নিয়ে ২০১৪ সালের ২০ জানুয়ারি অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয় দুদক। সেই সময় তার বিরুদ্ধে বিদেশ ভ্রমণের নিষেধাজ্ঞাও জারি করে কমিশন। তবে কমিশন অনুসন্ধান শুরু করার আগেই তিনি মালয়েশিয়া চলে যান। দীর্ঘ ৮ বছরের অনুসন্ধান শেষে তার বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুদক। এর আগে বিভিন্ন সময়ে বিদেশের সম্পদের তথ্য-প্রমাণ পেতে মালয়েশিয়া ও লন্ডন সরকারের কাছে মিউচ্যুয়াল লিগ্যাল অ্যাসিন্ট্যান্স রিকোয়েস্ট (এমএলএআর) পাঠিয়েছিল দুদক। কিন্তু এতোদিনেও কাঙ্ক্ষিত তথ্য পাওয়া যায়নি বলে জানা গেছে।

২০১০ সালের ৬ জুলাই বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার ব্যবসায়িক অংশীদার গিয়াসউদ্দিন আল মামুনের বিরুদ্ধে বিদেশে অর্থ পাচারের মামলার অভিযোগপত্র আদালতে জমা দেয় দুদক। ২০১৩ সালের ১৭ নভেম্বর রায়ে তারেককে বেকসুর খালাস ও মামুনকে অর্থদণ্ডসহ সাত বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

এই ঘটনায় আইনজীবী অ্যাডভোকেট পবিত্র সরকার, দ্রুতবিচার ট্রাইব্যুনাল-৪ এর পেশকার আবুল কালাম আজাদ, ঢাকা বিশেষ জজ আদালত-৩ এর পেশকার আরিফুল ইসলাম, বিশেষ জজ আদালত -৩ এর স্টেনোগ্রাফার মো. নুরুল ইসলাম ও দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-৪ এর স্টেনোগ্রাফার মো. আবু হাসানসহ বেশ কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে দুদক।

বাংলা৭১নিউজ/এসএস

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৫ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com