শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ১২:২০ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
দ্বাদশ সংসদ অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রী-মন্ত্রীদের জন্য ৯৪০ প্রশ্ন ভরিতে আরও ১৮৭৮ টাকা কমলো সোনার দাম সব প্রার্থী আমাদের কাছে সমান: ইসি আলমগীর টোল আদায়ে দুর্নীতি, দুদকের হস্তক্ষেপে ইজারা বাতিল রোহিঙ্গাদের ফেরাতে বাংলাদেশের পাশে আছে ইউরোপ : পররাষ্ট্রমন্ত্রী জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিত করেই আ.লীগ ক্ষমতায় এসেছে : কাদের এপ্রিলে নির্যাতনের শিকার ১৯৩ নারী-শিশুকন্যা ৯ মে পর্যন্ত চলবে সংসদের দ্বিতীয় অধিবেশন শিক্ষামন্ত্রীর পদত্যাগ চেয়ে লিগ্যাল নোটিশ মৃত ব্যক্তিদের জাল সনদ: মিল্টন সমাদ্দারের ৩ দিনের রিমান্ড গণমাধ্যম শুধু মুক্ত নয়, উন্মুক্ত : তথ্য প্রতিমন্ত্রী যাত্রীবাহী বাস থেকে ৭টি স্বর্ণের বারসহ চোরকারবারি আটক আমন মৌসুম থেকেই চাল ছাঁটাই ও পলিশ বন্ধ করা হবে : খাদ্যমন্ত্রী টস হেরে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ ১০ বাংলাদেশি জেলেকে অপহরণের অভিযোগ আরাকান আর্মির বিরুদ্ধে শনিবার থেকে খোলা স্কুল-কলেজ: শিক্ষা মন্ত্রণালয় ইসলামী ব্যাংকে বৈদেশিক মুদ্রা জমা বিষয়ক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত ১২ কেজি এলপিজির দাম কমলো ৪৯ টাকা শেয়ার ছাড়বে রূপালী ব্যাংক নীলফামারীতে মোটরসাইকেলের ধাক্কায় বৃদ্ধার মৃত্যু

৮ বছরে জঙ্গি হামলায় নিহত ৩৬০

বাংলা ৭১ নিউজ
  • আপলোড সময় সোমবার, ২৫ জুলাই, ২০১৬
  • ১২৮ বার পড়া হয়েছে

বাংলা৭১নিউজ, ডেস্ক: বিগত ৮ বছরে ধরে বাংলাদেশে জঙ্গি হামলার সংখ্যা ক্রমেই বৃদ্ধি পাচ্ছে। সমাজের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ এসব হামলার স্বীকার।

সাউথ এশিয়ান টেরোরিজম পোর্টালের (এসএটিপি) তথ্য মতে, ২০০৯ থেকে ২০১৬ সালের জুলাই পর্যন্ত জঙ্গি হামলায় কমপক্ষে ৩৬০ জন লোক নিহত হয়েছে। এদের মধ্যে ৩৩০ জন বেসামরিক নাগরিক এবং বাকিরা আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য। এছাড়া কথিত জঙ্গি সন্দেহে হত্যা করা হয়েছে আরো ২৪৩ জনকে।

এসএটিপির বিগত ৮ বছরের তথ্যের ভিত্তিতে ২০১৩ সালে দেশে সবচেয়ে বেশি হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়। ওই বছর ২৪৬ জন বেসামরিক নাগরিক ও নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য এবং ১৩৩ জন হামলাকারী নিহত হন।

এছাড়া ২০১০ সালে ৩ জন, ২০১২ সালে ১ জন, ২০১৪ সালে ৩৮ জন, ২০১৫ সালে ২৫ জন এবং চলতি বছরের জুলাই পর্যন্ত ৪৬ জন নিহত হন বলে বেসরকারি সংস্থাটির রিপোর্টে বলা হয়েছে।

রিপোর্টে আরো বলা হয়েছে, গত ১১ বছরে জঙ্গি হামলায় দেশে ৩৯৩ জন লোক নিহত হয়েছেন, যাদের অধিকাংশই বেসামরিক নাগরিক।

এসব হামলার সাথে জড়িত জঙ্গিরা সমাজের বিভিন্ন স্তরের বলে সাম্প্রতিক কালে প্রমাণিত হয়েছ। শুরুর দিকে শুধুমাত্র মাদ্রাসার ছাত্রদের জঙ্গি বলে সন্দেহ করা হয়েছিল। তবে এখন উচ্চশিক্ষিত ও ধনাঢ্য পরিবারের সন্তানরাও জঙ্গিবাদে জড়িয়ে পড়েছে।

এর ফলে জঙ্গিরা এখন আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে মারাত্মক হামলা চালানোর যোগ্যতা অর্জন করছে। তাদের উন্নত প্রযুক্তির ব্যবহার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে ঘটনা সম্পর্কে অন্ধকারে রাখছে।

নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, বাংলাদেশে এসব জঙ্গি হামলা প্রতিরোধে প্রথমেই এর মূল কারণ উদঘাটন করতে হবে।

এসএটিপির রিপোর্ট অনুযায়ী, দেশে প্রথম কোনো বড় ধরণের জঙ্গি হামলার ঘটনা ঘটে ১৯৯৬ সালে। ওই বছরের ১১ সেপ্টেম্বর রাঙ্গামাটিতে শান্তি বাহিনী ৩০ জন বাঙালি অধিবাসীকে অপহরণ করে এবং পরে তাদের হত্যা করে প্রথম কোনো বড় ধরনের বিচ্ছিন্নতাবাদী হামলার ঘটনা ঘটায়।

তখন থেকে দেশে প্রতিনিয়ত সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ও হত্যাকাণ্ডের ঘটনা বৃদ্ধি পাচ্ছে।

নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ মেজর জেনারেল আব্দুর রশিদ (অব:) জানান, আফগানিস্তান ভিত্তিক জঙ্গি সংগঠন হরকাতুল জিহাদ (হুজি) এবং জেএমবির হাত ধরে বাংলাদেশে জঙ্গিবাদের উত্থান ঘটে।

২০১৩ সাল থেকে আনসারুল্লাহ বাংলা টিম নামে আরো একটি জঙ্গি সংগঠনের অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যায়। মুক্তমনা লেখক-ব্লগারসহ আরো বেশকিছু প্রগতিবাদী লেখক-শিক্ষককে হত্যার পেছনে এই জঙ্গি সংগঠনটি জড়িত বলে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী জানিয়েছে।

বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, স্থানীয় জঙ্গি সংগঠনগুলোর সাথে আন্তর্জাতিক সংগঠন যেমন-আল কায়েদা, আইএস এদের সম্পৃক্ততা রয়েছে।

সম্প্রতি বাংলাদেশকে নাড়িয়ে দেয়া গুলশান হামলা ও শোলাকিয়া ঈদগাহে হামলার ঘটনায় আইএস দায় স্বীকার করেছে। তবে বাংলাদেশ সরকার বরাবরই দেশে আইএসের অস্তিত্ব অস্বীকার করে আসছে।

সরকারের চিরাচরিত রীতি অনুযায়ী এসব হামলার কোনো রকম তদন্ত ছাড়াই বিরোধী দলকে সরাসরি দায়ী করে বক্তৃতা-বিবৃতি প্রদান করছেন সরকারের এমপি-মন্ত্রীরা। ফলে প্রকৃত ঘটনা উদঘাটনের সুযোগ কমে আসছে।

বাংলা৭১নিউজ/সিএইস

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৩ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com