বুধবার, ০৫ মার্চ ২০২৫, ০২:৩২ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
পানিবণ্টন চুক্তি বাস্তবায়ন হচ্ছে, ফারাক্কা পরিদর্শন শেষে আবুল হোসেন জামায়াত নেতাদের মারধর, ৪ নেতাকে শোকজ করল বিএনপি পুলিশের ঊর্ধ্বতন পর্যায়ে বড় রদ বদল পুতুলের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট অবরুদ্ধের তথ্য লুকানোর চেষ্টা! চট্টগ্রাম বন্দরে দুই বিদেশি জাহাজের সংঘর্ষ অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে ফাইনালে ভারত ট্রাম্পের নতুন শুল্কে আরও তীব্র চীন-যুক্তরাষ্ট্র বাণিজ্যযুদ্ধ ৭ মাস পর শহীদ আসিফের মরদেহ পেলো পরিবার ৮৬ লাখ টাকা পাচার করেছেন সাদিক অ্যাগ্রোর ইমরান: সিআইডি বাংলাদেশ সম্পর্কে জাতিসংঘের প্রতিবেদন জেনেভায় উপস্থাপন করবেন তুর্ক তিন দফা কমানোর পর ফের বাড়লো সোনার দাম সার্বিয়ার সংসদে গ্রেনেড নিক্ষেপ, এমপির স্ট্রোক ‘এনআইডি সেবা অবশ্যই ইসির অধীনে থাকা উচিত’ ফেনীতে ভ্রাম্যমাণ আদালতের ম্যাজিস্ট্রেটের ওপর হামলার চেষ্টা এক ন্যাশনাল সিস্টেমেই হবে ভ্যাটের যাবতীয় কাজ : এনবিআর চেয়ারম্যান ভারতীয় ভিসা নিয়ে কোনো সুখবর নেই চার বছর চেষ্টার পর আকাশে উড়লো জুলহাসের বিমান ঢাকায় সাঁড়াশি অভিযানে ২৪ ঘণ্টায় গ্রেফতার ১৫৫ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আন্তর্জাতিক শান্তি পদক নীতিমালা বাতিল শিক্ষায় নতুন উপদেষ্টা নিয়োগের কারণ ওয়াহিদউদ্দিনের ‘অপারগতা’

৮৬ লাখ টাকা পাচার করেছেন সাদিক অ্যাগ্রোর ইমরান: সিআইডি

বাংলা৭১নিউজ ঢাকা:
  • আপলোড সময় মঙ্গলবার, ৪ মার্চ, ২০২৫
  • ৮ বার পড়া হয়েছে

ছাগলকাণ্ডে আলোচিত সাদিক অ্যাগ্রোর চেয়ারম্যান ইমরান হোসেন মানিলন্ডারিংয়ের মাধ্যমে অন্তত ১৩৩ কোটি টাকা উপার্জন করেছেন, যার মধ্যে ৮৬ লাখ টাকা বিদেশে পাচার করেছেন বলে জানিয়েছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।

সিআইডি জানায়, দেশি গরু ও ছাগলকে ‘বিদেশি ও বংশীয়’ বলে প্রচারণা চালিয়ে কোরবানির বাজার থেকে সাদিক অ্যাগ্রোর অবৈধভাবে আয় ১২১ কোটি টাকারও বেশি।

মঙ্গলবার (৪ মার্চ) বিকেলে মালিবাগে সিআইডির প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সংস্থাটির অর্গানাইজড ক্রাইম বিভাগের অতিরিক্ত ডিআইজি মো. একরামুল হাবীব এসব তথ্য জানান।

তিনি বলেন, মোহাম্মদপুর থানায় ইমরান ও তার ব্যবসায়িক অংশীদার তৌহিদুল আলম জেনিথসহ এই চক্রের বিরুদ্ধে মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে একটি মামলা করা হয়। তারা মানিলন্ডারিংয়ের মাধ্যমে ১৩৩ কোটি ৫৫ লাখ ৬ হাজার ৩৪৪ টাকা অর্জন করেছেন বলে প্রাথমিকভাবে অনুসন্ধানে জানা গেছে। প্রতারণা ও জালিয়াতির মাধ্যমে অনুমোদনহীন ব্রাহমা জাতের গরু আমদানি ও সরকারি বিধি লঙ্ঘন করে অবৈধভাবে বিদেশে প্রায় ৮৬ লাখ টাকা পাচার করেছেন।

সিআইডির এ কর্মকর্তা বলেন, ইমরান ও তার সহযোগীরা কক্সবাজারের টেকনাফ ও উখিয়া সীমান্তবর্তী এলাকা দিয়ে থাইল্যান্ড ও মিয়ানমার থেকে চোরাচালানের মাধ্যমে গরু ও মহিষ বাংলাদেশে নিয়ে এসে তা বিক্রি করতেন। এছাড়া ভুটান ও নেপাল থেকে চোরাচালানের মাধ্যমে ছোট আকৃতির ভুট্টি গরু বাংলাদেশে এনে বিক্রির অভিযোগ রয়েছে। ইমরান প্রতারণার মাধ্যমে দেশীয় গরু-ছাগলকে ‘বিদেশি ও বংশীয়’ গরু-ছাগল বলে প্রচার করে উচ্চমূল্যে কোরবানির পশুর হাটে বিক্রি করে প্রায় ১২১ কোটি ৩২ লাখ ১৫ হাজার ১৪৪ টাকা আয় করে বিভিন্ন ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে হস্তান্তর, স্থানান্তর ও রূপান্তর করেছেন।

অতিরিক্ত ডিআইজি একরামুল বলেন, গত বছর ঈদুল আজহার আগে কোটি টাকা দামের ‘বংশ মর্যাদাসম্পন্ন গরু’ ও ছাগলের দাম ১৫ লাখ টাকা চাওয়ার ঘটনায় শুরু হয় সমালোচনা। সেই ছাগল ১২ লাখ টাকায় কেনার চুক্তি করেন মুশফিকুর রহমান ইফাত নামে ১৯ বছর বয়সী এক তরুণ। ১৯ বছরের তরুণ মুশফিকুর রহমান ইফাতের ১২ লাখ টাকায় ছাগল কেনার চুক্তির পর তার বাবা এনবিআর সদস্য মতিউর রহমান ও তার পরিবারের বিপুল সম্পদের তথ্য আসে গণমাধ্যমে। এরপর সাদিক অ্যাগ্রোর নানা অনিয়মের বিষয়েও প্রতিবেদন প্রকাশ হয় সংবাদমাধ্যমে।

সিআইডির এই কর্মকর্তা আরও বলেন, অবৈধভাবে অর্জিত মোট ১১ কোটি ৩৬ লাখ ৯১ হাজার ২০০ টাকা ইমরান ও তার মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান জালালাবাদ মেটাল লিমিটেডের নামে এফডিআর খুলে বিনিয়োগ করে লন্ডারকৃত সম্পদে রূপন্তর করেছেন। এছাড়া মোহাম্মদপুরের এলাকায় সরকারী খাল ভরাট ও দখল করে ব্যবসায়িক কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছিলেন।

তিনি বলেন, বিদেশ থেকে আনা ব্রাহমা জাতের ১৫টি গরু ঢাকা কাস্টমস হাউজ আটক করেছিল। পরে সেগুলো সাভারে কৃত্রিম গরু প্রজনন কেন্দ্রে রাখা হয়েছিল। পরে প্রজনন কেন্দ্র থেকে সিদ্ধান্ত দেওয়া হলো, এ গরুগুলো জবাই করে তিনি ন্যায্যমূল্যে বিক্রি করে দিবেন। কিন্তু এগুলো জবাই না করেই ইমরান জালিয়াতির মাধ্যমে কাগজ তৈরি করেছেন জবাই করেছেন। এরপর সেগুলো প্রায় ১১ কোটি টাকা মূল্যে বিক্রি করেছেন।

ইমরানের সঙ্গে কোনো সরকারি কর্মকর্তার জড়িত থাকার প্রমাণ মিলেছে কি না, জানতে চাইলে তিনি বলেন, মানিলন্ডারিং আইন অনুযায়ী কোনো সরকারি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মানিলন্ডারিংয়ের অভিযোগ থাকলে সেটি দুদক তদন্ত করবে। এ মুহূর্তে তদন্তের স্বার্থে সবগুলো বিষয় প্রকাশ করা সমীচীন হবে না।

টেকনাফ এবং উখিয়া অঞ্চল দিয়ে মিয়ানমার থেকে গরু আমদানির প্রক্রিয়ার সঙ্গে ‘অন্য কেউ বা গোষ্ঠী জড়িত’- এমন ধারণা থেকে তদন্ত চলমান রাখার কথা জানিয়েছেন তিনি।

তদন্ত শেষে আরও বিস্তারিত জানানোর কথা উল্লেখ করে অতিরিক্ত ডিআইজি একরামুল হাবীব বলেন, ইমরান হোসেন যে মানিলন্ডারিং করেছেন, ব্যাংকিং চ্যানেলে অবৈধ লেনদেনের তথ্য, তদন্তের স্বার্থে ওই বিষয়গুলো গোপন রাখতে হচ্ছে। টাকাগুলোর উৎস, রিপ্লেসমেন্ট এবং লেয়ারিং হয়েছে, তাতে আমাদের কাছে প্রতীয়মান হয়েছে তিনি মানিলন্ডারিংয়ের সঙ্গে জড়িত।

তিনি বলেন, গ্রেফতার ইমরান হোসেন প্রচুর সম্পদের মালিক হয়েছেন, মোহাম্মদপুরে সরকারি খাল ভরাট করে সেখানে অবৈধভাবে ব্যবসা করেছেন। এছাড়া প্রচুর অস্থাবর সম্পত্তির প্রমাণ পাওয়া গেছে। আরও বেশকিছু সম্পদ যেগুলোর তথ্য আমাদের হাতে এসে পৌঁছায়নি।

বিদেশে পাচার করা টাকার মধ্যে থাইল্যান্ডসহ বিভিন্ন দেশ রয়েছে জানিয়ে সিআইডির অতিরিক্ত ডিআইজি একরামুল হাবীব বলেন, ইমরানের সহযোগী জেনিথ এখনো গ্রেফতার হয়নি। অভিযান চলমান। আমরা আরও ৫-৭ জনের সংশ্লিষ্টতার প্রাথমিক তথ্য পেয়েছি। তাদের গ্রেফতারে সুস্পষ্ট তথ্য-প্রমাণের জন্য অপেক্ষা করতে হচ্ছে।

বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৫ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com