ভারতীয় সিনেমার আলোচিত অভিনেত্রী এশা গুপ্তা। বেশ কিছু বলিউড ও দক্ষিণী সিনেমায় অভিনয় করে প্রশংসা কুড়িয়েছেন। ব্যক্তিগত জীবনে এখনো অবিবাহিত ৩৮ বছর বয়সি এই অভিনেত্রী। বিয়ে না করলেও ভীষণভাবে সন্তান চান এশা। এজন্য ৭ বছর আগে ডিম্বাণু সংরক্ষণ করে রেখেছেন এশা।
স্প্যানিশ উদ্যোক্তা ম্যানুয়েলের সঙ্গে সম্পর্কে রয়েছেন এশা গুপ্তা। দীর্ঘ পাঁচ বছর ধরে চুটিয়ে প্রেম করছেন তারা। বম্বে টাইমসকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এশা গুপ্তা বলেন, ‘২০১৭ সালে আমি ডিম্বাণু সংরক্ষণ করেছি। তখন ম্যানুয়েলের সঙ্গে আমার পরিচয় হয়নি। আমি খুবই স্মার্ট ছিলাম। ম্যানুয়েলের সঙ্গে পরিচয় হওয়ার আগের সাড়ে ৩ বছর একা ছিলাম।
ভাগ্যক্রমে ম্যানুয়েলের সঙ্গে আমার পরিচয় হয়। আমরা জানতাম, আমরা সম্পর্কের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি। নট ডেটিং। আমরা এটাও বুঝতে পারছিলাম, আমাদের শেষ গন্তব্য বিয়ে। আমরা বিয়ে করতে চাই, আমরা সন্তান চাই। আমি বাচ্চাদের খুব ভালোবাসি।’
এশার প্রেমিক ম্যানুয়েলও বাবা হওয়ার জন্য প্রস্তুত। এ তথ্য উল্লেখ করে এশা গুপ্তা বলেন, ‘ম্যানুয়েল বাবা হওয়ার জন্য প্রস্তুত। বিয়ের পর আইভিএফ অথবা সারোগেসি পদ্ধতি গ্রহণ করব। মূলত, এটা নির্ভর করে কখন বিয়ে করছি এবং আমার শারীরিক অবস্থার ওপরে। একজন নারী সবসময়ই পরিবার চায়, এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।’
এশা যখন ডিম্বাণু সংরক্ষণ করেছেন, তখন ভারতে এটি খুবই ব্যয়বহুল ছিল। এ তথ্য উল্লেখ করে এশা গুপ্তা বলেন, ‘আমি যখন ডিম্বাণু সংরক্ষণ করেছি, তখন ভারতে এটি খুবই ব্যয়বহুল ছিল। এই ডিম্বাণুগুলো আমার সন্তান। আমি যখন স্বাস্থ্যবান ছিলাম তখনই ডিম্বাণু সংরক্ষণ করেছি। আমি যদি অভিনেত্রী না হতাম, তবে এটা নিশ্চিত যে, এতদিনে আমার তিনটি সন্তান থাকত। সুতরাং আমি সবসময়ই সন্তান চাই। আমি মনে করি, আমার তিনটি সন্তান রয়েছে।’
এশা চান তার সন্তান প্রেমিক ম্যানুয়েল ও তার সংমিশ্রণে হোক। এ বিষয়ে এশা বলেন, ‘আমি ম্যানুয়েলকে বলে রেখেছি, আমি সন্তান চাই, যার চোখ তোমার মতো আর শরীরের রং আমার মতো হবে। সন্তানের জন্য ম্যানুয়েলকে আমি বিয়ে করতে চাই।’
তা হলে কবে বিয়ে করছেন এশা গুপ্তা? এ প্রশ্নের উত্তরে এই অভিনেত্রী বলেন, ‘যেকোনো সময়ে বিয়ে করে ফেলতে পারি। এখন আমি আমার স্বাস্থ্যের দিকে বেশি ফোকাস করেছি।’
এশা গুপ্তা স্পেনে রেস্তোরাঁ ব্যবসা চালু করেছেন। এ বিষয়ে তার প্রেমিক তাকে ভীষণ সহযোগিতা করেছেন। এসব তথ্য উল্লেখ করে এশা বলেন, ‘আমি খুবই আনন্দিত। কারণ ম্যানুয়েলের মতো মানুষ আমার জীবনে এসেছে। আমার ব্যবসা দাঁড় করাতে সে আমাকে অনেক সহযোগিতা করেছে। সত্যি বলতে, আমি কখনো ব্যবসায়ী হতে চাইনি।
আমি সবসময়ই ভেবেছি, একটি চাকরি করব এবং একটি ল ফার্মে কাজ করব। এটি অধিকতর সহজ কাজ। আমার জীবন নিরাপদ করতে সে আমাকে সাহায্য করেছে। আমি মজা করে প্রায়ই বলি, এখন তুমি আমাকে ছেড়ে যেতে পারবে না, আমাকে তোমার বিয়ে করতেই হবে।’
বাংলা৭১নিউজ/এসএকে