গত এক সপ্তাহে চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর দিয়ে ৫০ হাজার টনের মতো অপরিশোধিত সয়াবিন তেল আমদানি করা হয়েছে। চারটি বড় জাহাজে করে এসব তেল আমদানি করেছে তিনটি শিল্পগ্রুপ। এগুলো হলো— সিটি, মেঘনা ও টিকে গ্রুপ। জাহাজের মধ্যে তিনটি এসেছে আর্জেন্টিনা থেকে এবং একটি এসেছে ব্রাজিল থেকে।
বন্দর সূত্রে জানা যায়, গত ৫ নভেম্বর আর্জেন্টিনা থেকে আরডমোর চেয়েন্নে নামে একটি ট্যাংকার চট্টগ্রাম বন্দরের উদ্দেশে রওনা দেয়। জাহাজটি চট্টগ্রামে পৌঁছে ৬ ডিসেম্বর। মালামাল খালাস করে জাহাজটি ভারতের উদ্দেশে সোমবার (৯ ডিসেম্বর) চট্টগ্রাম বন্দর ত্যাগ করে। সানি ভিক্টরি নামে আরেকটি জাহাজ অপরিশোধিত সয়াবিন তেল নিয়ে ৭ নভেম্বর ব্রাজিলের বন্দর থেকে রওনা দেয়। আজ মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) জাহাজটি চট্টগ্রাম পৌঁছে।
ডাম্বলডোর নামে আরেকটি জাহাজ গত ২ নভেম্বর দক্ষিণ আমেরিকার দেশ আর্জেন্টিনা থেকে চট্টগ্রামের উদ্দেশে রওনা দেয়। ৭ ডিসেম্বর জাহাজটি চট্টগ্রাম পৌঁছে। এ ছাড়া একই দেশ থেকে জিঙ্গা থ্রেশার নামে একটি জাহাজ ৫ নভেম্বর চট্টগ্রামের উদ্দেশে রওনা দেয়। আজ (মঙ্গলবার) জাহাজটি চট্টগ্রাম পৌঁছে।
চট্টগ্রাম বন্দরের এক কর্মকর্তা জানান, চারটি জাহাজে করে ৫০ হাজার টনের মতো অপরিশোধিত সয়াবিন তেল এসেছে। এর মধ্যে আরডমোর চেয়েন্নে থেকে সম্পূর্ণ তেল খালাস করা হয়েছে। বাকি তিনটি জাহাজ থেকে তেল খালাস করে কাস্টমস নিয়ন্ত্রিত ট্যাংক টার্মিনালে রাখা হবে।
শুল্ক পরিশোধ করার পর অপরিশোধিত এসব তেল কারখানায় নিয়ে যাওয়া হবে। পরিশোধন করার পর এগুলো বাজারজাত করা হবে। সাধারণত খালাসের পর পরিশোধন করে বাজারজাত করতে দুয়েক সপ্তাহ সময় লাগে।
আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বেড়ে যাওয়ায় দেশে কয়েকদিন ধরে ভোজ্যতেলের বাজারে অস্থিরতা চলছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে সোমবার (৯ ডিসেম্বর) ভোজ্যতেলের দাম নির্ধারণ নিয়ে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন বাণিজ্য উপদেষ্টা সেখ বশির উদ্দিন। বৈঠকের পর বোতলজাত ও খোলা সয়াবিন তেলের দাম প্রতি লিটারে ৮ টাকা করে বাড়ানো হয়।
বাংলা৭১নিউজ/একে