বাংলা৭১নিউজ,ডেস্ক: ইলিশ সংরক্ষণে প্রধান প্রজনন মৌসুম অক্টোবরের ৭ তারিখ থেকে পরবর্তী ২২ দিন এই মাছ ধরা নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে সরকার। বলা হয়েছে, প্রজনন ক্ষেত্রের সাত হাজার বর্গকিলোমিটার এলাকায় ইলিশ শিকার, পরিবহন, মজুদ, বাজারজাত ও কেনা-বেচা নিষিদ্ধ থাকবে।
‘মা-ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান-২০১৮’ বাস্তবায়নসংক্রান্ত জাতীয় টাস্কফোর্সের সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। রোববার মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন মন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ।
ইলিশের প্রজনন ক্ষেত্রগুলোর মধ্যে রয়েছে চট্টগ্রামের মীরসরাই উপজেলার শাহের খালী থেকে হাইতকান্দি পয়েন্ট; ভোলার তজুমুদ্দীন উপজেলার উত্তর তজুমুদ্দীন থেকে পশ্চিম সৈয়দপুর আওলিয়া পয়েন্ট; পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার লতা চাপালি পয়েন্ট এবং কক্সবাজারের কুতুবদিয়া উপজেলার উত্তর কুতুবদিয়া থেকে গন্ডামারা পয়েন্ট।
সভায় জানানো হয়, সরকারি নির্দেশ অনুসারে ইলিশের নিরাপদ প্রজননের জন্য চাঁদপুর, লক্ষ্মীপুর, নোয়াখালী, ফেনী, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখালী, বরগুনা, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বাগেরহাট, শরীয়তপুর, ঢাকা, মাদারীপুর, ফরিদপুর, রাজবাড়ী, জামালপুর, নারায়ণগঞ্জ, নরসিংদী, মানিকগঞ্জ, কিশোরগঞ্জ, টাঙ্গাইল, মুন্সিগঞ্জ, খুলনা, সাতক্ষীরা, কুষ্টিয়া, রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, সিরাজগঞ্জ, নাটোর, পাবনা, কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও গোপালগঞ্জ জেলার সব নদ-নদীতে এ সময় সব ধরনের মাছ ধরা বন্ধ থাকবে।
এ ছাড়া দেশের সুন্দরবনসহ সমুদ্র উপকূলীয় এলাকা এবং মোহনাগুলোতেও এই ২২দিন মাছ ধরা বন্ধ থাকবে। দেশের মাছঘাট, আড়ৎ, হাটবাজার, চেইনশপসহ সংশ্লিষ্ট এলাকায় ওই ২২দিন অভিযানও পরিচালিত হবে।
সভায় মৎস্যসচিব রইছউল আলম মণ্ডল, মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) আবু সাইদ মো. রাশেদুল হক, মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের ডিজি ইয়াহিয়া মাহমুদ, জাতীয় মৎস্যজীবী সমিতির সভাপতি ইসলাম আলী ও সেক্রেটারি ফনী ভূষণ মালো এবং নৌ-পুলিশ, কোস্টগার্ড, পুলিশ, বিমানবাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ছিলেন।
বাংলা৭১নিউজ/জেড এইচ