আওয়ামী যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ বলেছেন, যারা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছিল, এ দেশের স্বাধীনতাকামী মানুষের ওপর প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য তারা কিন্তু আজও সোচ্চার। জননেত্রী শেখ হাসিনা মানুষের ভাগ্যোন্নয়নে দিনরাত কাজ করে যাচ্ছেন, সেই কাজে ব্যাঘাত ঘটানোর জন্য তারা সোচ্চার। ৭৫’র খুনিরা চায় না ভবিষ্যৎ প্রজন্ম বাঙালি হিসেবে আত্ম-মর্যাদাশীল জাতি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হোক।
রোববার (১৩ আগস্ট) বিকেলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ ১৫ আগস্টে নিহত সব শহীদদের স্মরণে মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
শেখ ফজলে শামস পরশ বলেন, বঙ্গবন্ধু পরিবারকে নিঃশেষ করে দেওয়ার চেষ্টা ছিল ১৫ আগস্ট। সেই কারবালার ইতিহাসের মতো ভয়ংকর দৃশ্য, নির্মম এই ইতিহাস। পরিবারের এতগুলো সদস্যদের মেরে ফেলার পরেও বাংলার অগণিত মানুষ আর আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সমর্থন ভালবাসার কারণে ধীরে ধীরে জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা আবার উঠে দাঁড়াতে পেরেছি, ঘুরে দাঁড়াতে পেরেছি।
যুবলীগ চেয়ারম্যান বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এবং আওয়ামী যুবলীগ এমন একটি সংগঠন এদের ত্যাগ-তিতিক্ষা এবং ভালোবাসা না থাকলে জননেত্রী শেখ হাসিনা বা আমরা কোনো সান্ত্বনা পেতাম না। আমাদের সান্ত্বনা এ দেশের জনগণের ভালোবাসা এবং সমর্থন। বঙ্গবন্ধুর সারাজীবনের সংগ্রাম এ দেশের দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটানো, সেই চেষ্টা সেই সংগ্রামই শেখ হাসিনা চালিয়ে যাচ্ছেন এবং আজীবন চালিয়ে যাবেন।
তিনি আরও বলেন, আপনারা গত ৪৮ বছর আওয়ামী লীগের ওপর এবং জননেত্রী শেখ হাসিনার ওপর আস্থা রেখেছেন, সেই আস্থা আপনারা দয়া করে রাখবেন। বঙ্গবন্ধুকন্যা তার বাবা-মাসহ ছোট ভাইদেরকেও হারিয়েছেন, তারপরেও তিনি শোককে শক্তিতে পরিণত করে এগিয়ে চলেছেন। আগামী নির্বাচনে আপনাদের ভোটের মাধ্যমেই আওয়ামী লীগ আবারও ক্ষমতায় আসবে এবং সেই নির্বাচনে জয়ের মাধ্যমেই আমরা ১৫ আগস্টের খুনিদের জবাব দেব।
আওয়ামী যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. মাইনুল হোসেন খান নিখিলের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মঞ্জুর আলম শাহীন, ডা. খালেদ শওকত আলী, মো. রফিকুল ইসলাম, মো. হাবিবুর রহমান পবন, মো. নবী নেওয়াজ, মো. মোয়াজ্জেম হোসেন, ইঞ্জিনিয়ার মৃনাল কান্তি জোদ্দার, তাজ উদ্দিন আহমেদ, মো. জসিম মাতুব্বর, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক বিশ্বাস মুতিউর রহমান বাদশা, মো. রফিকুল আলম জোয়ার্দার সৈকত, সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী মো. মাজহারুল ইসলাম, ডা. হেলাল উদ্দিন, মো. সাইফুর রহমান সোহাগ, মো. জহির উদ্দিন খসরু, আবু মুনির মো. শহিদুল হক চৌধুরী রাসেল, মশিউর রহমান চপল, অ্যাডভোকেট ড. শামীম আল সাইফুল সোহাগসহ নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ