শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ০২:৪১ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
দ্বাদশ সংসদ অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রী-মন্ত্রীদের জন্য ৯৪০ প্রশ্ন ভরিতে আরও ১৮৭৮ টাকা কমলো সোনার দাম সব প্রার্থী আমাদের কাছে সমান: ইসি আলমগীর টোল আদায়ে দুর্নীতি, দুদকের হস্তক্ষেপে ইজারা বাতিল রোহিঙ্গাদের ফেরাতে বাংলাদেশের পাশে আছে ইউরোপ : পররাষ্ট্রমন্ত্রী জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিত করেই আ.লীগ ক্ষমতায় এসেছে : কাদের এপ্রিলে নির্যাতনের শিকার ১৯৩ নারী-শিশুকন্যা ৯ মে পর্যন্ত চলবে সংসদের দ্বিতীয় অধিবেশন শিক্ষামন্ত্রীর পদত্যাগ চেয়ে লিগ্যাল নোটিশ মৃত ব্যক্তিদের জাল সনদ: মিল্টন সমাদ্দারের ৩ দিনের রিমান্ড গণমাধ্যম শুধু মুক্ত নয়, উন্মুক্ত : তথ্য প্রতিমন্ত্রী যাত্রীবাহী বাস থেকে ৭টি স্বর্ণের বারসহ চোরকারবারি আটক আমন মৌসুম থেকেই চাল ছাঁটাই ও পলিশ বন্ধ করা হবে : খাদ্যমন্ত্রী টস হেরে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ ১০ বাংলাদেশি জেলেকে অপহরণের অভিযোগ আরাকান আর্মির বিরুদ্ধে শনিবার থেকে খোলা স্কুল-কলেজ: শিক্ষা মন্ত্রণালয় ইসলামী ব্যাংকে বৈদেশিক মুদ্রা জমা বিষয়ক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত ১২ কেজি এলপিজির দাম কমলো ৪৯ টাকা শেয়ার ছাড়বে রূপালী ব্যাংক নীলফামারীতে মোটরসাইকেলের ধাক্কায় বৃদ্ধার মৃত্যু

৭ই মার্চের ভাষণে স্বাধীনতার সব দিকনির্দেশনাই ছিল: প্রধানমন্ত্রী

বাংলা ৭১ নিউজ
  • আপলোড সময় শনিবার, ৯ মার্চ, ২০১৯
  • ৭২ বার পড়া হয়েছে
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ফাইল ছবি

বাংলা৭১নিউজ,ঢাকা: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণের মাধ্যমেই স্বাধীনতার মূল ঘোষণা দিয়েছিলেন এবং স্বাধীনতাপ্রিয় মানুষদের সশস্ত্র যুদ্ধে উদ্বুদ্ধ করেছিলেন। ৭ই মার্চের ভাষণের মাধ্যমেই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতার মূল ঘোষণা দেন এবং পাকিস্তানের সঙ্গে সমস্ত সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন করেন।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেমোরিয়াল ট্রাস্ট ও বঙ্গবন্ধু স্মৃতি যাদুঘর আয়োজিত ৭ই মার্চের ওপর এক সেমিনারে সভাপতির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, এই ভাষণের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু জাতির সামনে কেবল একটি স্বাধীন রাষ্ট্রই উপস্থাপন করেননি, বরং এর ভবিষ্যৎ কী হবে তাও তুলে ধরেন। শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর নির্দেশনা ও আদর্শ অনুসরণ করে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য সকলের প্রতি আহ্বান জানান।

‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ মার্চের ভাষণ’

রাজনীতির কবি ও অমর কবিতা’- শীর্ষক এই সেমিনারে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান প্রফেসর আবদুল মান্নান মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।
জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ড. ফারজানা ইসলাম ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. নিলয় রঞ্জন বিশ্বাস এবং বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরের চেয়ারপার্সন শিল্পী হাসেম খান মূল প্রবন্ধের ওপর আলোচনায় অংশ নেন। বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মাশুরা হোসেন অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ৭ই মার্চের ভাষণের মাধ্যমে জাতির পিতা জাতিকে সকল দিক-নির্দেশনা প্রদান করেন। ‘বাঙালিদের কী করতে হবে, তাও তিনি বলেছেন। শেখ হাসিনা বলেন, বঙ্গবন্ধু আশঙ্কা করেছিলেন যে, ভাষণের পর তিনি জীবিত নাও থাকতে পারেন। তাঁকে হত্যা করা হতে পারে, যেহেতু পাকিস্তানিরা বহুবার সে অপচেষ্টা করেছে।

তিনি বলেন, ‘সে কারণে বঙ্গবন্ধু যুদ্ধের সকল ব্যবস্থা করে রাখেন। আমি তার নীরব সাক্ষী।

শেখ হাসিনা বলেন, বঙ্গবন্ধুর ভাষণ নিয়ে অনেকে অনেক রকম ব্যাখ্যা দেন। তখনকার ছাত্রনেতা এখন যারা জীবিত আছেন, আমি আজকেও একজনের ইন্টারভিউ দেখছিলাম। সেখানে কেউ নানাভাবে ব্যাখ্যা দিয়ে দিচ্ছেন। আসলে এই ব্যাখ্যাগুলো শুনলে হাসি পায় যে, এরা আসলে কতটা অর্বাচীনের মতো কথা বলে। ‘তিনি (বঙ্গবন্ধু) নাকি নিউক্লিয়াসের সঙ্গে আলোচনা করলেন’ ভাষণে এবারের সংগ্রাম মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম আমাদের স্বাধীনতার সংগ্রাম এখানে মুক্তির সংগ্রাম আগে বলবে না স্বাধীনতার সংগ্রাম আগে বলবে সেটাও নাকি ‘নিউক্লিয়াস’ আলোচনা করেছে। এগুলো সম্পূর্ণ ডাহা মিথ্যা কথা। এর কোনও যৌক্তিকতা নেই।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই যে একেকজন একেকটা ব্যাখ্যা দেন, আসলে তো তা নয়। হ্যাঁ, ভাষণে যাওয়ার আগে অনেকেই দিন-রাত পরিশ্রম করেছেন, অনেকে অনেক পয়েন্ট তৈরি করেছেন, অনেকে বলেছেন এটা বলতে হবে, ওটা বলতে হবে, এভাবে বলতে হবে, সেভাবে বলতে হবে, এটা না বললে হতাশ হয়ে ফিরে যাবে। নানা ধরনের কথার মধ্যে আমরা জর্জরিত ছিলাম। কাগজে কাগজে অনেক কাগজ আমাদের বাসায় জমা হয়েছিল। শেষ কথা বলেছিলেন আমার মা। যে কথাটি আমি সবসময় বলি। আমার মা একটা কথাই বলেছিলেন- ‘সারাটা জীবন তুমি সংগ্রাম করেছো, তুমি জানো বাংলাদেশের মানুষ কী চায় এবং তার জন্য কি করতে হবে। তোমার থেকে ভালো আর কেউ জানে না। কাজেই তোমার মনে যে কথাটা আসবে, তুমি শুধু সেই কথাই বলবে আর কোনও কথা না।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এই ভাষণে দেখবেন, এখানে কোনো পয়েন্ট নেই, কোনো কাগজ নেই। কারণ, তিনি তো সংগ্রাম করে গেছেন সেই ১৯৪৮ সাল থেকে। তখন থেকেই তিনি বাঙালি জাতির মুক্তির জন্য সংগ্রাম করে গেছেন। স্বাভাবিকভাবেই তিনি জানেন মুক্তির পথটি কোথায়, কীভাবে আসবে। তিনি যেসব ব্যবস্থা করে গেছেন, সেটাও তিনি জানেন। সেভাবেই তিনি নির্দেশনা দিয়েছিলেন, যা বাঙালি জাতি অক্ষরে অক্ষরে পালন করেছে।

বাংলা৭১নিউজ/এসএইচবি

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৩ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com