শনিবার, ০৬ জুলাই ২০২৪, ১২:০৯ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
পদ্মা সেতুর জন্য বাংলাদেশ বিশ্বে সম্মান পেয়েছে : প্রধানমন্ত্রী আটলান্টিকে নৌকাডুবি, ৮৯ অভিবাসীর মৃত্যু মার্টিনেজের নৈপুণ্যে ইকুয়েডরকে হারিয়ে সেমিতে আর্জেন্টিনা প্রধানমন্ত্রীর আগমনে পদ্মা পাড়ে উৎসবের আমেজ সকালে বাস-ট্রাক সংঘর্ষে নিহত ৫ ইরানে দ্বিতীয় দফার প্রেসিডেন্ট নির্বাচন আজ যুক্তরাজ্যে নির্বাচনে টানা চতুর্থবার জিতলেন টিউলিপ সিদ্দিক এসসিও-র শীর্ষ সম্মেলনে নরেন্দ্র মোদী কেন গেলেন না? ব্রিটেনের নির্বাচন: লেবার পার্টির বিশাল জয়, সুনাকের পরাজয় প্রধানমন্ত্রীর সফরে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় উত্তীর্ণ হবে ৬ ঘণ্টা পর শাহবাগ ছাড়লেন শিক্ষার্থীরা, নতুন কর্মসূচি ঘোষণা যুক্তরাজ্যের নির্বাচনে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ৩৪ প্রার্থী শাহ্জালাল ইসলামী ব্যাংকের পরিচালক পর্ষদের ৩৮১তম সভা অনুষ্ঠিত রাজধানীতে ৯ কোটি টাকার খাসজমি উদ্ধার কাস্টমস কমিশনার এনামুলের ৯ কোটি টাকার সম্পত্তি ক্রোকের নির্দেশ ফেনীতে বেড়িবাঁধের ১০ স্থানে ভাঙন, ৪৬ গ্রাম প্লাবিত জুয়েলারি মেশিনারিজ প্রদর্শনীর উদ্বোধন করলেন বসুন্ধরা চেয়ারম্যান বান্দরবানে বেনজীরের সম্পত্তি জেলা প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে খালেদার মুক্তি আন্দোলনে জনগণকে সম্পৃক্ত করতে পারেনি বিএনপি ভাতিজির বিয়েতে যাচ্ছিলেন এসআই, রাস্তায় ফেলে কোপাল দুর্বৃত্তরা

৬৪ জেলায় নদী-খাল পুন:খনন ♦ মহৎ পরিকল্পনায় আর্থিক সমস্যা

বাংলা ৭১ নিউজ
  • আপলোড সময় বুধবার, ২৬ ফেব্রুয়ারী, ২০২০
  • ১৭৬ বার পড়া হয়েছে

বাংলা৭১নিউজ রিপোর্ট: পরিকল্পনা মহৎ। কিন্ত আর্থিক সমস্যা অনেকটাই বাঁধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই অবস্থার নিরসন না হলে ৬৪ জেলায় ছোট নদী, খাল, বিল ও জলাশয় পূন:খনন প্রকল্পের (প্রথম পর্ব) কাজ যথাসময়ে বাস্তবায়ন নিয়ে শঙ্কা তৈরি হবে। ইতোমধ্যেই এই কাজের চাহিদা মোতাবেক অর্থ বরাদ্দ না হওয়ায় ঠিকাদারদের মধ্যে এক ধরণের হতাশা বিরাজ করছে। যা কাজের গতিকে শ্লথ করে দিবে। এরপরও সারাদেশেই চলমান এই প্রকল্পের কাজের অগ্রগতি অনেকটাই সন্তোষজনক।

সরেজমিনে মানিকগঞ্জ জেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, এই জেলায় ১৫টি প্যাকেজে ১৬০ কিলোমিটার খনন কাজের ওয়ার্ক অডার রয়েছে। যার চুক্তি মূল্য ১৬৫ কোটি টাকা। এর মধ্যে দু’টি প্যাকেজ বাদে বাকি কজের গড় অগ্রগতি ৭০ শতাংশেরও বেশি। এই প্যাকেজ দু’টির একটি হচ্ছে- মানিকগঞ্জ জেলার সাটুরিয়া সদর এবং সিংগাইর উপজেলাধীন ধলেশ^রী নদীর ১৩৫ কিলোমিটার হতে ১৪৫ দশমিক ৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত অর্থাৎ সাড়ে ১০ কিলোমিটার পুন:খনন করা। ২০১৮ সালের নভেম্বরে এই কাজ শুরু এবং সমাপ্ত হবে ২০২০ সালের ডিসেম্বরে। ১৮ কোটি ৯৬ লাখ টাকার এই কাজটি নিয়েছে এসএসইসিএল-এইচবি জেভি। কাজের অগ্রগতি দেখানো হয়েছে মাত্র ১ শতাংশ।

ধলেশ্বরী নদী পুন:খনন কাজ চলছে।

অপর প্যাকেজটি হচ্ছে- মানিকগঞ্জ জেলার সাটুরিয়া সদর এবং সিংগাইর উপজেলাধীন ধলেশ্বরী নদীর ১১০ দশমিক ৫০ কিলোমিটার হতে ১২১ কিলোমিটার পর্যন্ত অর্থাৎ সাড়ে ১০ কিলোমিটার পুন:খনন করা। ২০১৮ সালের নভেম্বরে এই কাজ শুরু এবং সমাপ্ত হবে ২০২০ সালের ডিসেম্বরে। ১৫ কোটি ৭ লাখ টাকার এই কাজটিও নিয়েছে এসএসইসিএল-এইচবি জেভি। এই কাজের অগ্রগতিও দেখানো হয়েছে মাত্র ২ শতাংশ। এমন পরিস্থিতিতে এই দু’টি প্যাকেজের কাজ আদৌ যথাসময়ে বাস্তবায়ন করা সম্ভব কিনা তা নিয়ে সংশ্লিষ্ট এলাকাবাসীর মধ্যে যথেষ্ট সংশয় রয়েছে।

এছাড়া ঘিওর উপজেলাধীন বানিয়াজুরি খালের ৫ কিলোমিটার, একই উপজেলাধীন উবাজানী খালের ১৩ দশমিক ৬৭ কিলোমিটার, সাটুরিয়া-মানিকগঞ্জ সদর-সিংগার উপজেলাধীন ধলেশ্বরী নদীর ৭ কিলোমিটার (১২৮ কিলোমিটার হতে ১৩৫ কিলোমিটার পর্যন্ত), সাটুরিয়া-মানিকগঞ্জ সদর-সিংগার উপজেলাধীন ধলেশ্বরী নদীর ৭ কিলোমিটার (১২১ কিলোমিটার হতে ১২৮ কিলোমিটার পর্যন্ত), সাটুরিয়া-মানিকগঞ্জ সদর-সিংগার উপজেলাধীন ধলেশ্বরী নদীর সাড়ে ১০ কিলোমিটার (১০০ কিলোমিটার হতে ১১০ দশমিক ৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত), সাটুরিয়া-মানিকগঞ্জ সদর-সিংগার উপজেলাধীন গাজীখালী নদীর ১৫ কিলোমিটার (৩০ কিলোমিটার হতে ৪৫ কিলোমিটার পর্যন্ত), সাটুরিয়া-মানিকগঞ্জ সদর-সিংগার উপজেলাধীন গাজীখালী নদীর ১৫ কিলোমিটার (১৫ কিলোমিটার হতে ৩০ কিলোমিটার পর্যন্ত), সাটুরিয়া-মানিকগঞ্জ সদর-সিংগার উপজেলাধীন গাজীখালী নদীর ১৫ কিলোমিটার (শূণ্য কিলোমিটার হতে ১৫ কিলোমিটার পর্যন্ত), শিবালয় উপজেলাধীন ঘোষবাড়ী খালের ৪ কিলোমিটার (শূণ্য কিলোমিটার হতে ৪ কিলোমিটার পর্যন্ত), দৌলতপুর-শিবালয়-হরিরামপুর উপজেলাধীন ইছামতি নদীর ১৯ কিলোমিটার (১৯ কিলোমিটার হতে ৩৮ কিলোমিটার পর্যন্ত), দৌলতপুর-শিবালয়-হরিরামপুর উপজেলাধীন ইছামতি নদীর ১৯ কিলোমিটার (শূণ্য কিলোমিটার হতে ১৯ কিলোমিটার পর্যন্ত), সাটুরিয়া-দৌলতপুর উপজেলাধীন ঘরিয়ালা খালের ৬ কিলোমিটার (শূণ্য কিলোমিটার হতে ৬ কিলোমিটার পর্যন্ত) এবং মানিকগঞ্জ সদর উপজেলাধীন নালোরা খালের ২ কিলোমিটার (শূণ্য কিলোমিটার হতে ৬ কিলোমিটার পর্যন্ত) পুন:খনের কাজ চলছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের মহাপরিচালক এ এম আমিনুল হক।

এ ব্যপারে জানতে চাইলে পানি উন্নয়ন বোর্ডের মহাপরিচালক এ এম আমিনুল হক বাংলা৭১নিউজকে বলেন, প্রকল্পে কোন অর্থ সংকট নেই। সরকার চাহিদা মোতাবেক প্রকল্পে অর্থ যোগান দিচ্ছে। সারাদেশেই ৬৪ জেলায় খাল ও নদী পুন:খননের কাজের অগ্রগতি সন্তোষজনক। তিনি বলেন, এই প্রকল্পের মূল লক্ষ্যই হচ্ছে- ৬৪ জেলায় খাল, জলাশয় ও ছোট নদীগুলোর নাব্য বৃদ্ধি, পানি ধারণ ক্ষমতা বাড়ানো, গ্রাউন্ড ওয়াটার রিচার্জ ও জীব-বৈচিত্র সংরক্ষণের লক্ষ্যে ব-দ্বীপ প্রকল্প ২১০০ বাস্তবায়ন করা। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলার পাশাপাশি নিশ্চিত হবে দীর্ঘমেয়াদী পানি ব্যবস্থাপনা ও খাদ্য নিরাপত্তা।

এদিকে মানিকগঞ্জের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মাঈন উদ্দীন তার এলাকার কাজের ব্যপারে বলেন, পরিবেশ রক্ষায় সরকারের এমন উদ্যোগকে মানুষ সাধুবাদ জানিয়েছে। মানিকগঞ্জের নদী তীরবর্তী এলাকার মানুষের দাবী এ প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে সবচেয়ে বেশি সুবিধা পাবে কৃষি খাত। তিনি বলেন, এখানকার সুপেয় পানি ও কৃষিকাজে ভূগর্ভস্থ পানির ওপর নির্ভরশীলতার কারণে পানির স্তর নেমে যাচ্ছে। নদীমাতৃক বাংলাদেশে একসময় নদী-নালা, পুকুর ও অন্যান্য জলাধারের পানি কৃষি আবাদ ও সুপেয় পানি হিসেবে ব্যবহৃত হলেও এখন ভূগর্ভস্থ পানিই একমাত্র ভরসা।

ইছামতি নদী পুন:খননের কাজ চলছে।

তিনি বলেন, এখানকার খাল ও নদীগুলো পুন:খনন কাজ সম্পন্ন হলে এসব খাল ও নালায় নদী বা বৃষ্টির পানি সংরক্ষণের ব্যবস্থা হবে। এতে সেচ কাজে ভূ-উপরিস্থ পানির ব্যবহার বেড়ে ভূগর্ভস্থ পানির ব্যবহার কমবে। কৃষকের খরচ কমবে। এর ফলে পতিত জমি কমে খাদ্যশস্যের উৎপাদন বাড়বে। তিনি বলেন, মানিকগঞ্জে খাল ও নদী খনন নিয়ে কোথাও কোন অনিয়ম ও দূর্নীতি নেই। এ ধরণের অভিযোগ আসলে আমরা খতিয়ে দেখবো এবং প্রমাণ পেলে তাৎক্ষনিক ব্যবস্থা নেব।

এদিকে, ঠিকাদারদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, তারা নিয়ম মেনে কাজ চালিয়ে গেলেও যথাসময়ে অর্থ পাচ্ছেন না। এতে করে তাদের ব্যাংক ঋণের টোকা বেড়ে যাচ্ছে। শ্রমিকের টাকা, খনন কাজের জন্য ব্যবহৃত যন্ত্রপাতির ব্যয় বহনে হিমশিম খেতে হচ্ছে। ফলে ইচ্ছে থাকলেও যথাসময়ে কাজ বাস্তবায়ন করাটা তাদের জন্য কঠিণ হয়ে যাচ্ছে। 

 বাংলা৭১নিউজ/এসএইচবি

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৩ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com