পটুয়াখালীর মহিপুরে ৪ টন সরকারি বই কেজি দরে বিক্রির অভিযোগ উঠা মোয়াজ্জেমপুর সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ আবু বক্কর সিদ্দিককে শোকজ করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জাহাঙ্গীর হোসেন তাকে শোকজ করেন।
বিনামূল্যে বিতরণের জন্য প্রদানকৃত বই বিক্রি করায় কেন তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে আগামী ৫ দিনের মধ্যে লিখিতভাবে ওই শোকজে জবাব চান ইউএনও।
এদিকে, মোয়াজ্জেমপুর সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষসহ ৫ জনের নামে মহিপুর থানার সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছে উপজেলা প্রশাসন।
জানা যায়, মোয়াজ্জেমপুর সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল আবু বক্কর সিদ্দিক ৪ টন সরকারি পাঠ্যবই কেজি দরে ঝিনাইদহের শওকত আলী নামের এক ব্যক্তির কাছে বিক্রি করেন। রোববার (১২ ফেব্রুয়ারি) রাতে ওই ব্যবসায়ী বইগুলো নিয়ে যাওয়ার সময় ট্রাকসহ জব্দ করে উপজেলা প্রশাসন।
বিষয়টি নিয়ে অনলাইন নিউজ সহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হয়। পরে তদন্ত শেষে ওই অধ্যক্ষকে শোকজ করে ইউএনও।
শওকত আলী বলেন, আমি মূলত পুরনো বই–খাতা কেজি হিসেবে ক্রয়–বিক্রয়ের ব্যবসা করি। মোয়াজ্জেমপুর সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ আবু বক্কর সিদ্দিকের কাছ থেকে বইগুলো কেজি দরে কিনেছি। তবে এগুলো পাঠ্যবই কিনা সে বিষয়ে জানা নেই।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে মোয়াজ্জেমপুর সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল আবু বক্কর সিদ্দিকের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তা সম্ভব হয়নি।
কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে। ওই অধ্যক্ষের কাছে তার বিরুদ্ধে কেন আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না? তা জানতে চাওয়া হয়েছে। তিনি লিখিতভাবে জবাব দেওয়ার পর পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ