বাংলা৭১নিউজ,মাহবুব রহমান সুমন,ফুলবাড়ী(কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি: ১৯৭১ সালে ফুলবাড়ী উপজেলা হানাদার মুক্ত এলাকা ছিল। মরহুম বদরুজ্জামান মিঞা (বীর প্রতিক) এর নেতৃত্বে দলে দলে ছাত্র যুবকেরা উপজেলার প্রবেশ পথগুলোতে প্রতিরোধ গড়ে তোলে। ফলে ফুলবাড়ীর চারপাশে হানাদার বাহিনী ব্যাপক ধ্বংসলীলা চালালেও ফুলবাড়ীতে তারা ঘাঁটি গাড়তে পারেনি। কিন্তু ১৯৭১ সালের ২৮মার্চ জেলার ভুরুঙ্গামারীতে ঘটে যায় ব্যতিক্রমী এক ঘটনা। ৪জন সসস্ত্র অবাঙ্গালী ইপিআর ১১ জন নিরস্ত্র বাঙ্গালী ইপিআর কে বন্দি করে ভুরুঙ্গামারী হতে ফুলবাড়ীর উপর দিয়ে রংপুরের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেয়। খবর পেয়ে বদরুজ্জামান (বীর প্রতিক) এর নেতৃত্বে লালমনিরহাট নেছারিয়া মাদ্রাসার কাছে তাদের গতিরোধ করা হয়।
প্রচন্ড গোলা বিনিময়ের পর পাক বাহিনী আতœসমর্পণ করে। পরে স্থানীয় জনগণ তাদের পিটিয়ে মেরে ফেলেন। এই যুদ্ধে পাক বাহিনীর একটি গুলি লুৎফর রহমানের মাথায় বিদ্ধ হয়। সেদিন ফুলবাড়ীর মানুষকে নিরাপদ করতে ঘটনাস্থলেই শহিদ হন ফুলবাড়ী থানায় কর্মরত ইপিআর সদস্য হাবিলদার লুৎফর রহমান। ৬নং সেক্টরের প্রথম শহিদ লুৎফর রহমানের লাশ এনে ফুলবাড়ী জামে মসজিদের পাশে দাফন করা হয়। ফুলবাড়ীর জনগণ পরম যতেœ বাধিয়ে দেন এই বীর মুক্তিযোদ্ধার কবর। তবে স্বাধীনতার ৪৭ বৎসরের উদ্ধার করা যায়নি শহিদ এই মুক্তিযোদ্ধার পারিবারিক ঠিকানা। এতটুকু জানা যায়, তার পিতার নাম মৃত- সহিদ আলী, কথায় নোয়াখালী অঞ্চলের ভাষার টান ছিল।
অনেকেই মনে করেন তার বাড়ী নোয়াখালী অথবা ফেনী জেলায় হতে পারে। শহিদ এই মুক্তিযোদ্ধার পারিবারিক ঠিকানা উদ্ধার হলে তার নিকট আতœীয়রা কবর জেয়ারত করলে শহিদ এই বীর মুক্তিযোদ্ধার আতœা শান্তি পেত।
এ ব্যাপারে চন্দ্রখানা গ্রামের বাসিন্দা যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা জাহেদুল হক বলেন, শহিদ এই মুক্তিযোদ্ধার পরিবার কোন অবস্থায় আছে আমরা জানি না। পারিবারিক ঠিকানা উদ্ধার করে তার পরিবারকে রাষ্ট্রীয় সব সুযোগ-সুবিধার আওতায় আনতে হবে। এ জন্য সরকারি সহযোগীতা প্রয়োজন। শহিদ এই মুক্তিযোদ্ধার পারিবারিক ঠিকানা উদ্ধার করা ফুলবাড়ী বাসীর প্রাণের দাবী।
বাংলা৭১নিউজ/জেএস