আগামী ৫ বছরে এক হাজার এমএমসিএফটি গ্যাস উত্তোলন বাড়ানোর পরিকল্পনা আছে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খণিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মাহবুব হোসেন।
তিনি বলেন, আগামী ২০২৫ সাল নাগাদ ৪৬টা কূপ আমরা বাড়ানোর পরিকল্পনা করেছি। ২০২৫ সালের মধ্যে ৬১৮ এমএমসিএফটি গ্যাস আমরা পাবো বলে আশা করি।
রোববার (১৪ আগস্ট) বিদ্যুৎ ভবনে ‘বাংলাদেশের জ্বালানি নিরাপত্তা : অস্থির বিশ্ববাজার’ শীর্ষক এক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন।
জ্বালানি সচিব বলেন, প্রথম দিকে আমরা দ্রুত গ্যাস পেয়েছি। কিন্তু গত ১০ বছরে আমরা ভালো ফলাফল পাইনি। তবে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় আমরা বেশকিছু পরিকল্পনা নিচ্ছি।
তিনি বলেন, বিভিন্ন গ্যাসক্ষেত্র থেকে নতুন উত্তোলন ও ওয়ার্ক ওভারের মাধ্যমে উত্তোলন বাড়ানোর পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে। তবে এলএনজির ওপরে আমাদের কিছু নির্ভরতা থাকবেই। কিন্তু তার পরিমাণ কত হবে, সেটা নির্ভর করবে গ্যাস উত্তোলনের ওপর।
মাহবুব হোসেন আরও বলেন, ভোলার গ্যাস যেন আমরা বের (উত্তোলন) করে আনতে পারি সে পরিকল্পনা হচ্ছে। ২০২৭-২৮ সালের মধ্যে এক হাজার এমএমসিএফটি গ্যাস আমরা জাতীয় পর্যায়ে যুক্ত করতে পারবো, সেই লক্ষ্যে পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে।
তিনি বলেন, গভীর সমুদ্র আমাদের যে গ্যাস দেবে, সেটা তোলার সক্ষমতা বাপেক্সের নেই। বাইরের কোম্পানিকে দিয়ে উত্তোলন করতে হবে। তারা তো উত্তোলনে গেলেই দেখে, যেখানে তারা উত্তোলন করবে সেখানে তাদের কতটা লাভ হবে।
সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। বিশেষ অতিথি ছিলেন- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক জ্বালানি বিশেষজ্ঞ বদরুল ইমাম, ক্যাবের জ্বালানি বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক এম শামসুল আলম। এছাড়াও পেট্রোবাংলা, বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডসহ জ্বালানি বিভাগের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ