বাংলা৭১নিউজ, গোলাম মোস্তাফিজার রহমান মিলন, হিলি (দিনাজপুর) প্রতিনিধি: গুনে গুনে স্বাধীনতার ৪৭ টি বছর পেরিয়ে গেলেও দিনাজপুরের নবাবগঞ্জের বিরঙ্গনা ৪০ নারীর মুক্তিযোদ্ধার সম্মাননায় ভুষিত করার দাবি উঠেছে বহুবারই, কিন্তু আমলে নেয়নি কেহই। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রনালয়ে অনেক আবেদন-নিবেদনের পর ওই নারীদের মুক্তিযোদ্ধার সন্মাননা পাওয়ার বিষয়ে এই বারই তথ্য সংগ্রহের কাজ শুরু করেছেন জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল। হয়তোবা এবারই ভাগ্যের জট খুলতে পারে এমনি আশায় বুক বেঁধেছেন ওই সব বিরঙ্গনা নারীরা। আর যাচাই-বাছায়ের কাজ শুরু করেছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার।
৭১’এর সেই যুদ্ধে ভয়াল ঘটনার রুপ নিয়েছিল এই দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ উপজেলায়। উপজেলার প্রাণকৃষ্ণপুর, আন্দোলগ্রাম, সারাইপাড়া ও খয়েরগুনি এই ৪ টি গ্রামের ১১৯ জন লোককে গুলি করে হত্যা করেছিলো হানাদার বাহিনী। সেই গনহত্যায় নবাবগঞ্জের চড়ারহাট রুপ নেয় বদ্ধভুমিতে। আর সম্ভ্রম হানির ঘটনাও ঘটেছিল এসব গ্রামেই। এলাকার সম্ভ্রম হারানো নারীরা লজ্জায় সমাজে মাথা উঁচু করে কিছু বলতে পারেন না কখনো। তবে তাদের আক্ষেপের যেনো শেষ নেই। কি পেলো তারা সংগ্রাম করে ?
আক্ষেপের সুরে নির্যাতিত মেহেরুন নেছা বলেন, নাইবা থাকলো ইতিহাসে আমাদের নাম, কিন্তু আমাদের নিয়েই তো ইতিহাস।
ওই ৪০ জন বিরঙ্গনারা মুক্তিযোদ্ধার সন্মাননায় ভুষিত হয় এমন দাবি করেছেন নবাবগঞ্জ উপজেলার বীর মুক্তিযোদ্ধা হাসান আলী সরকার।
যারা নিজেরাইস্বীকার করবে তাদেরকেই সেই তালিকায় ভুক্ত করা হবে, বললেন উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পারুল নাহার।
মুক্তি যুদ্ধে নির্যাতিত ৪০ বিরঙ্গনা নারীর বিষয়ে তথ্য চেয়েছেন জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল। ইতিমধ্যেই ৩ সদস্যের কমিটির মাধ্যমে যাচাই-বাছায়ের কাজ শুরু করেছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো:মশিউর রহমান।
বাংলা৭১নিউজ/জেএস