চট্টগ্রামের রাউজানের সাবেক সংসদ সদস্য এবিএম ফজলে করিমের তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
সোমবার (১১ নভেম্বর) সকালে চট্টগ্রামের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কাজী শহিদুল ইসলাম এই আদেশ দেন। এদিন তাকে কড়া নিরাপত্তার মধ্যে দিয়ে আদালতে হাজির করা হয়।
চট্টগ্রাম জেলা আদালতের পুলিশ পরিদর্শক জাকির হোসাইন বলেন, ‘রাউজান থানার একটি অস্ত্র মামলায় সাবেক এমপি এবিএম ফজলে করিম চৌধুরীকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পাঁচদিনের রিমান্ড আবেদন করে পুলিশ। শুনানি শেষে তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। তাকে আবার কারাগারে পাঠানো হয়েছে।’
আদালত সূত্র জানায়, গত ২৫ সেপ্টেম্বর ফজলে করিম চৌধুরীর বাড়িতে অভিযান চালায় যৌথবাহিনী। অভিযানে তার বাড়ি থেকে একটি পয়েন্ট ২২ বোর রাইফেল, একটি এলজি, একটি রিভলভার, একটি শটগান ও সাত রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়।
এসব অস্ত্রের মধ্যে শুধু রাইফেলের লাইসেন্স থাকলেও বাকি সব ছিল অবৈধ। ওই অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় আজ ফজলে করিমকে আদালতে হাজির করে পুলিশ পাঁচদিনের রিমান্ড আবেদন করলে আদালত তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এর আগে, গত ১৭ অক্টোবর এবিএম ফজলে করিম চৌধুরীকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সংঘর্ষে পৃথক তিন মামলায় জিজ্ঞাসাবাদ করতে ভার্চুয়াল শুনানি শেষে আটদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। একইসঙ্গে তাকে আরও পাঁচ মামলায় শ্যোন অ্যারেস্ট (গ্রেপ্তার) দেখানো হয়।
গত ১২ সেপ্টেম্বর সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া সীমান্তের আবদুল্লাহপুর এলাকা থেকে এবিএম ফজলে করিমসহ তিনজনকে আটক করে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। ফজলে করিম আখাউড়া সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে ভারতে যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন বলে বিজিবি জানিয়েছে। তার বিরুদ্ধে চট্টগ্রামে মামলা হয়েছে ১৪টি। এসব মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর জন্য নিরাপত্তার কারণে তাকে ১৯ সেপ্টেম্বর চট্টগ্রামে আনা হয় হেলিকপ্টারে করে।
পরে ২৪ সেপ্টেম্বর ফজলে করিমকে সকাল সাড়ে সাতটায় আদালতে হাজির করা হয়। গ্রেপ্তার দেখানো হয় পাঁচ মামলায়। একই সঙ্গে রাউজান থানার একটি মামলায় দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ