বাংলা৭১নিউজ, ঢাকা: ৩০ ডিসেম্বরের মধ্যে ট্যানারি কারখানাগুলো সাভারে সরানো না হলে ১ জানুয়ারি থেকে হাজারীবাগে গ্যাস, বিদ্যুৎসহ সব সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু।
রবিবার সকালে সাভারের হেমায়েতপুরে চামড়া শিল্পনগর পরিদর্শন করতে গিয়ে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
২০০১ সালে হাইকোর্ট এক রায়ে হাজারীবাগ থেকে সাভারে ট্যানারি শিল্প সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দেয়। এরপর ২০০৯ সালের ২৩ জুন আরেক আদেশে ট্যানারি সরানোর জন্য ২০১০ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সময় বেঁধে দেওয়া হয়। পরবর্তীকালে সরকারপক্ষের আবেদনে ওই সময়সীমা কয়েক দফা বাড়িয়ে ২০১১ সালের ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত করা হয়। কিন্তু এ সময়ের মধ্যেও ট্যানারিগুলো স্থানান্তরিত না হওয়ায় আদালত অবমাননার মামলা করেন পরিবেশবাদী সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের পক্ষ থেকে মনজিল মোরসেদ।
এ মামলার প্রেক্ষিতে ২০১৪ সালের ১৫ এপ্রিল আদালত অবমাননার রুল জারি করে হাইকোর্ট। পরে গত বছরের ২১ এপ্রিল শিল্প সচিবের পক্ষে ১৬ জুন আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করা হয়। প্রতিবেদনে ১৫৫টি ট্যানারি প্রতিষ্ঠানের নামের তালিকা তুলে ধরা হয়। এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে শুধু রিলায়েন্স ট্যানারি লিমিটেড সাভারে তাদের নামে বরাদ্দকৃত প্লটে ট্যানারি কারখানা চালু করেছে মর্মে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়। ওই প্রতিবেদন পাওয়ার পর হাইকোর্ট চলতি বছরের ১৭ জুন ১৫৪ ট্যানারি কারখানাকে প্রতিদিন পঞ্চাশ হাজার টাকা করে জরিমানার নির্দেশ দেন।
আমির হোসেন আমু বলেন, মালপত্র পরিবহনসহ কিছু সমস্যার কারণে ট্যানারি কারখানা সরাতে দেরি হয়েছে। তবে ৩০ ডিসেম্বরের মধ্যে ট্যানারি পুরোপুরি সাভারে স্থানান্তরিত করা হবে। আর যেসব কারখানা এখনো কাজ শুরু করেনি, তাদের চুক্তি বাতিল করা হবে।
এসময় শিল্প মন্ত্রণালয়ের সচিব, বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশন (বিসিক), সরকারি বিভিন্ন সংস্থার কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলা৭১নিউজ/এম