সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জের মাইজগাঁওয়ের বিয়ালীবাজারের কাছে জ্বালানি তেলবাহী ট্রেনের বগি (ওয়াগন) লাইনচ্যুত হয়ে দীর্ঘ ২৯ ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর সিলেটের সঙ্গে সারাদেশের রেলযোগাযোগ স্বাভাবিক হয়েছে। দুর্ঘটনাকবলিত তেলবাহী ওয়াগনগুলো উদ্ধার ও লাইন মেরামত করা হলে শনিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) ভোরে রেল চলাচল শুরু হয়।
ভোর ৫টা থেকে ট্রেন চলাচল পুনরায় শুরু হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন রেলওয়ে সিলেট স্টেশন ম্যানেজার খলিলুর রহমান। তিনি জানান, রেলের ছয়টি ইউনিটের দুই শতাধিক কর্মী একযোগে প্রায় ২৯ ঘণ্টা প্রচেষ্টা চালিয়ে রেল চলাচল স্বাভাবিক করেন।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) রাত ১২টায় ফেঞ্চুগঞ্জের মাইজগাঁওয়ের বিয়ালীবাজারের কাছে চট্টগ্রাম থেকে সিলেটের উদ্দেশে আসা জ্বালানি তেলবাহী ট্রেনের ২১টি বগির (ওয়াগন) মধ্যে ১০টি লাইনচ্যুত হয়। এতে প্রায় ৮০০ মিটার রেললাইন ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ফলে সারাদেশের সঙ্গে রেল যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায় বৃহস্পতিবার রাত ১২টা থেকে।
তেলবাহী ওয়াগনগুলো উপুড় হয়ে পড়ে যায়। এতে এগুলো থেকে ১ লাখ ৬০ হাজার লিটার তেল আশপাশ এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে নষ্ট হয়ে গেছে। ছড়িয়ে পড়া তেল আহরণে স্থানীয়রা হুমরি খেয়ে পড়েন। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে তেলের মধ্যে গড়াগড়ি করেও অনেকে তেল সংগ্রহ করেন। ওয়াগন থেকে পড়ে যাওয়া তেল সংগ্রহে গতকাল দিনভর চলে ‘তেলেসমাতি কাণ্ড’।
এদিকে, ট্রেন লাইনচ্যুত হওয়ার কারণ জানতে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। রেলের বিভাগীয় পরিবহন কর্মকর্তা খায়রুল ইসলামকে প্রধান করে গঠিত কমিটিকে তিন দিনের মধ্যে রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে।
বাংলা৭১নিউজ/এমকে