বাংলা৭১নিউজ,ডেস্ক: বিয়ে অনেকেই করেন৷ মধুচন্দ্রিমা সবার ভাগ্যে জোটে না৷ নিউজিল্যান্ডের এক নবদম্পতি বিয়েকে স্মরণীয় করতে গিয়েছিলেন ফকল্যান্ডে৷প্রায় বন্দিদশায় কেটেছে পাঁচটি মাস!
বিয়েটা অবশেষে করলেন৷ করলেন একটা বিশেষ দিন দেখে৷ ২০২০ সালের লিপইয়ার, অর্থাৎ ২৯ ফেব্রুয়ারি ২৫ বছরের পুরোনো জুটি গাঁটছড়া বাঁধলেন৷ সেদিনই হানিমুন করতে রওনা দিলেন নেভিলের জন্মভূমি ফকল্যান্ডের উদ্দেশে৷
শৈশবেই ফকল্যান্ড ছাড়লেও জন্মস্থানের প্রতি দুর্দমনীয় একটা আকর্ষণ ছিল ৫৯ বছর বয়সি নেভিলের৷সামাজিকভাবে সদ্য স্ত্রী হওয়া ফিওনাও চেয়েছিলেন কয়েকটা দিন চুটিয়ে আনন্দ করবেন সেখানে, তারপর যাবেন ব্রাজিলে, দক্ষিণ অ্যামেরিকার সবচেয়ে আকর্ষণীয় অঞ্চলটা ঘুরে দেখে তারপর ফিরবেন অকল্যান্ডে নিজেদের বাড়িতে ৷
কিন্তু বিধি বাম!
৭ মার্চ ফকল্যান্ডে পৌঁছালেন কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ার নেভিল আর শিল্পী ফিওনা৷ শুরু হয়ে গেল করোনার ভয়াবহ বিস্তার৷ শুরু হলো প্রবীণ এক আত্মীয়ার সঙ্গে থেকে লকডাউন অবসানের দিন গোনা৷ ব্রাজিলের ফ্লাইট বাতিল ৷ সব দেশেই বিমান চলাচল বন্ধ৷ কবে ফেরা হবে কে জানে!
তাস খেলে, আলবাট্রস আর ডলফিন দেখে দেখে কাটতে লাগল একের পর এক অনিশ্চয়তায় ভরা দিন৷ কিন্তু ফিরতে তো হবে৷ ফিরবেন কিভাবে?
অবশেষে ভাবলেন মাছধরা নৌকায় চড়ে ফিরে যাবেন ‘সুইট হোম’-এ৷
যাত্রাটা অবশ্য খুব ‘সুইট’ ছিল না৷ এক মাসেরও বেশি সময়ে আর্জেন্টিনা থেকে ৫০০ কিলোমিটার দূরের ফকল্যান্ড থেকে আটলান্টিকের স্রোত ভেঙে ভেঙে ৯,২০০ কিলোমিটার (৫০০০ নটিক্যাল মাইল) পেরিয়ে নিজের শহর অকল্যান্ডে ফেরা তো চাট্টিখানি কথা নয়৷
তবু ভালো, ফিরেছেন তারা, করোনার সমস্ত বাধা পেরিয়ে ফিরেছেন সন্তানদের কাছে৷ করোনা-পরীক্ষা করাতে হয়েছে ফিরেই৷ সুখবর-সুখি দম্পতির কাউকেই করোনাও ছুঁতে পারেনি!
বাংলা৭১নিউজ/সূত্র: ডয়চে ভেলে