বা্ংলা৭১নিউজ, ঢাকা: আগের আটটি পেশাদার লিগের পর্দা উঠেছে ঢাকাতেই। দু-একটি ব্যতিক্রম বাদ দিলে বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামই দেশের সব বড় ফুটবল আয়োজনের আঁতুড়ঘর।
তবে এবার নবম পেশাদার লিগের শুরুটা হবে চট্টগ্রামের এমএ আজিজ স্টেডিয়ামে। ২৪ জুলাই বন্দরনগরী সাক্ষী হবে পেশাদার লিগের নবযাত্রার।
বিশাল আয়োজন, সামনে ঈদ। তাই সামগ্রিক প্রস্তুতির জন্য একটু সময় নিয়েছেন আয়োজকেরা। এ কারণেই পূর্বঘোষিত ১৫ জুলাই থেকে লিগটা ৯ দিন পেছানো হয়েছে।
সিদ্ধান্তটা হয়েছে বাফুফের পেশাদার লিগ কমিটির কালকের প্রথম সভায়। অবশ্য বাফুফের খেলা পেছানোর সংস্কৃতিটা জানা থাকলে অবাক হওয়ার কিছু নেই।
মাঠে দর্শক আনতে এবার বিপুল প্রচারণায় নামবে লিগের স্বত্ব কেনা প্রতিষ্ঠান সাইফ পাওয়ারটেক। ওই প্রতিষ্ঠানের অনুরোধেই লিগ পেছানো হচ্ছে বলে জানিয়েছেন পেশাদার লিগ কমিটির চেয়ারম্যান আবদুস সালাম মুর্শেদী।
চট্টগ্রাম পর্ব শেষে সিলেট হয়ে ঢাকা, রাজশাহী, বরিশালে খেলা রাখার পরিকল্পনা অবশ্য বহালই আছে। ষষ্ঠ ভেন্যু ময়মনসিংহ অথবা গোপালগঞ্জ।
প্রতি ভেন্যুতে প্রতিটি দল একটি করে ম্যাচ খেলবে। ছয় ভেন্যুতে ছয় রাউন্ড শেষে আবার চট্টগ্রাম দিয়ে সপ্তম রাউন্ড শুরু।
এভাবে ঘুরে ঘুরে ছয়টি ভেন্যুতে ১৩২টি ম্যাচ। বাফুফে বলছে, ঢাকায় ২৪টি ম্যাচ হবে, ঢাকার বাইরে ১০৪টি। আগের মতো আর লিগটা ঢাকায় বন্দী থাকবে না।
কাল সালাম মুর্শেদী বললেন, ফ্লাডলাইট থাকা তিনটি ভেন্যুতে (ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেট) দিনে দুটি করে ম্যাচ হবে। অর্থাৎ এই ভেন্যুগুলোয় তিন দিনে ছয়টি ম্যাচ শেষ করা হবে। ফ্লাডলাইটবিহীন বাকি তিনটি স্টেডিয়ামে ছয়টি ম্যাচ হবে ছয় দিনে।
সাইফ পাওয়ারটেকের এক কর্মকর্তা অবশ্য পরে বলছিলেন, আপাতত তিন দিন বলা হলেও মাঝখানে বিরতি দেওয়া হতে পারে। তাই সিদ্ধান্তটা বদলানোর সম্ভাবনা থাকছে। তবে একটা বিষয় নিশ্চিত, লিগের সব ম্যাচই দেখানো হবে টিভিতে।
বা্ংলা৭১নিউজ/সিএইস