বাংলা৭১নিউজ, ঢাকা: এক ঘণ্টা বেশ ভালই বৃষ্টি হলো রাজধানী ঢাকা। আর এতেই নগরীর কেন্দ্রস্থল মতিঝিল, পল্টন, নয়াপল্টন, এলাকা তলিয়ে গেলো পানির নিচে। বনানী, মহাখালী এলাকাতেও সড়ক পানি উঠে যান চলাচল ব্যাহত হচ্ছে।
রাজধানীতে জলজটের সঙ্গে আবশ্যিকভাবে যে দুর্ভোগ দেখা দেয়, সেটি হলো যানজট অথবা যান চলাচলে ধীরগতি। সড়কের একটি অংশ পানিতে ডুবে আছে বলে বাকি সড়ক ধরে চলার চেষ্টা করে যানবাহন। এতে গাড়ির দীর্ঘ সারি তৈরি হয়।
আজ বুধবার ভোরেও এক দফা বৃষ্টি হয়েছে রাজধানীতে। তবে সকালে হেসেছিল সূর্য। অফিসগামী মানুষ বেশ নির্বিঘ্নেই বের হয়েছে ধর থেকে। আকাশে মেঘ থাকলেও কড়া রোদ ছিল কয়েক ঘণ্টা।
কিন্তু দুপুরের আগে আগে বেশ কালো মেঘে ঢাকা পড়ে চার পাশ। আর বেলা দেড়টার দিকে নামে ঝুম বৃষ্টি। থামতে থামতে লেগে যায় বেলা আড়াইটা। এরপরেও বৃষ্টি হয়ে মেঘ ঝরলেও সেটা ছিল ঝিরঝির
আবহাওয়া অধিদপ্তরের হিসাবে দুপুরে বৃষ্টি হয়েছে ২৪ মিলিমিটারেরও কম। আবহাওয়াবিদ রুহুল কুদ্দুস ঢাকাটাইমসকে জানান, বেলা ১২টা থেকে তিনটা পর্যন্ত রাজধানীতে বৃষ্টি হয়েছে ২৩.৬ মিলিমিটার।
গত ২৫ জুলাই মধ্যরাত থেকে ২৬ জুলাই দুপুর পর্যন্ত রাজধানীতে বৃষ্টি হয়েছে অস্বাভাবিক। আর এই বৃষ্টিতে নগরীর একটি বড় অংশ তলিয়ে সৃষ্টি হয় জলজটের। ওই সময় সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল ঘণ্টায় ৪০ থেকে ৫০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হলে তা সিটি করপোরেশনের আয়ত্বের মধ্যে থাকে। এর বেশি হলে তা সিটির সক্ষমতার বাইরে চলে যায়। আর ওই বৃষ্টিপাত ছিল এর চেয়ে বেশি। এর ফলে জলজট তৈরি হয়।
তবে মঙ্গলবার বিকালে ১০ মিনিটের বৃষ্টিতে সচিবালয়, মতিঝিল, পল্টন, দৈনিকবাংলা এলাকা তলিয়ে যায়। পরদিন বুধবারও একই চিত্র দেখা গেলো। এদিন বৃষ্টি বেশি বলে দুর্ভোগও বেশি হয়েছে মানুষের।
চলতি বছর অন্যান্য বছরের তুলনায় বেশি বৃষ্টি হচ্ছে রাজধানীতে। আর এ কারণে জলাবদ্ধতার সমস্যাও বেশি।
জলজট নিরসনে সিটি করপোরেশন, ওয়াসা এবং পানি উন্নয়ন বোর্ডের সমন্বয়হীনতার কথাও এসেছে। নগরীর পানি নিষ্কাষণের জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ড নগরীর চার পাশে জমে থাকা পানি পাম্প করে নদীতে ফেলে। সেখানে পানি যেতে যে খাল ও নালা রয়েছে, সেগুলো ভরাট বা বেদখল হয়ে যাওয়ায় স্বাভাবিক গতিতে পানি নামতে পারছে না।
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন অবশ্য বলেছেন, নগরীতে জলজটের এই সমস্যা আগামী বছর আর থাকবে না।
ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক তাকসিম এ খান জানিয়েছেন, নগরীর পানি ব্যবস্থাপনাকে একটি সংস্থার আওতায় এনে দায়িত্ব দেয়ার চিন্তা করা হচ্ছে। আর সেই দায়িত্ব দেয়া হতে পারে ঢাকা ওয়াসাকে।
বাংলা৭১নিউজ/পিকেডি